আফগানিস্তানে এক লাখ কোটি ডলারের খনিজ সম্পদের সন্ধান
আফগানিস্তানে বিপুল পরিমাণ খনিজ সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। অকল্পনীয় এই খনিজ সম্পদের মূল্য হতে পারে এক ট্রিলিয়ন (এক লাখ কোটি) ডলার। পেন্টাগন ও মার্কিন ভূতত্ত্ববিদদের একটি দল ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়ে আফগানিস্তানে এ খনিজ সম্পদের সন্ধান পেয়েছে। গত শনিবার দ্য নিউইয়র্ক টাইমস-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
খনিজ সম্পদের মধ্যে সোনা, লোহা, তামা, কোবাল্ট ও লিথিয়াম রয়েছে। মার্কিন বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এসব খনিজ সম্পদ আফগানিস্তানকে বিশ্বের সবচেয়ে লোভনীয় একটি দেশে পরিণত করতে পারে। এতে পাল্টে যেতে পারে সে দেশের অর্থনীতি ও যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শিল্পপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে লিথিয়ামকে এখন মহামূল্যবান ধাতু মনে করা হয়। আফগানিস্তানে যে পরিমাণ লিথিয়ামের সন্ধান পাওয়া গেছে, এতে দেশটি অচিরেই বিশ্বের খনিজ সম্পদের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে। মার্কিন কেন্দ্রীয় সামরিক দপ্তর পেন্টাগনের অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান লিথিয়ামের খনিতে পরিণত হতে পারে। ল্যাপটপ, মোবাইল ফোনের ব্যাটারি তৈরিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহূত হয় লিথিয়াম। লিথিয়ামসহ অন্যান্য খনিজ সম্পদ পাওয়ার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইকে সম্প্রতি জানানো হয়।
মার্কিন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আফগানিস্তানে শিল্প হিসেবে খনিজ পদার্থ উত্তোলনের বেশ আগে থেকেই অর্থনৈতিক পরিবর্তন সূচিত হতে পারে। শিল্পোন্নত দেশগুলো বড় ধরনের বিনিয়োগে নামবে, ব্যাপক জনগোষ্ঠীর কর্মক্ষেত্র শুরু হবে। এই খনিজ সম্পদের বিপ্লবের ফলে দেশটির টানা যুদ্ধেরও অবসান ঘটতে পারে।
আফগান রণাঙ্গনে মার্কিন সামরিক অধিনায়ক ডেভিড পেট্রাউস শনিবার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আফগানিস্তানের সম্ভাবনা বেশ কিছু ‘যদি’র ওপর নির্ভর করছে। খনিজ সম্পদ প্রাপ্তির বিষয়টিকে তিনি বেশ আশাব্যঞ্জক বলে মন্তব্য করেন।
আফগানিস্তানে জাতীয় উৎপাদন এখন মাত্র এক হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার। দেশটির অর্থনীতি পপি চাষ ও মাদক চোরাচালানের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। ওয়াশিংটন কারজাই সরকারের সঙ্গে খনিজ সম্পদ আহরণ নিয়ে এর মধ্যে আলোচনা শুরু করেছে, যদিও যুক্তরাষ্ট্র মনে করে পুরো দেশে হামিদ কারজাইয়ের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ নেই। দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ খোদ সরকার সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি তালেবান দমনে মার্কিন বাহিনীর আগ্রাসী পদক্ষেপে যুদ্ধ পরিস্থিতির নাটকীয় কোনো উন্নতি ঘটেনি।
মার্কিন বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, এ পর্যন্ত আফগানিস্তানে যে পরিমাণ লোহা ও তামার মজুদ আবিষ্কৃত হয়েছে, তা দেশটিকে বিশ্বের অন্যতম খনিজ উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত করবে।
মার্কিন ভূতত্ত্ববিদ জ্যাক মেডলিন বলেন, আফগানিস্তানের খনিজ সম্পদের খবর খুব আশাপ্রদ ও বিস্ময়কর। তবে, খনিজ সম্পদের অর্থনৈতিক বিস্ফোরণের জন্য আফগানিস্তানের মতো দেশের অনেক সময়ের প্রয়োজন হবে।
