উৎসে কর হার অপরিবর্তিত রাখার দাবি জানিয়েছে বিকেএমইএ
২০১০-১১ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে সব ধরনের রপ্তানির ক্ষেত্রে উৎসে আয়কর দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে এক শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাজেটের বর্ধিত এই উৎসে করের প্রস্তাব রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক, নিট পোশাকসহ দেশের সমগ্র রপ্তানি খাতের জন্য একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।
বাংলাদেশ নিট পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ) গতকাল সোমবার এ অভিমত ব্যক্ত করেছে। সমিতির মতে, বিশ্বব্যাপী মন্দার কারণে এমনিতেই রপ্তানি আয় কমছে। এ অবস্থায় উৎসে আয়কর চারগুণ বাড়ানো অযৌক্তিক। উৎসে আয়কর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বিকেএমইএ অর্থমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
গতকাল সোমবার বিকেএমইএর ঢাকা কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি মো. ফজলুল হক। এ সময় সমিতির সভাপতি আবদুর রাশেদ, এম এ বাসেত, এ কে এম জাহিদুল হক ভুঁইয়া এবং এম এ রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বিকেএমইএর সভাপতি মো. ফজলুল হক বলেন, ‘প্রস্তাবিত ২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেট সামগ্রিকভাবে ভালো হয়েছে। বাজেটের আকার উচ্চাভিলাষী হলেও বাস্তবায়নযোগ্য। বাজেটে চলতি অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি ছয় শতাংশ এবং আগামী অর্থবছরে ৬ দশমিক ৭০ শতাংশ প্রাক্কলন করা হয়েছে। প্রস্তাবিত হারে প্রবৃদ্ধি না হলে দেশের উন্নতি হবে কী করে?’
ফজলুল হক বলেন, বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৮০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে, যা অত্যন্ত ইতিবাচক। তা ছাড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে পাঁচ বছর মেয়াদি একটি পথ নকশা দেওয়া হয়েছে। এটি এই খাতের উন্নয়নে বড় ধরনের সহায়তা করবে। তবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের মোট বরাদ্দ বাজেটের মাত্র পাঁচ শতাংশ, যা তুলনামূলকভাবে কম।
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) সম্পর্কে ফজলুল হক বলেন, চলতি বছরে পিপিপির অগ্রগতি সন্তোষজনক না হলেও ভবিষ্যতে এ খাতে বিদ্যুৎ প্রকল্পের সংখ্যা বাড়বে।
দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সংকট মেটাতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার পাশাপাশি তিনি মধ্যমেয়াদি ও স্বলমেয়াদি প্রকল্প গ্রহণের সুপারিশ করেন। জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুতের সংকট মেটাতে বাড়তি ব্যয় সমর্থন করে ফজলুল হক বলেন, এই বাড়তি ব্যয় যেন সাধারণ জনগণের ওপর খুব বেশি না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
নিট খাত সম্পর্কে তিনি বলেন, কোনো খাতকে নির্দিষ্ট না করে প্রস্তাবিত বাজেটে দুই হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই অর্থ সমগ্র রপ্তানি খাতের সুরক্ষা হিসেবে রাখা হয়েছে, যেন বিশ্বমন্দায় দেশের রপ্তানি খাত ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তবে রপ্তানির জন্য নতুন নতুন বাজার বাড়াতে ও বাজার অনুসন্ধানে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া উচিত।
রপ্তানি আয় সম্পর্কে ফজলুল হক বলেন, চলতি অর্থবছরে এখনো পর্যন্ত রপ্তানি আয় তিন শতাংশ ঋণাত্মক রয়েছে। তার ওপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) উৎসে আয়কর চারগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এই হার বহাল থাকলে রপ্তানি আয় বাড়ানো সম্ভব হবে না। কারণ মন্দার সময় দুই থেকে পাঁচ সেন্ট দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারা অন্য দেশে চলে যায়। এ অবস্থায় উৎসে আয়কর বাড়ানো হলে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে, যা রপ্তানি আয়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
