তালেবান নেতাদের সঙ্গে জারদারির কোনো বৈঠক হয়নি: পাকিস্তান
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি গোপনে তালেবান নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন বলে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তা অস্বীকার করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা। তাঁরা বলেছেন, এ প্রতিবেদন ভিত্তিহীন ও পুরোপুরি ভুল। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইনটেলিজেন্সও (আইএসআই) এ প্রতিবেদন নাকচ করে দিয়ে বলেছে, এটি একটি ‘বাজে’ প্রতিবেদন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও এ প্রতিবেদনের ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেছেন।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মুখপাত্র ফরহাতউল্লাহ বাবর বলেছেন, ‘তালেবান নেতাদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট জারদারির গোপনে কোনো যোগাযোগ বা বৈঠক হয়নি। এমনটি হলে তা হবে আমাদের সন্ত্রাসবিরোধী নীতির পরিপন্থী।’
ব্রিটেনের শীর্ষ স্থানীয় শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান লন্ডন স্কুল অব ইকোনোমিক্সের (এলএসই) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের জবাবে পাকিস্তান এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। রোববার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট জারদারি গত মার্চের শেষের দিকে এবং এপ্রিলের শুরুতে পাকিস্তানের একটি গোপন কারাগারে বন্দী ৫০ জন তালেবান নেতার সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় জারদারি তালেবান নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরা আমাদেরই লোক, আমরা তোমাদের বন্ধু। মুক্তির পর তোমাদের কর্মকাণ্ডে আমরা অবশ্যই সমর্থন দেব।’ এ ঘটনার তিন দিন পর কারাগার থেকে ১২ জন তালেবান নেতাকে মুক্তি দেওয়া হয়। জঙ্গিদের এই মুক্তির বিষয়টি পাকিস্তানের বেসামরিক সরকারের উচ্চপর্যায়ে অনুমোদন করা হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা অক্সফামের সাবেক কর্মকর্তা ম্যাট ওয়াডম্যান এ প্রতিবেদনটি তৈরি করেন। বেশ কয়েকজন তালেবান কমান্ডার এবং পশ্চিমা ও আফগান নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই আফগানিস্তানে সক্রিয় তালেবান যোদ্ধাদের শুধু অর্থ, প্রশিক্ষণ ও নিরাপদ আশ্রয়ই জোগায় না, সংগঠনটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদেও সংস্থাটির প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। আইএসআই তালেবানের কর্মকাণ্ডকে এভাবেই গভীরভাবে প্রভাবিত করে।
আইএসআই এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, প্রতিবেদনটি আবর্জনায় ভরা। এটি সম্পূর্ণ ধারণা প্রসূত এবং পুরোদস্তুর মিথ্যা একটি প্রতিবেদন। সংস্থাটির একজন কর্মকর্তা সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি-সাপেক্ষে এসব কথা বলেছেন।
তালেবানের পক্ষে আহমেদ রশিদ বলেন, ‘এ প্রতিবেদনটি আমার কাছে কিছুই মনে হয়নি। কেন না তালেবান যে ব্যক্তিকে সর্বশেষ দেখে নিতে চায়, তিনি আর কেউই নন, তিনি হলেন জারদারি।’
পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা ডনের সম্পাদকীয় লেখক সাইরিল আলমিদা বলেন, ‘জারদারির সঙ্গে আইএসআইয়ের সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। এমনকি তাঁরা দূর থেকেও একই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেন না। আমি নিশ্চিত, জঙ্গিদের সঙ্গে সরকারের গোপন যোগাযোগ আছে। তবে প্রেসিডেন্ট জারদারিই যে এ কাজটি করছেন, তা একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা।’
কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, পাকিস্তানের বেসামরিক সরকার তাদের গুরুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্র বিষয়গুলোর দায়িত্ব গত বছর থেকে সামরিক বাহিনীর হাতে ছেড়ে দিয়েছে। প্রতিবেদক এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে ব্যর্থ হয়েছেন। অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ও সামরিক বিশেষজ্ঞ তালাত মাসুদ বলেন, ‘তালেবানসহ প্রত্যেকেই এটা জানেন যে, পাকিস্তানের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে জারদারির এখন আর ক্ষমতা নেই।’
