সংসদে ১১,৯৮৭ কোটি টাকার সম্পূরক বাজেট অনুমোদন
২০০৯-১০ অর্থবছরে ১১ হাজার ৯৮৭ কোটি ৮০ লাখ ৮৭ হাজার টাকার সম্পূরক বাজেট বা অতিরিক্ত ব্যয় নির্বাহের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় সংসদ। ৩৯টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনুকূলে এই অতিরিক্ত ব্যয় অনুমোদন করা হয়।
স্পিকার আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার সম্পূরক বাজেট অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে উপস্থিত ছিলেন। তবে বিরোধী দলের সদস্যরা গতকালও সংসদে যোগ দেননি।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সম্পূরক বাজেট সম্পর্কিত নির্দিষ্টকরণ বিলটি উত্থাপন করেন। দুপুর পৌনে একটায় বিল পাসের পর সংসদের বৈঠক আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
এর আগে জাতীয় সংসদে বেলা সোয়া ১১টায় অধিবেশন শুরু হয়। সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান, সাংসদ ফজলে রাব্বী, সৈয়দ আলী আশরাফ। সাংসদেরা অতিরিক্ত ব্যয় যৌক্তিক কারণে করতে হয়েছে বলে মত প্রকাশ করেন। তাঁরা চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে সাফল্যের জন্য সরকার ও অর্থমন্ত্রীর প্রশংসা করেন।
এ পর্যায়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আগামী তিন বছরের মধ্যে সরকারি ব্যয় জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) ২০ শতাংশে উন্নীত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, ২০১০-১১ অর্থবছরের জন্য এক লাখ ৩২ হাজার ১৭০ কোটি টাকার যে ব্যয় প্রস্তাব বাজেটে করা হয়েছে, তা জিডিপির ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকারি ব্যয় অত্যন্ত নিম্নপর্যায়ের। গতবার আমরা তা বাড়িয়েছি, এবারও বাড়াচ্ছি। আগামী তিন বছরের মধ্যে আমাদের ব্যয় জিডিপির ২০ শতাংশে পৌঁছাবে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী বাজেটে চিনির ওপর আমদানি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাবে ইতিমধ্যে চিনির দাম বাড়তে শুরু করেছে। এ ছাড়া চালসহ আরও কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামও বাজেটের পর বেড়েছে। বাজেট প্রস্তাবের পরই দাম বাড়ানোর মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
বাজেট বাস্তবায়ন সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী সংসদকে বলেন, ‘আমাদের বাস্তবায়ন ক্ষমতা দুর্বল, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু আমরা সক্ষমতা আহরণ করছি।’
চলতি অর্থবছরের বাজেটের সংশোধিত এডিপি ২৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকার খুব কাছাকাছি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সম্পূরক বাজেটে সর্বাধিক অতিরিক্ত ব্যয় নির্বাহের অনুমোদন পায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগ। এই মন্ত্রণালয়ের অধীনে অনুন্নয়ন ও উন্নয়ন ব্যয় মিলে চার হাজার ৮৯৪ কোটি ১৫ লাখ ৯৩ হাজার টাকার অতিরিক্ত ব্যয় নির্বাহের অনুমোদন দেয় জাতীয় সংসদ। তারপর রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ খাতে এক হাজার ৫৫৫ কোটি ৯৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত ব্যয় অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় খাতে তৃতীয় অতিরিক্ত ব্যয় অনুমোদন করে জাতীয় সংসদ। এ খাতে অতিরিক্ত ৮২৩ কোটি ১৫ লাখ ২৯ হাজার কোটি টাকার ব্যয় করা হচ্ছে।
সবচেয়ে কম অতিরিক্ত ব্যয় করা হচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন খাতে। এখানে অতিরিক্ত ব্যয় অনুমোদন করা হয়েছে ৬৯ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।
উল্লেখ্য, চলতি ২০০৯-১০ অর্থবছরের মূল বাজেটে মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল এক লাখ ১৩ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা। কিন্তু সংশোধিত বাজেটে ৩৯টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনুকূলে ১১ হাজার ৯৮৭ কোটি টাকা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি ১৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ১৫ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা ব্যয় করা যায়নি বা হ্রাস পেয়েছে। এতে সার্বিকভাবে তিন হাজার ২৯৬ কোটি টাকা কম খরচ হয়।
ফলে সংশোধিত বাজেটের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ১০ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৬ শতাংশ। সংশোধিত বাজেটের মধ্যে উন্নয়ন ব্যয় ২৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ও অনুন্নয়ন ব্যয় ৮২ হাজার ২৩ কোটি টাকা।
