বিশ্বকাপ বড় ব্যবসাও
এবারের বিশ্বকাপ আর্থিক দিকের বিবেচনায় সুবিশাল এক আয়োজন। ক্রীড়াব্যবসার ইতিহাসে এবারের আসর অনন্য।
বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক ফিফার মহাসচিব জেরোম ভালকে জানিয়েছেন, এবারের বিশ্বকাপ থেকে পুরো ১০০ কোটি মার্কিন ডলার আয় হবে বলেই তাঁদের প্রত্যাশা।
কিছু হিসাবে দেখা গেছে, প্রতিটি খেলার দর্শক আলাদাভাবে ধরা হলে এক মাসের এই টুর্নামেন্টের ৬৪টি খেলা দেখবে মোট তিন হাজার কোটি দর্শক। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, দুনিয়াজুড়ে ফুটবলে আগ্রহ বাড়ার পাশাপাশি গণমাধ্যমের প্রসারও দর্শকের এই সংখ্যাবৃদ্ধির একটা বড় কারণ। এত দিন প্রচলিত টেলিভিশনই দূর থেকে খেলা দেখার একমাত্র উপায় ছিল। এখন মোবাইল ফোন আর ইন্টারনেটের প্রসার খেলা দেখার ধরনটাকে অনেকখানি পাল্টে দেওয়ার পাশাপাশি দর্শকশ্রোতার সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছে অনেক। আর এই দর্শকসংখ্যার টানেই গোটা দুনিয়ার সম্প্রচারপ্রতিষ্ঠানগুলো আয়োজক ফিফার কাছ থেকে লাখ লাখ এমনকি কখনো বা কোটি কোটি ডলার দামে খেলা দেখানোর স্বত্ব কিনছে। অগণিত এই সম্ভাব্য ভোক্তার কাছে যাওয়ার সুযোগ ছাড়তে রাজি নয় নামী ব্র্যান্ড আর বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানগুলোও। পুরো বছরের জন্য নয়, শুধু এই বিশ্বকাপের স্পনসর হতেই ফিফাকে কোটি কোটি ডলার দিয়েছে তারা। এ হিসাব বছরব্যাপী ফিফার সহযোগী হওয়া সুযোগের বাইরে। ফিফা তার সহযোগী হতে সুযোগ দিয়েও প্রচুর অর্থ আয় করে। কোকাকোলার মতো অনেক জায়ান্ট তাদের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপনী প্রচারণা শুরু করবে এই বিশ্বকাপকে ঘিরেই। বড় বড় ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন তাদের নিজেদের প্রচারণার পাশাপাশি বিশ্বকাপ নিয়েও মানুষের আগ্রহ বাড়াবে। ফিফার তাতেও লাভ। বিশ্বকাপ নিয়ে আগ্রহ বাড়লে ফিফার নানা পণ্যের বিক্রিও বাড়বে। অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে ফুটবল বা ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপ লেখা পোশাকের মতো রাজ্যের জিনিসপত্র বিক্রি থেকে আসবে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা।
আফ্রিকায় এটিই প্রথম বিশ্বকাপ বলে এবার এ নিয়ে মহাদেশটির ভেতরে-বাইরে রয়েছে বাড়তি আগ্রহ। অ্যাডিডাসের ‘জাবুলানি’ বল ইতিমধ্যেই বিক্রি হয়েছে দেড় কোটির বেশি। আর এ থেকে ফিফার তহবিলে যাবে প্রায় ২০ কোটি ডলার। বিশ্বকাপ-সংক্রান্ত পণ্য বিক্রি ফিফার জন্য বিশাল এক আয়ের উর্যাস, যা টুর্নামেন্টের পরও টাকা আনবে। ফুটবলাররা জাবুলানি বলের যে খুঁত ধরেছেন, তা এটা নিয়ে লোকের আগ্রহ আরও বাড়িয়েই দেবে। আর তাতে বিক্রি আরও বেড়ে যাবে।
টিভি স্বত্ব, স্পনসরশিপ আর বিশ্বকাপের ছাপ মারা পণ্য বেচে পাওয়া টাকার আড়ালেই থাকে খেলার টিকিট বিক্রির অর্থ। ফিফার জন্য একসময় এটাই ছিল প্রাথমিক আয়ের উর্যাস। ফিফা প্রায় ৩০ লাখ টিকিট বিক্রি করবে। বিশেষ করে স্থানীয়দের মধ্যে টিকিট বিক্রি প্রত্যাশার চেয়ে কিছু কম হয়েছে বলে মিডিয়ার সমালোচনা সইতে হয়েছে ফিফাকে। এর পেছনে অবশ্য আর যা-ই হোক, দর্শকের আগ্রহের অভাব দায়ী নয়। অনলাইনে টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা থাকলেও দক্ষিণ আফ্রিকায় এখনো ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা তেমন বেশি নয় বলে অনেকে চাইলেও টিকিট কিনতে পারেনি। তবে টিকিট বিক্রি থেকে ফিফার আয় মোট উপার্জনের খুবই সামান্য অংশ বলে আর্থিক দিক থেকে তাতে কিছু আসে-যায় না।
বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক ফিফার মহাসচিব জেরোম ভালকে জানিয়েছেন, এবারের বিশ্বকাপ থেকে পুরো ১০০ কোটি মার্কিন ডলার আয় হবে বলেই তাঁদের প্রত্যাশা।
কিছু হিসাবে দেখা গেছে, প্রতিটি খেলার দর্শক আলাদাভাবে ধরা হলে এক মাসের এই টুর্নামেন্টের ৬৪টি খেলা দেখবে মোট তিন হাজার কোটি দর্শক। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, দুনিয়াজুড়ে ফুটবলে আগ্রহ বাড়ার পাশাপাশি গণমাধ্যমের প্রসারও দর্শকের এই সংখ্যাবৃদ্ধির একটা বড় কারণ। এত দিন প্রচলিত টেলিভিশনই দূর থেকে খেলা দেখার একমাত্র উপায় ছিল। এখন মোবাইল ফোন আর ইন্টারনেটের প্রসার খেলা দেখার ধরনটাকে অনেকখানি পাল্টে দেওয়ার পাশাপাশি দর্শকশ্রোতার সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছে অনেক। আর এই দর্শকসংখ্যার টানেই গোটা দুনিয়ার সম্প্রচারপ্রতিষ্ঠানগুলো আয়োজক ফিফার কাছ থেকে লাখ লাখ এমনকি কখনো বা কোটি কোটি ডলার দামে খেলা দেখানোর স্বত্ব কিনছে। অগণিত এই সম্ভাব্য ভোক্তার কাছে যাওয়ার সুযোগ ছাড়তে রাজি নয় নামী ব্র্যান্ড আর বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানগুলোও। পুরো বছরের জন্য নয়, শুধু এই বিশ্বকাপের স্পনসর হতেই ফিফাকে কোটি কোটি ডলার দিয়েছে তারা। এ হিসাব বছরব্যাপী ফিফার সহযোগী হওয়া সুযোগের বাইরে। ফিফা তার সহযোগী হতে সুযোগ দিয়েও প্রচুর অর্থ আয় করে। কোকাকোলার মতো অনেক জায়ান্ট তাদের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপনী প্রচারণা শুরু করবে এই বিশ্বকাপকে ঘিরেই। বড় বড় ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন তাদের নিজেদের প্রচারণার পাশাপাশি বিশ্বকাপ নিয়েও মানুষের আগ্রহ বাড়াবে। ফিফার তাতেও লাভ। বিশ্বকাপ নিয়ে আগ্রহ বাড়লে ফিফার নানা পণ্যের বিক্রিও বাড়বে। অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে ফুটবল বা ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপ লেখা পোশাকের মতো রাজ্যের জিনিসপত্র বিক্রি থেকে আসবে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা।
আফ্রিকায় এটিই প্রথম বিশ্বকাপ বলে এবার এ নিয়ে মহাদেশটির ভেতরে-বাইরে রয়েছে বাড়তি আগ্রহ। অ্যাডিডাসের ‘জাবুলানি’ বল ইতিমধ্যেই বিক্রি হয়েছে দেড় কোটির বেশি। আর এ থেকে ফিফার তহবিলে যাবে প্রায় ২০ কোটি ডলার। বিশ্বকাপ-সংক্রান্ত পণ্য বিক্রি ফিফার জন্য বিশাল এক আয়ের উর্যাস, যা টুর্নামেন্টের পরও টাকা আনবে। ফুটবলাররা জাবুলানি বলের যে খুঁত ধরেছেন, তা এটা নিয়ে লোকের আগ্রহ আরও বাড়িয়েই দেবে। আর তাতে বিক্রি আরও বেড়ে যাবে।
টিভি স্বত্ব, স্পনসরশিপ আর বিশ্বকাপের ছাপ মারা পণ্য বেচে পাওয়া টাকার আড়ালেই থাকে খেলার টিকিট বিক্রির অর্থ। ফিফার জন্য একসময় এটাই ছিল প্রাথমিক আয়ের উর্যাস। ফিফা প্রায় ৩০ লাখ টিকিট বিক্রি করবে। বিশেষ করে স্থানীয়দের মধ্যে টিকিট বিক্রি প্রত্যাশার চেয়ে কিছু কম হয়েছে বলে মিডিয়ার সমালোচনা সইতে হয়েছে ফিফাকে। এর পেছনে অবশ্য আর যা-ই হোক, দর্শকের আগ্রহের অভাব দায়ী নয়। অনলাইনে টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা থাকলেও দক্ষিণ আফ্রিকায় এখনো ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা তেমন বেশি নয় বলে অনেকে চাইলেও টিকিট কিনতে পারেনি। তবে টিকিট বিক্রি থেকে ফিফার আয় মোট উপার্জনের খুবই সামান্য অংশ বলে আর্থিক দিক থেকে তাতে কিছু আসে-যায় না।
No comments