মহাবিশ্বের সৃষ্টিরহস্য উন্মোচনের কাছাকাছি পৌঁছেছেন বিজ্ঞানীরা
ভূগর্ভস্থ পরীক্ষাকেন্দ্র লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডারে (এলএইচসি) গবেষণারত বিজ্ঞানীরা বলেছেন, তাঁরা মহাবিশ্বের সৃষ্টিরহস্য উন্মোচনের কাছাকাছি চলে এসেছেন। এলএইচসি আগের তুলনায় দ্বিগুণ হারে প্রোটন কণিকা চূর্ণ করছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে শিগগিরই তারা ‘বিগ ব্যাং থিউরি’ বা মহাবিস্ফোরণ তত্ত্বের প্রামাণ্য ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে পারবে। একই সঙ্গে ‘ঈশ্বর কণিকা’ বলে পরিচিত ‘হিগস্ বোসন পার্টিকল’ নামের কল্পিত সাব অ্যাটমিক কণিকাও শনাক্ত করা যাবে বলে তাঁরা আশা করছেন। পদার্থবিজ্ঞানী আঁদ্রে গুলুতভিন জানান, বর্তমানে তাঁরা প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১০ হাজার প্রোটন কণিকার সংঘর্ষ ঘটাচ্ছেন।
ইউরোপভিত্তিক পরমাণু গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউরোপিয়ান অরগানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ (সার্ন) ফ্রান্স-সুইজারল্যান্ড সীমান্ত এলাকায় ২৭ কিলোমিটারের বৃত্তাকৃতির এলএইচসি মেশিনটি স্থাপন করে। প্রায় আলোর সমান গতিতে পরস্পর বিপরীতমুখী দুটি প্রোটন স্রোত ওই সুড়ঙ্গে সক্রিয় করে প্রোটন কণিকার মধ্যে সংঘর্ষ ঘটানো হয়। দুটি স্রোতের সংঘর্ষে প্রোটনের কণাগুলো ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে নতুন কণার সৃষ্টি হয়। গত নভেম্বরে বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো সফলভাবে এই প্রোটন স্রোতের সংঘর্ষ ঘটাতে সক্ষম হন। যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত ফার্মি ন্যাশনাল এক্সেলেটর ল্যাবরেটরি (ফার্মিল্যাব) এখন পর্যন্ত পদার্থ কণিকা ভাঙার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত হলেও বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এলএইচসি এ ক্ষেত্রে শিগগিরই ফার্মিল্যাবকে ছাড়িয়ে যাবে।
গত কয়েক মাসে এলএইচসির প্রকৌশলীরা প্রোটন স্রোতের শক্তি ও গতি ক্রমান্বয়ে বাড়িয়েছেন। গত সপ্তাহান্তে তিনটি প্রোটন কণিকাগুচ্ছের দুটি স্রোতের সংঘর্ষ ঘটানো হয়। একেকটি ‘গুচ্ছে’ ১০ হাজার প্রোটন কণিকা ছিল।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ২০১৩ সালের মধ্যে তারা এলএইচসিতে ১৪ ট্রিলিয়ন ইলেকট্রোভোল্টের শক্তি উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এলএইচসি কাজ করলে তাঁরা হিগস্ বোসনও শনাক্ত করতে পারবেন। এ ছাড়া মহাবিস্ফোরণের পর কীভাবে এ মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছিল, তার একটি ধারণাও তাঁরা পাবেন।
এলএইচসির প্রধান নিয়ন্ত্রণকক্ষে দায়িত্বরত মাইক ল্যামোন্ট বলেন, প্রোটন কণিকায় যত বেশি সংঘর্ষ ঘটানো সম্ভব হবে হিগস্ বোসন শনাক্তসহ অন্যান্য রহস্য উদ্ঘাটনের সম্ভাবনা তত বেশি উজ্জ্বল হবে। ল্যামোন্ট জানিয়েছেন, তাঁদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে একটি কণিকা স্রোতের ভেতরে ২০ হাজার ৮০৮টি কণিকা গুচ্ছের প্রতিস্থাপন। ২০১৬ সালের মধ্যে তাঁরা এ লক্ষ্যে পৌঁছাবেন বলে মনে করছেন।
ইউরোপভিত্তিক পরমাণু গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউরোপিয়ান অরগানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ (সার্ন) ফ্রান্স-সুইজারল্যান্ড সীমান্ত এলাকায় ২৭ কিলোমিটারের বৃত্তাকৃতির এলএইচসি মেশিনটি স্থাপন করে। প্রায় আলোর সমান গতিতে পরস্পর বিপরীতমুখী দুটি প্রোটন স্রোত ওই সুড়ঙ্গে সক্রিয় করে প্রোটন কণিকার মধ্যে সংঘর্ষ ঘটানো হয়। দুটি স্রোতের সংঘর্ষে প্রোটনের কণাগুলো ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে নতুন কণার সৃষ্টি হয়। গত নভেম্বরে বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো সফলভাবে এই প্রোটন স্রোতের সংঘর্ষ ঘটাতে সক্ষম হন। যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত ফার্মি ন্যাশনাল এক্সেলেটর ল্যাবরেটরি (ফার্মিল্যাব) এখন পর্যন্ত পদার্থ কণিকা ভাঙার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত হলেও বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এলএইচসি এ ক্ষেত্রে শিগগিরই ফার্মিল্যাবকে ছাড়িয়ে যাবে।
গত কয়েক মাসে এলএইচসির প্রকৌশলীরা প্রোটন স্রোতের শক্তি ও গতি ক্রমান্বয়ে বাড়িয়েছেন। গত সপ্তাহান্তে তিনটি প্রোটন কণিকাগুচ্ছের দুটি স্রোতের সংঘর্ষ ঘটানো হয়। একেকটি ‘গুচ্ছে’ ১০ হাজার প্রোটন কণিকা ছিল।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ২০১৩ সালের মধ্যে তারা এলএইচসিতে ১৪ ট্রিলিয়ন ইলেকট্রোভোল্টের শক্তি উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এলএইচসি কাজ করলে তাঁরা হিগস্ বোসনও শনাক্ত করতে পারবেন। এ ছাড়া মহাবিস্ফোরণের পর কীভাবে এ মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছিল, তার একটি ধারণাও তাঁরা পাবেন।
এলএইচসির প্রধান নিয়ন্ত্রণকক্ষে দায়িত্বরত মাইক ল্যামোন্ট বলেন, প্রোটন কণিকায় যত বেশি সংঘর্ষ ঘটানো সম্ভব হবে হিগস্ বোসন শনাক্তসহ অন্যান্য রহস্য উদ্ঘাটনের সম্ভাবনা তত বেশি উজ্জ্বল হবে। ল্যামোন্ট জানিয়েছেন, তাঁদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে একটি কণিকা স্রোতের ভেতরে ২০ হাজার ৮০৮টি কণিকা গুচ্ছের প্রতিস্থাপন। ২০১৬ সালের মধ্যে তাঁরা এ লক্ষ্যে পৌঁছাবেন বলে মনে করছেন।
No comments