ভারত ও কানাডার মধ্যে বেসামরিক পরমাণু সহযোগিতা চুক্তি
ভারত ও কানাডা গত রোববার বেসামরিক পরমাণু সহযোগিতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। কানাডার টরন্টোতে সম্পাদিত এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ভারতের আণবিক শক্তি বিভাগের সচিব শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ও কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লরেন্স ক্যানন। এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পার উপস্থিত ছিলেন। অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশগুলোর জোট জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি দেশ দুটি এই চুক্তি করে।
এই চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্কে পঁচিশ বছরের বিদ্যমান অবিশ্বাস ও সন্দেহের অবসান হলো। কানাডীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভারত তাদের প্রথম পরমাণু বোমা তৈরি করে। এর পর থেকে দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল।
১৬ বছর আগে আই কে গুজরালের পর এই প্রথম ভারতের সরকার-প্রধান হিসেবে মনমোহন সিং কানাডা সফর করছেন। কর্মকর্তারা জানান, এই চুক্তির মাধ্যমে ভারত পরমাণু জ্বালানির উৎস হিসেবে কানাডা থেকে পরমাণু সরঞ্জাম, প্রযুক্তি ও ইউরেনিয়াম আমদানি করতে পারবে। এই পরমাণু জ্বালানি এশীয় দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে।
২০০৮ সালে পরমাণু জ্বালানি, সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সরবরাহকারী দেশগুলোর গোষ্ঠী ভারতের ওপর থেকে ৩৪ বছরের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। এরপর ফ্রান্স ও রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। এ ক্ষেত্রে কানাডা হচ্ছে ভারতের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ অষ্টম দেশ।
ভারত ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী পরমাণু বর্জ্য নিরাপদ স্থানে ফেলার ও পরমাণুবিষয়ক নিরাপত্তা রক্ষা করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সত্তর দশকের গোড়ার দিকে কানাডার কাছ থেকে কেনা পরমাণু চুল্লি ব্যবহার করে পরমাণু অস্ত্র তৈরির কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে ভারত। এ ব্যাপারে মনমোহন সিং বলেন, ভারতে পরমাণু উপাদান বা পরমাণু সরঞ্জাম যাই থাকুক না কেন, তা ইচ্ছামতো লক্ষ্যহীন কাজে ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই।
এই চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্কে পঁচিশ বছরের বিদ্যমান অবিশ্বাস ও সন্দেহের অবসান হলো। কানাডীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভারত তাদের প্রথম পরমাণু বোমা তৈরি করে। এর পর থেকে দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল।
১৬ বছর আগে আই কে গুজরালের পর এই প্রথম ভারতের সরকার-প্রধান হিসেবে মনমোহন সিং কানাডা সফর করছেন। কর্মকর্তারা জানান, এই চুক্তির মাধ্যমে ভারত পরমাণু জ্বালানির উৎস হিসেবে কানাডা থেকে পরমাণু সরঞ্জাম, প্রযুক্তি ও ইউরেনিয়াম আমদানি করতে পারবে। এই পরমাণু জ্বালানি এশীয় দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে।
২০০৮ সালে পরমাণু জ্বালানি, সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সরবরাহকারী দেশগুলোর গোষ্ঠী ভারতের ওপর থেকে ৩৪ বছরের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। এরপর ফ্রান্স ও রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। এ ক্ষেত্রে কানাডা হচ্ছে ভারতের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ অষ্টম দেশ।
ভারত ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী পরমাণু বর্জ্য নিরাপদ স্থানে ফেলার ও পরমাণুবিষয়ক নিরাপত্তা রক্ষা করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সত্তর দশকের গোড়ার দিকে কানাডার কাছ থেকে কেনা পরমাণু চুল্লি ব্যবহার করে পরমাণু অস্ত্র তৈরির কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে ভারত। এ ব্যাপারে মনমোহন সিং বলেন, ভারতে পরমাণু উপাদান বা পরমাণু সরঞ্জাম যাই থাকুক না কেন, তা ইচ্ছামতো লক্ষ্যহীন কাজে ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই।
No comments