১৩ যখন সৌভাগ্য
ফুটবলারদের কুসংস্কারের কথা কমবেশি সবারই জানা। কোনো এক পায়ের মোজা আগে পরা, মাঠে সবার পরে ঢোকা, এমনকি গোলবার চুমু খাওয়ার (ফ্রান্সের লরাঁ ব্লঁ ও ফাবিয়েন বার্থেজ স্মর্তব্য) মতো উদ্ভট অভ্যাস—সংস্কারের লেখাজোকা নেই।
ইংলিশ ডিফেন্ডার জন টেরির কিছু অভ্যাস আছে, যা ঠিকঠিক মেনে চলতে কস্মিনকালেও ভোলেন না তিনি। যেমন টিমের বাসে সব সময় একটি নির্দিষ্ট আসনেই বসেন এই চেলসি তারকা। তাঁর সহযোদ্ধা জারমে ডিফোর বিশ্বাস, খেলার আগে চুল কাটালে চোট থেকে বাঁচা যাবে।
অনেকের বাতিক আবার জার্সির নম্বর নিয়ে। দশ নম্বর নিয়ে এই ‘আদিখ্যেতা’ না হয় মানা যায়। তাই বলে তেরো? অপয়া হিসেবে পরিচিত এই নম্বরই নাকি অনেকের পছন্দ। অন্তত এ নিয়ে আপত্তি নেই তাঁদের। এবারের বিশ্বকাপে পাক্কা বত্রিশ জন ১৩ নম্বর পরে খেলছেন। তেরো নম্বরধারীদের একজন উরুগুয়ের স্ট্রাইকার সেবাস্টিয়ান আবরিউ। ‘আনলাকি থার্টিন’ গায়ে খেলা নিয়ে তাঁর কোনো সমস্যা নেই, জানিয়েছেন আবরিউ। তবে এ-ও জানালেন দেশে লোকে তাঁকে ‘এল লোকো’ বা পাগলা বলেই ডাকে।
ব্রাজিলের বোটাফোগোতে খেলা আবরিউ নাকি যে দলেই খেলেন সব সময়ই তেরো নম্বর জার্সি চেয়ে নেন। খেলোয়াড় হিসেবে দুবারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন আর ১৯৭০-এর কাপজয়ী কোচ ব্রাজিলের মারিও জাগালোও তেরোর ভক্ত। তাঁর পছন্দের কারণটা বেশ মজার। ‘তেরো নম্বরটা আমার পছন্দের ছিল। কারণটা হচ্ছে আমার বউ সেইন্ট অ্যান্টনির ভক্ত। আর সেইন্ট অ্যান্টনির বার্ষিক ফিস্ট হয় ১৩ জুন।’
আবার ফ্রান্সের ১৩ নম্বরের মালিক প্যাট্রিস ইভরা কোচের মতো কুসংস্কারের ধার ধারেন না। বৃশ্চিক রাশির জাতক এমন কাউকে দলে নেন না ডমেনেখ। তার পরও আবার বলেন, ‘আমি মোটেই কুসংস্কারে বিশ্বাসী না।’
বিশ্বকাপে এশিয়ার দেশগুলোর অনেক তারকা হয়তো সচেতনভাবেই ‘চার’ সংখ্যাটা এড়িয়ে চলেন। কাজেই চার নম্বরধারী ত্রয়ী জাপানের মার্কাস তুলিও তানাকা, দক্ষিণ কোরিয়ার চো ইয়ং-হাইউং আর উত্তর কোরিয়ার পাক নাম-চোলের বিশ্বকাপ কেমন হয় অনেকেই হয়তো নজর রাখবেন সেদিকে।
তেরোর ভালো-মন্দ নিয়ে কয়েকটি মিশ্র রেকর্ড দিয়ে শেষ করা যাক। এবার জার্মানির পক্ষে তেরো নম্বর পরে নামার কথা ছিল অভিজ্ঞ মাইকেল বালাকের। কিন্তু গোড়ালির চোট বিশ্বকাপ-স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছে তাঁর। বালাকের জায়গায় খেলছেন টমাস মুলার। ১৯৭৪-এর ফাইনালে জার্মানির কাছে হারার সময় হল্যান্ডের ইয়োহান নিসকেন্সের পরনে ছিল ১৩। কিন্তু এই ম্যাচের ফলই আবার আনলাকি থার্টিন তত্ত্বকে একটা বড় ধাক্কা দিতে যথেষ্ট। কারণ, ম্যাচে জয়সূচক গোল করা জার্ড মুলারের নম্বরও ছিল তেরোই!
