গোল নিয়ে শোরগোল
মেসি-কাকা-রোনালদোরা নন, এবার বিশ্বকাপে সবচেয়ে আলোচিত চরিত্র নিঃসন্দেহে রেফারিরা। কাকা-কেওয়েল-কাহিলের লাল কার্ড কিংবা ফ্যাবিয়ানোর হ্যান্ডবল—এগুলোকে বড় কেলেঙ্কারির উদাহরণ হিসেবে মনে করা যায়। এ ছাড়া ছোটখাটো কেলেঙ্কারি এরই মধ্যে সংখ্যাতীত হয়ে গেছে।
তবে সব কেলেঙ্কারিকে ছাড়িয়ে গেল গত পরশুর দুই ম্যাচ। শেষ ষোলোর দুই ম্যাচে দুই গোল নিয়ে রেফারিদের কাণ্ড রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে ফুটবল-দুনিয়ায়। গোললাইনের বেশ ভেতর থেকে বল ফেরার পরও ইংল্যান্ড গোল পায়নি। আর পরিষ্কার অফসাইডে দাঁড়িয়ে থেকেও গোল পেয়ে গেলেন কার্লোস তেভেজ।
বক্সের বাইরে থেকে আচমকা ল্যাম্পার্ডের নেওয়া দুর্দান্ত শট বারে লেগে আছড়ে পড়েছিল জার্মান গোললাইনের ভেতরে, সেখান থেকে বল আবার বারে লেগে বাইরে পড়ে। বল খুব দ্রুত চলে যাওয়ায় লাইন্সম্যান গোললাইনের আশপাশেও ছিলেন না। তাই তিনি বুঝতেই পারলেন না, গোল হয়েছে কি না।
কিন্তু পর মুহূর্তেই টেলিভিশন রিপ্লেতে সারা দুনিয়া তো বটেই, জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলোয়াড়েরাও দেখলেন, বল ভেতর থেকে এসেছে! তাহলে এটা গোল না কেন? এই প্রশ্নটাই উল্টে গেল আর্জেন্টিনার বেলায়।
লিওনেল মেসি যখন বল বাড়ালেন, তখন তেভেজ তখন পরিষ্কার অফসাইডে। অথচ সেটি কিনা বুঝতে পারলেন না লাইন্সম্যান। ফলে তেভেজের হেডকে গোল বলে ঘোষণা করা হলো।
ইংল্যান্ড গোলটা না পাওয়ায় খুব দুঃখ প্রকাশ করেছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। চিরকাল ইংল্যান্ডের ঘোরতম শত্রু বলে পরিচিত ম্যারাডোনা বলছেন, ‘আমি কখনোই ইংল্যান্ডকে পছন্দ করি না। তার পরও আমরা দেখলাম এই গোলটা বাতিল হয়ে না গেলে ওরা অন্তত ২-২ করে খেলা অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যেতে পারত।’
আবার যেই না নিজেদের গোলের প্রসঙ্গ এল, সেই ম্যারাডোনা বলছেন, রেফারির সিদ্ধান্তই মেনে নিতে হবে! তিনি বরং উল্টো বললেন, ‘আমাদের মেসিকে এত আক্রমণ করা হলো, চারদিক থেকে লাথি মারা হলো—রেফারি কিছু বললেন না। সেটা নিয়ে তো আমরা কিছু বলছি না।’
সে ম্যারাডোনা কিছু বলুন আর নাই বলুন, এই দুই গোল-কেলেঙ্কারিতে আবার আলোচনায় চলে এসেছে ফুটবলে প্রযুক্তির ব্যবহার। সেই ১৯৬৬ সালে জিওফ হার্স্টের শর্টটি বারে লাগার পর গোললাইন অতিক্রম করেছিল কি না তা নিয়ে আজও তর্ক করে ইংলিশ ও জার্মানরা।
সে সময় প্রযুক্তির সুবিধা নেওয়ার সুযোগ ছিল না। কিন্তু এখন তো আছে। এখন কেন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে না? যার শট থেকে ইংলিশদের ওই ‘গোল’ হলো, সেই ল্যাম্পার্ড বলছেন, ‘আমরা বিশ্বকাপের আগে একটা মিটিং করছিলাম। সেখানে কে যেন বলছিল, ফুটবলে লাখ লাখ আইন বিভিন্ন সময় বদলানো হয়েছে, যেগুলো খেলাতে কোনো প্রভাবই ফেলে না। অথচ যে ব্যাপারটা বিশাল প্রভাব ফেলে সেই ব্যাপারটাতেই কোনো পরিবর্তন নেই!’