মো. ফজলুল হক বলেন, নিট পোশাক শিল্পে ৩০ লাখ জনবল কর্মরত থাকলেও প্রশিক্ষণের জন্য এই খাতের বরাদ্দ নেই। শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়াতে বাজেটে এই খাতের প্রশিক্ষণে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া উচিত ছিল।
বাজেটের বর্ধিত এই উৎসে করের প্রস্তাব রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক, নিট পোশাকসহ দেশের সমগ্র রপ্তানি খাতের জন্য একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।
বাংলাদেশ নিট পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ) গতকাল সোমবার এ অভিমত ব্যক্ত করেছে। সমিতির মতে, বিশ্বব্যাপী মন্দার কারণে এমনিতেই রপ্তানি আয় কমছে। এ অবস্থায় উৎসে আয়কর চারগুণ বাড়ানো অযৌক্তিক। উৎসে আয়কর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বিকেএমইএ অর্থমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
গতকাল সোমবার বিকেএমইএর ঢাকা কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি মো. ফজলুল হক। এ সময় সমিতির সভাপতি আবদুর রাশেদ, এম এ বাসেত, এ কে এম জাহিদুল হক ভুঁইয়া এবং এম এ রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বিকেএমইএর সভাপতি মো. ফজলুল হক বলেন, ‘প্রস্তাবিত ২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেট সামগ্রিকভাবে ভালো হয়েছে। বাজেটের আকার উচ্চাভিলাষী হলেও বাস্তবায়নযোগ্য। বাজেটে চলতি অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি ছয় শতাংশ এবং আগামী অর্থবছরে ৬ দশমিক ৭০ শতাংশ প্রাক্কলন করা হয়েছে। প্রস্তাবিত হারে প্রবৃদ্ধি না হলে দেশের উন্নতি হবে কী করে?’
ফজলুল হক বলেন, বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৮০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে, যা অত্যন্ত ইতিবাচক। তা ছাড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে পাঁচ বছর মেয়াদি একটি পথ নকশা দেওয়া হয়েছে। এটি এই খাতের উন্নয়নে বড় ধরনের সহায়তা করবে। তবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের মোট বরাদ্দ বাজেটের মাত্র পাঁচ শতাংশ, যা তুলনামূলকভাবে কম।
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) সম্পর্কে ফজলুল হক বলেন, চলতি বছরে পিপিপির অগ্রগতি সন্তোষজনক না হলেও ভবিষ্যতে এ খাতে বিদ্যুৎ প্রকল্পের সংখ্যা বাড়বে।
দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সংকট মেটাতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার পাশাপাশি তিনি মধ্যমেয়াদি ও স্বলমেয়াদি প্রকল্প গ্রহণের সুপারিশ করেন। জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুতের সংকট মেটাতে বাড়তি ব্যয় সমর্থন করে ফজলুল হক বলেন, এই বাড়তি ব্যয় যেন সাধারণ জনগণের ওপর খুব বেশি না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
নিট খাত সম্পর্কে তিনি বলেন, কোনো খাতকে নির্দিষ্ট না করে প্রস্তাবিত বাজেটে দুই হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই অর্থ সমগ্র রপ্তানি খাতের সুরক্ষা হিসেবে রাখা হয়েছে, যেন বিশ্বমন্দায় দেশের রপ্তানি খাত ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তবে রপ্তানির জন্য নতুন নতুন বাজার বাড়াতে ও বাজার অনুসন্ধানে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া উচিত।
রপ্তানি আয় সম্পর্কে ফজলুল হক বলেন, চলতি অর্থবছরে এখনো পর্যন্ত রপ্তানি আয় তিন শতাংশ ঋণাত্মক রয়েছে। তার ওপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) উৎসে আয়কর চারগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এই হার বহাল থাকলে রপ্তানি আয় বাড়ানো সম্ভব হবে না। কারণ মন্দার সময় দুই থেকে পাঁচ সেন্ট দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারা অন্য দেশে চলে যায়। এ অবস্থায় উৎসে আয়কর বাড়ানো হলে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে, যা রপ্তানি আয়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
মো. ফজলুল হক বলেন, নিট পোশাক শিল্পে ৩০ লাখ জনবল কর্মরত থাকলেও প্রশিক্ষণের জন্য এই খাতের বরাদ্দ নেই। শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়াতে বাজেটে এই খাতের প্রশিক্ষণে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া উচিত ছিল।
No comments