বাস্তবায়নের নির্দেশনা জারি



বিশ্বমন্দা মোকাবিলায় রপ্তানি খাতের জন্য সরকার যে প্রণোদনা গুচ্ছ ঘোষণা করেছে, তা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই প্রণোদনা গুচ্ছের আওতায় বস্ত্র ও তৈরি পোশাক খাত যেভাবে যেসব সুবিধা পাবে, তার বিস্তারিত প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত সপ্তাহে এক সার্কুলারে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকগুলোকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছে।
এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডা বাদে অন্য যেকোনো বাজারে বস্ত্র ও পোশাকসামগ্রী এবং বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সদস্য কারখানায় উৎপাদিত প্রত্যক্ষ সুতা রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে এই গুচ্ছ সুবিধা ২০০৯ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়কালে জাহাজীকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পণ্য রপ্তানির বিপরীতে চলতি অর্থবছরের জন্য পাঁচ শতাংশ হারে, আগামী অর্থবছরে চার শতাংশ হারে এবং তার পরের বা ২০১১-১২ অর্থবছরে দুই শতাংশ হারে সুবিধা প্রদান করা হবে।
রপ্তানিমূল্য প্রত্যাবাসনের তারিখ থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে নগদ সহায়তার জন্য আবেদন করতে হবে। আর ব্যাংকগুলোকে প্রতিটি আবেদনপত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত অডিট ফার্ম দিয়ে নিরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।
দ্বিতীয় প্রণোদনা গুচ্ছের সুবিধা পেতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি রপ্তানিকারকদের জন্যও পৃথক নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
গত অর্থবছর যেসব উৎপাদক-রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ৩৫ লাখ ডলার পর্যন্ত পণ্য (বস্ত্র বা বস্ত্রজাত) রপ্তানি করেছে এবং যারা কোনো বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন নয়, তারাই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প হিসেবে বিবেচিত হবে।
এখন এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যারা গত অর্থবছর রপ্তানির বিপরীতে পাঁচ শতাংশ নগদ সহায়তা পেয়েছে অথবা যাদের আবেদন বিবেচনাধীন, তাদের গত অর্থবছরের রপ্তানির বিপরীতে প্রদত্ত বা প্রদেয় পাঁচ শতাংশের অতিরিক্ত আরও পাঁচ শতাংশ নগদ সহায়তা দেওয়া হবে।
তবে এসব প্রতিষ্ঠান যে কোনো বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন নয়, সে সম্পর্কে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) অথবা বাংলাদেশ নিট পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র আনতে হবে।
যথাযথভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাদের নগদ সহায়তার অর্থ ছাড় করা হবে।
এ ছাড়া বস্ত্র খাতের যেসব ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান ক্যাপটিভ জেনারেটর ব্যবহার করে না, তারা চলতি অর্থবছর পরিশোধিত বিদ্যুৎ বিলের ওপর ১০ শতাংশ হারে অনুদান পাবে।
এই অনুদান পেতে পরিশোধিত বিদ্যুৎ বিলের দাবি সত্যায়িত অনুলিপিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগে দাখিল করতে হবে।
এ ছাড়া এসব উৎপাদক-রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের যে কোনো জেনারেটর নেই, তা বিজিএমইএ বা বিকেএমইএকে প্রত্যয়ন করতে হবে।

No comments

Powered by Blogger.