প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে বিতর্ক ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেদক ওয়াডম্যান বলেছেন, যাদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে তারা তালেবান নেতাদের সঙ্গে জারদারির ওই বৈঠক সরাসরি দেখেননি। তবে তাঁরা পুরো বিষয়টির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত এবং খুবই বিশ্বস্ত।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মুখপাত্র ফরহাতউল্লাহ বাবর বলেছেন, ‘তালেবান নেতাদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট জারদারির গোপনে কোনো যোগাযোগ বা বৈঠক হয়নি। এমনটি হলে তা হবে আমাদের সন্ত্রাসবিরোধী নীতির পরিপন্থী।’
ব্রিটেনের শীর্ষ স্থানীয় শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান লন্ডন স্কুল অব ইকোনোমিক্সের (এলএসই) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের জবাবে পাকিস্তান এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। রোববার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট জারদারি গত মার্চের শেষের দিকে এবং এপ্রিলের শুরুতে পাকিস্তানের একটি গোপন কারাগারে বন্দী ৫০ জন তালেবান নেতার সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় জারদারি তালেবান নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরা আমাদেরই লোক, আমরা তোমাদের বন্ধু। মুক্তির পর তোমাদের কর্মকাণ্ডে আমরা অবশ্যই সমর্থন দেব।’ এ ঘটনার তিন দিন পর কারাগার থেকে ১২ জন তালেবান নেতাকে মুক্তি দেওয়া হয়। জঙ্গিদের এই মুক্তির বিষয়টি পাকিস্তানের বেসামরিক সরকারের উচ্চপর্যায়ে অনুমোদন করা হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা অক্সফামের সাবেক কর্মকর্তা ম্যাট ওয়াডম্যান এ প্রতিবেদনটি তৈরি করেন। বেশ কয়েকজন তালেবান কমান্ডার এবং পশ্চিমা ও আফগান নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই আফগানিস্তানে সক্রিয় তালেবান যোদ্ধাদের শুধু অর্থ, প্রশিক্ষণ ও নিরাপদ আশ্রয়ই জোগায় না, সংগঠনটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদেও সংস্থাটির প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। আইএসআই তালেবানের কর্মকাণ্ডকে এভাবেই গভীরভাবে প্রভাবিত করে।
আইএসআই এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, প্রতিবেদনটি আবর্জনায় ভরা। এটি সম্পূর্ণ ধারণা প্রসূত এবং পুরোদস্তুর মিথ্যা একটি প্রতিবেদন। সংস্থাটির একজন কর্মকর্তা সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি-সাপেক্ষে এসব কথা বলেছেন।
তালেবানের পক্ষে আহমেদ রশিদ বলেন, ‘এ প্রতিবেদনটি আমার কাছে কিছুই মনে হয়নি। কেন না তালেবান যে ব্যক্তিকে সর্বশেষ দেখে নিতে চায়, তিনি আর কেউই নন, তিনি হলেন জারদারি।’
পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা ডনের সম্পাদকীয় লেখক সাইরিল আলমিদা বলেন, ‘জারদারির সঙ্গে আইএসআইয়ের সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। এমনকি তাঁরা দূর থেকেও একই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেন না। আমি নিশ্চিত, জঙ্গিদের সঙ্গে সরকারের গোপন যোগাযোগ আছে। তবে প্রেসিডেন্ট জারদারিই যে এ কাজটি করছেন, তা একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা।’
কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, পাকিস্তানের বেসামরিক সরকার তাদের গুরুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্র বিষয়গুলোর দায়িত্ব গত বছর থেকে সামরিক বাহিনীর হাতে ছেড়ে দিয়েছে। প্রতিবেদক এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে ব্যর্থ হয়েছেন। অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ও সামরিক বিশেষজ্ঞ তালাত মাসুদ বলেন, ‘তালেবানসহ প্রত্যেকেই এটা জানেন যে, পাকিস্তানের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে জারদারির এখন আর ক্ষমতা নেই।’
প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে বিতর্ক ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেদক ওয়াডম্যান বলেছেন, যাদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে তারা তালেবান নেতাদের সঙ্গে জারদারির ওই বৈঠক সরাসরি দেখেননি। তবে তাঁরা পুরো বিষয়টির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত এবং খুবই বিশ্বস্ত।
No comments