ইংলিশ ডিফেন্ডার জন টেরির কিছু অভ্যাস আছে, যা ঠিকঠিক মেনে চলতে কস্মিনকালেও ভোলেন না তিনি। যেমন টিমের বাসে সব সময় একটি নির্দিষ্ট আসনেই বসেন এই চেলসি তারকা। তাঁর সহযোদ্ধা জারমে ডিফোর বিশ্বাস, খেলার আগে চুল কাটালে চোট থেকে বাঁচা যাবে।
অনেকের বাতিক আবার জার্সির নম্বর নিয়ে। দশ নম্বর নিয়ে এই ‘আদিখ্যেতা’ না হয় মানা যায়। তাই বলে তেরো? অপয়া হিসেবে পরিচিত এই নম্বরই নাকি অনেকের পছন্দ। অন্তত এ নিয়ে আপত্তি নেই তাঁদের। এবারের বিশ্বকাপে পাক্কা বত্রিশ জন ১৩ নম্বর পরে খেলছেন। তেরো নম্বরধারীদের একজন উরুগুয়ের স্ট্রাইকার সেবাস্টিয়ান আবরিউ। ‘আনলাকি থার্টিন’ গায়ে খেলা নিয়ে তাঁর কোনো সমস্যা নেই, জানিয়েছেন আবরিউ। তবে এ-ও জানালেন দেশে লোকে তাঁকে ‘এল লোকো’ বা পাগলা বলেই ডাকে।
ব্রাজিলের বোটাফোগোতে খেলা আবরিউ নাকি যে দলেই খেলেন সব সময়ই তেরো নম্বর জার্সি চেয়ে নেন। খেলোয়াড় হিসেবে দুবারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন আর ১৯৭০-এর কাপজয়ী কোচ ব্রাজিলের মারিও জাগালোও তেরোর ভক্ত। তাঁর পছন্দের কারণটা বেশ মজার। ‘তেরো নম্বরটা আমার পছন্দের ছিল। কারণটা হচ্ছে আমার বউ সেইন্ট অ্যান্টনির ভক্ত। আর সেইন্ট অ্যান্টনির বার্ষিক ফিস্ট হয় ১৩ জুন।’
আবার ফ্রান্সের ১৩ নম্বরের মালিক প্যাট্রিস ইভরা কোচের মতো কুসংস্কারের ধার ধারেন না। বৃশ্চিক রাশির জাতক এমন কাউকে দলে নেন না ডমেনেখ। তার পরও আবার বলেন, ‘আমি মোটেই কুসংস্কারে বিশ্বাসী না।’
বিশ্বকাপে এশিয়ার দেশগুলোর অনেক তারকা হয়তো সচেতনভাবেই ‘চার’ সংখ্যাটা এড়িয়ে চলেন। কাজেই চার নম্বরধারী ত্রয়ী জাপানের মার্কাস তুলিও তানাকা, দক্ষিণ কোরিয়ার চো ইয়ং-হাইউং আর উত্তর কোরিয়ার পাক নাম-চোলের বিশ্বকাপ কেমন হয় অনেকেই হয়তো নজর রাখবেন সেদিকে।
তেরোর ভালো-মন্দ নিয়ে কয়েকটি মিশ্র রেকর্ড দিয়ে শেষ করা যাক। এবার জার্মানির পক্ষে তেরো নম্বর পরে নামার কথা ছিল অভিজ্ঞ মাইকেল বালাকের। কিন্তু গোড়ালির চোট বিশ্বকাপ-স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছে তাঁর। বালাকের জায়গায় খেলছেন টমাস মুলার। ১৯৭৪-এর ফাইনালে জার্মানির কাছে হারার সময় হল্যান্ডের ইয়োহান নিসকেন্সের পরনে ছিল ১৩। কিন্তু এই ম্যাচের ফলই আবার আনলাকি থার্টিন তত্ত্বকে একটা বড় ধাক্কা দিতে যথেষ্ট। কারণ, ম্যাচে জয়সূচক গোল করা জার্ড মুলারের নম্বরও ছিল তেরোই!
No comments