গোললাইন প্রযুক্তি ব্যবহারের জোর দাবি করছেন সাবেক ইংলিশ তারকা অ্যালান শিয়ারারও, ‘সাবেক সব পেশাদার ও তারকা এটা দেখতে চান। একজন লোক ছাড়া সবাই এই গোললাইন প্রযুক্তি দেখতে চায়।’
সেই একজন লোক কে? পরিষ্কার উত্তর, সেপ ব্ল্যাটার। গোললাইন প্রযুক্তি নিয়ে যখনই আলোচনা হয়েছে, তখনই ফিফা প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি এই প্রযুক্তি ব্যবহারের বিপক্ষে। তিনি বলেন, সারা বিশ্বে এর ব্যবহার খুব ব্যয়বহুল হবে বলে এবং খেলাটির মানবিক আবেদন কমে যাবে দেখে তাঁরা গোললাইন প্রযুক্তির বিপক্ষে।
তবে সব কেলেঙ্কারিকে ছাড়িয়ে গেল গত পরশুর দুই ম্যাচ। শেষ ষোলোর দুই ম্যাচে দুই গোল নিয়ে রেফারিদের কাণ্ড রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে ফুটবল-দুনিয়ায়। গোললাইনের বেশ ভেতর থেকে বল ফেরার পরও ইংল্যান্ড গোল পায়নি। আর পরিষ্কার অফসাইডে দাঁড়িয়ে থেকেও গোল পেয়ে গেলেন কার্লোস তেভেজ।
বক্সের বাইরে থেকে আচমকা ল্যাম্পার্ডের নেওয়া দুর্দান্ত শট বারে লেগে আছড়ে পড়েছিল জার্মান গোললাইনের ভেতরে, সেখান থেকে বল আবার বারে লেগে বাইরে পড়ে। বল খুব দ্রুত চলে যাওয়ায় লাইন্সম্যান গোললাইনের আশপাশেও ছিলেন না। তাই তিনি বুঝতেই পারলেন না, গোল হয়েছে কি না।
কিন্তু পর মুহূর্তেই টেলিভিশন রিপ্লেতে সারা দুনিয়া তো বটেই, জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলোয়াড়েরাও দেখলেন, বল ভেতর থেকে এসেছে! তাহলে এটা গোল না কেন? এই প্রশ্নটাই উল্টে গেল আর্জেন্টিনার বেলায়।
লিওনেল মেসি যখন বল বাড়ালেন, তখন তেভেজ তখন পরিষ্কার অফসাইডে। অথচ সেটি কিনা বুঝতে পারলেন না লাইন্সম্যান। ফলে তেভেজের হেডকে গোল বলে ঘোষণা করা হলো।
ইংল্যান্ড গোলটা না পাওয়ায় খুব দুঃখ প্রকাশ করেছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। চিরকাল ইংল্যান্ডের ঘোরতম শত্রু বলে পরিচিত ম্যারাডোনা বলছেন, ‘আমি কখনোই ইংল্যান্ডকে পছন্দ করি না। তার পরও আমরা দেখলাম এই গোলটা বাতিল হয়ে না গেলে ওরা অন্তত ২-২ করে খেলা অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যেতে পারত।’
আবার যেই না নিজেদের গোলের প্রসঙ্গ এল, সেই ম্যারাডোনা বলছেন, রেফারির সিদ্ধান্তই মেনে নিতে হবে! তিনি বরং উল্টো বললেন, ‘আমাদের মেসিকে এত আক্রমণ করা হলো, চারদিক থেকে লাথি মারা হলো—রেফারি কিছু বললেন না। সেটা নিয়ে তো আমরা কিছু বলছি না।’
সে ম্যারাডোনা কিছু বলুন আর নাই বলুন, এই দুই গোল-কেলেঙ্কারিতে আবার আলোচনায় চলে এসেছে ফুটবলে প্রযুক্তির ব্যবহার। সেই ১৯৬৬ সালে জিওফ হার্স্টের শর্টটি বারে লাগার পর গোললাইন অতিক্রম করেছিল কি না তা নিয়ে আজও তর্ক করে ইংলিশ ও জার্মানরা।
সে সময় প্রযুক্তির সুবিধা নেওয়ার সুযোগ ছিল না। কিন্তু এখন তো আছে। এখন কেন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে না? যার শট থেকে ইংলিশদের ওই ‘গোল’ হলো, সেই ল্যাম্পার্ড বলছেন, ‘আমরা বিশ্বকাপের আগে একটা মিটিং করছিলাম। সেখানে কে যেন বলছিল, ফুটবলে লাখ লাখ আইন বিভিন্ন সময় বদলানো হয়েছে, যেগুলো খেলাতে কোনো প্রভাবই ফেলে না। অথচ যে ব্যাপারটা বিশাল প্রভাব ফেলে সেই ব্যাপারটাতেই কোনো পরিবর্তন নেই!’
গোললাইন প্রযুক্তি ব্যবহারের জোর দাবি করছেন সাবেক ইংলিশ তারকা অ্যালান শিয়ারারও, ‘সাবেক সব পেশাদার ও তারকা এটা দেখতে চান। একজন লোক ছাড়া সবাই এই গোললাইন প্রযুক্তি দেখতে চায়।’
সেই একজন লোক কে? পরিষ্কার উত্তর, সেপ ব্ল্যাটার। গোললাইন প্রযুক্তি নিয়ে যখনই আলোচনা হয়েছে, তখনই ফিফা প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি এই প্রযুক্তি ব্যবহারের বিপক্ষে। তিনি বলেন, সারা বিশ্বে এর ব্যবহার খুব ব্যয়বহুল হবে বলে এবং খেলাটির মানবিক আবেদন কমে যাবে দেখে তাঁরা গোললাইন প্রযুক্তির বিপক্ষে।
No comments