উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিন্দা প্রস্তাব দাবি ওবামার
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিন্দা প্রস্তাব আনার দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, পিয়ংইয়ংয়ের সাম্প্রতিক ‘যুদ্ধংদেহী আচরণ’ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না এবং এ দিক বিবেচনা করে চীনকে উত্তর কোরিয়ার প্রতি তার অন্ধ সমর্থন দানের নীতি পরিহার করতে হবে। রোববার কানাডার টরন্টোতে জি-৮ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবামা এ কথা বলেন। তবে উত্তর কোরিয়া বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বৈরী ও হুমকিমূলক নীতির পরিপ্রেক্ষিতে তারা অবশ্যই পরমাণু সক্ষমতা বাড়াতে সচেষ্ট হবে।
গত মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজ পীত সাগরে এক বিস্ফোরণে ডুবে যায় এবং এতে ৪৬ জন নাবিকের মৃত্যু হয়। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা তদন্ত শেষে জাহাজটি উত্তর কোরিয়ার ছোড়া টর্পেডোর আঘাতে ডুবেছে বলে নিশ্চিত করার পর দুই কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। উত্তর কোরিয়া প্রথম থেকেই এ ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছে। এ বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিউং বাক যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ কামনা করলে প্রেসিডেন্ট ওবামা তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে সর্বাত্মক সমর্থন দেওয়ার আশ্বাস দেন।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা টরন্টোতে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, উত্তর কোরিয়া যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিবেচনায় সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য ও যুদ্ধংদেহী আচরণ করছে, সে বিষয়টি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সামনে খোলাসা করা এখন প্রধান কাজ। ওবামা বলেন, উত্তর কোরিয়াই যে দক্ষিণ কোরিয়ার জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছে, তা বহুজাতিক তদন্তে ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। এর পরও দক্ষিণ কোরিয়া অসাধারণ ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার পরিচয় দিয়েছে। ওবামা বলেন, এ অবস্থায় চীনকে উত্তর কোরিয়ার প্রতি অন্ধভাবে সমর্থন দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তিনি জি-৮ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিন তাওয়ের সঙ্গে দেখা করেন। ওবামা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হুর সঙ্গে উত্তর কোরিয়া নিয়ে কথা বলেছেন। তাঁর আশা, প্রেসিডেন্ট হু উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের গুরুত্ব বুঝতে পারবেন।
তবে ওবামার এসব বক্তব্য উড়িয়ে দিয়ে গতকাল সোমবার উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, কোরীয় উপসাগরের ঘটনার জের ধরে যুক্তরাষ্ট্র যে হুমকিমূলক নীতি গ্রহণ করছে তাতে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু শক্তি বৃদ্ধি জরুরি হয়ে পড়েছে। তবে ঠিক কী উপায়ে পরমাণু শক্তি বাড়ানো হবে, সে বিষয়ে ওই বিবৃতিতে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।
দক্ষিণ কোরিয়া তার যুদ্ধজাহাজ ডুবির ঘটনায় উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞাসহ বেশ কিছু শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উত্তর কোরিয়া সিউলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে। একই সঙ্গে প্রয়োজনে তারা দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর হামলা চালাবে বলেও হুমকি দিয়েছে।
গত মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজ পীত সাগরে এক বিস্ফোরণে ডুবে যায় এবং এতে ৪৬ জন নাবিকের মৃত্যু হয়। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা তদন্ত শেষে জাহাজটি উত্তর কোরিয়ার ছোড়া টর্পেডোর আঘাতে ডুবেছে বলে নিশ্চিত করার পর দুই কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। উত্তর কোরিয়া প্রথম থেকেই এ ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছে। এ বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিউং বাক যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ কামনা করলে প্রেসিডেন্ট ওবামা তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে সর্বাত্মক সমর্থন দেওয়ার আশ্বাস দেন।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা টরন্টোতে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, উত্তর কোরিয়া যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিবেচনায় সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য ও যুদ্ধংদেহী আচরণ করছে, সে বিষয়টি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সামনে খোলাসা করা এখন প্রধান কাজ। ওবামা বলেন, উত্তর কোরিয়াই যে দক্ষিণ কোরিয়ার জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছে, তা বহুজাতিক তদন্তে ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। এর পরও দক্ষিণ কোরিয়া অসাধারণ ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার পরিচয় দিয়েছে। ওবামা বলেন, এ অবস্থায় চীনকে উত্তর কোরিয়ার প্রতি অন্ধভাবে সমর্থন দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তিনি জি-৮ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিন তাওয়ের সঙ্গে দেখা করেন। ওবামা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হুর সঙ্গে উত্তর কোরিয়া নিয়ে কথা বলেছেন। তাঁর আশা, প্রেসিডেন্ট হু উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের গুরুত্ব বুঝতে পারবেন।
তবে ওবামার এসব বক্তব্য উড়িয়ে দিয়ে গতকাল সোমবার উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, কোরীয় উপসাগরের ঘটনার জের ধরে যুক্তরাষ্ট্র যে হুমকিমূলক নীতি গ্রহণ করছে তাতে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু শক্তি বৃদ্ধি জরুরি হয়ে পড়েছে। তবে ঠিক কী উপায়ে পরমাণু শক্তি বাড়ানো হবে, সে বিষয়ে ওই বিবৃতিতে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।
দক্ষিণ কোরিয়া তার যুদ্ধজাহাজ ডুবির ঘটনায় উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞাসহ বেশ কিছু শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উত্তর কোরিয়া সিউলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে। একই সঙ্গে প্রয়োজনে তারা দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর হামলা চালাবে বলেও হুমকি দিয়েছে।
No comments