মূল বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং অনুন্নয়ন ব্যয় ৮৩ হাজার ৩১৯ কোটি টাকা।
স্পিকার আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার সম্পূরক বাজেট অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে উপস্থিত ছিলেন। তবে বিরোধী দলের সদস্যরা গতকালও সংসদে যোগ দেননি।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সম্পূরক বাজেট সম্পর্কিত নির্দিষ্টকরণ বিলটি উত্থাপন করেন। দুপুর পৌনে একটায় বিল পাসের পর সংসদের বৈঠক আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
এর আগে জাতীয় সংসদে বেলা সোয়া ১১টায় অধিবেশন শুরু হয়। সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান, সাংসদ ফজলে রাব্বী, সৈয়দ আলী আশরাফ। সাংসদেরা অতিরিক্ত ব্যয় যৌক্তিক কারণে করতে হয়েছে বলে মত প্রকাশ করেন। তাঁরা চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে সাফল্যের জন্য সরকার ও অর্থমন্ত্রীর প্রশংসা করেন।
এ পর্যায়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আগামী তিন বছরের মধ্যে সরকারি ব্যয় জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) ২০ শতাংশে উন্নীত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, ২০১০-১১ অর্থবছরের জন্য এক লাখ ৩২ হাজার ১৭০ কোটি টাকার যে ব্যয় প্রস্তাব বাজেটে করা হয়েছে, তা জিডিপির ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকারি ব্যয় অত্যন্ত নিম্নপর্যায়ের। গতবার আমরা তা বাড়িয়েছি, এবারও বাড়াচ্ছি। আগামী তিন বছরের মধ্যে আমাদের ব্যয় জিডিপির ২০ শতাংশে পৌঁছাবে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী বাজেটে চিনির ওপর আমদানি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাবে ইতিমধ্যে চিনির দাম বাড়তে শুরু করেছে। এ ছাড়া চালসহ আরও কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামও বাজেটের পর বেড়েছে। বাজেট প্রস্তাবের পরই দাম বাড়ানোর মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
বাজেট বাস্তবায়ন সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী সংসদকে বলেন, ‘আমাদের বাস্তবায়ন ক্ষমতা দুর্বল, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু আমরা সক্ষমতা আহরণ করছি।’
চলতি অর্থবছরের বাজেটের সংশোধিত এডিপি ২৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকার খুব কাছাকাছি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সম্পূরক বাজেটে সর্বাধিক অতিরিক্ত ব্যয় নির্বাহের অনুমোদন পায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগ। এই মন্ত্রণালয়ের অধীনে অনুন্নয়ন ও উন্নয়ন ব্যয় মিলে চার হাজার ৮৯৪ কোটি ১৫ লাখ ৯৩ হাজার টাকার অতিরিক্ত ব্যয় নির্বাহের অনুমোদন দেয় জাতীয় সংসদ। তারপর রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ খাতে এক হাজার ৫৫৫ কোটি ৯৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত ব্যয় অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় খাতে তৃতীয় অতিরিক্ত ব্যয় অনুমোদন করে জাতীয় সংসদ। এ খাতে অতিরিক্ত ৮২৩ কোটি ১৫ লাখ ২৯ হাজার কোটি টাকার ব্যয় করা হচ্ছে।
সবচেয়ে কম অতিরিক্ত ব্যয় করা হচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন খাতে। এখানে অতিরিক্ত ব্যয় অনুমোদন করা হয়েছে ৬৯ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।
উল্লেখ্য, চলতি ২০০৯-১০ অর্থবছরের মূল বাজেটে মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল এক লাখ ১৩ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা। কিন্তু সংশোধিত বাজেটে ৩৯টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনুকূলে ১১ হাজার ৯৮৭ কোটি টাকা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি ১৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ১৫ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা ব্যয় করা যায়নি বা হ্রাস পেয়েছে। এতে সার্বিকভাবে তিন হাজার ২৯৬ কোটি টাকা কম খরচ হয়।
ফলে সংশোধিত বাজেটের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ১০ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৬ শতাংশ। সংশোধিত বাজেটের মধ্যে উন্নয়ন ব্যয় ২৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ও অনুন্নয়ন ব্যয় ৮২ হাজার ২৩ কোটি টাকা।
মূল বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং অনুন্নয়ন ব্যয় ৮৩ হাজার ৩১৯ কোটি টাকা।
No comments