পেন্টাগনের কর্মকর্তা পল এ ব্রিনকলি বলেন, আফগানিস্তানের মতো শিল্পে অনভিজ্ঞ দেশে খনিজ সম্পদ নিয়ে দায়িত্বশীল অভিযাত্রা শুরু করতে হবে। ক্ষেত্র প্রস্তুত করে আগামী বছরের মধ্যেই এ অভিযাত্রা শুরু হতে পারে।
খনিজ সম্পদের মধ্যে সোনা, লোহা, তামা, কোবাল্ট ও লিথিয়াম রয়েছে। মার্কিন বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এসব খনিজ সম্পদ আফগানিস্তানকে বিশ্বের সবচেয়ে লোভনীয় একটি দেশে পরিণত করতে পারে। এতে পাল্টে যেতে পারে সে দেশের অর্থনীতি ও যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শিল্পপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে লিথিয়ামকে এখন মহামূল্যবান ধাতু মনে করা হয়। আফগানিস্তানে যে পরিমাণ লিথিয়ামের সন্ধান পাওয়া গেছে, এতে দেশটি অচিরেই বিশ্বের খনিজ সম্পদের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে। মার্কিন কেন্দ্রীয় সামরিক দপ্তর পেন্টাগনের অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান লিথিয়ামের খনিতে পরিণত হতে পারে। ল্যাপটপ, মোবাইল ফোনের ব্যাটারি তৈরিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহূত হয় লিথিয়াম। লিথিয়ামসহ অন্যান্য খনিজ সম্পদ পাওয়ার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইকে সম্প্রতি জানানো হয়।
মার্কিন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আফগানিস্তানে শিল্প হিসেবে খনিজ পদার্থ উত্তোলনের বেশ আগে থেকেই অর্থনৈতিক পরিবর্তন সূচিত হতে পারে। শিল্পোন্নত দেশগুলো বড় ধরনের বিনিয়োগে নামবে, ব্যাপক জনগোষ্ঠীর কর্মক্ষেত্র শুরু হবে। এই খনিজ সম্পদের বিপ্লবের ফলে দেশটির টানা যুদ্ধেরও অবসান ঘটতে পারে।
আফগান রণাঙ্গনে মার্কিন সামরিক অধিনায়ক ডেভিড পেট্রাউস শনিবার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আফগানিস্তানের সম্ভাবনা বেশ কিছু ‘যদি’র ওপর নির্ভর করছে। খনিজ সম্পদ প্রাপ্তির বিষয়টিকে তিনি বেশ আশাব্যঞ্জক বলে মন্তব্য করেন।
আফগানিস্তানে জাতীয় উৎপাদন এখন মাত্র এক হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার। দেশটির অর্থনীতি পপি চাষ ও মাদক চোরাচালানের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। ওয়াশিংটন কারজাই সরকারের সঙ্গে খনিজ সম্পদ আহরণ নিয়ে এর মধ্যে আলোচনা শুরু করেছে, যদিও যুক্তরাষ্ট্র মনে করে পুরো দেশে হামিদ কারজাইয়ের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ নেই। দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ খোদ সরকার সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি তালেবান দমনে মার্কিন বাহিনীর আগ্রাসী পদক্ষেপে যুদ্ধ পরিস্থিতির নাটকীয় কোনো উন্নতি ঘটেনি।
মার্কিন বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, এ পর্যন্ত আফগানিস্তানে যে পরিমাণ লোহা ও তামার মজুদ আবিষ্কৃত হয়েছে, তা দেশটিকে বিশ্বের অন্যতম খনিজ উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত করবে।
মার্কিন ভূতত্ত্ববিদ জ্যাক মেডলিন বলেন, আফগানিস্তানের খনিজ সম্পদের খবর খুব আশাপ্রদ ও বিস্ময়কর। তবে, খনিজ সম্পদের অর্থনৈতিক বিস্ফোরণের জন্য আফগানিস্তানের মতো দেশের অনেক সময়ের প্রয়োজন হবে।
পেন্টাগনের কর্মকর্তা পল এ ব্রিনকলি বলেন, আফগানিস্তানের মতো শিল্পে অনভিজ্ঞ দেশে খনিজ সম্পদ নিয়ে দায়িত্বশীল অভিযাত্রা শুরু করতে হবে। ক্ষেত্র প্রস্তুত করে আগামী বছরের মধ্যেই এ অভিযাত্রা শুরু হতে পারে।
No comments