তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ইসরায়েল
গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী নৌবহরে হামলার ঘটনায় নিজস্ব তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ইসরায়েল। গতকাল সোমবার সে দেশের সরকারি এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি ইয়াকভ তিরকেল। কমিটির বাকি দুই সদস্য পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকবেন। তাঁরা হলেন ১৯৯৮ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী আইরিশ ডেভিড ট্রিম্বল এবং কানাডার সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা কেন ওয়াটকিন।
গত ৩১ মে আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় অবরুদ্ধ গাজাবাসীর জন্য ত্রাণবাহী ছয়টি জাহাজের একটি বহরে হামলা চালায় ইসরায়েলি কমান্ডোরা। এতে নয়জন ত্রাণকর্মী নিহত হন। আহত হয় অর্ধশতের বেশি। নিহত ত্রাণকর্মীদের সবাই তুর্কি। একজনের যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বও ছিল। হামলার পর ইসরায়েল জাহাজ ও ত্রাণকর্মীদের আটক করে। পরে ত্রাণকর্মীদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় বিশ্বজুড়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় এবং একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেয় জাতিসংঘ। কিন্তু ইসরায়েল ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে অভ্যন্তরীণভাবে এই হামলার তদন্তের ঘোষণা দেয়।
ইসরায়েল সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, এই ‘স্বাধীন গণ-কমিশন’ গঠনের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় তোলা হবে। এই কমিশন গাজা উপকূলে নৌবহর পৌঁছাতে ইসরায়েল সরকারের বাধা দেওয়ার পদক্ষেপের কার্যকারণের বিষয়ে তদন্ত করবে। তিন সদস্যের এই কমিশনের দুই পর্যবেক্ষক শুনানি ও পরবর্তী আলোচনায় উপস্থিত থাকবেন। তবে তারা তদন্তের ফলাফলের ব্যাপারে কোনো ভোট দিতে পারবেন না।
ইসরায়েলের এই তদন্ত কমিশন গঠনের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র রবার্ট গিবস বলেন, ‘আমরা আশা করছি, ইসরায়েলের এই কমিশন ও সামরিক বাহিনীর তদন্ত দ্রুত শেষ হবে। আমরা আরও আশা করছি, তদন্ত শেষ হওয়ার পর তদন্তের ফল প্রকাশ করা হবে এবং তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে উপস্থাপন করা হবে।
গাজা অবরোধ বেআইনি: আইসিআরসি
ইসরায়েলের গাজা অবরোধ জেনেভা সনদ ভঙ্গ করেছে বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেডক্রস (আইসিআরসি)। সংস্থাটি দ্রুত এই অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য ইসরায়েল সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
গতকাল আইসিআরসির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গাজার সব বেসামরিক নাগরিককে এমন কাজের জন্য শাস্তি দেওয়া হচ্ছে, যার দায়দায়িত্ব তাদের নয়। তাই গাজার ওপর এই অবরোধ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের পরিষ্কার বরখেলাপ।’ ১৯৪৯ সালে গৃহীত জেনেভা সনদে কোনো একটি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সমন্বিত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইসরায়েল ওই সনদে স্বাক্ষরকারী একটি দেশ। আইসিআরসি বলছে, গাজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ বন্ধ করার এ ধরনের অবরোধ অনৈতিক। তিন বছর ধরে গাজা অবরোধ করে রেখেছে ইসরায়েল।
গত ৩১ মে আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় অবরুদ্ধ গাজাবাসীর জন্য ত্রাণবাহী ছয়টি জাহাজের একটি বহরে হামলা চালায় ইসরায়েলি কমান্ডোরা। এতে নয়জন ত্রাণকর্মী নিহত হন। আহত হয় অর্ধশতের বেশি। নিহত ত্রাণকর্মীদের সবাই তুর্কি। একজনের যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বও ছিল। হামলার পর ইসরায়েল জাহাজ ও ত্রাণকর্মীদের আটক করে। পরে ত্রাণকর্মীদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় বিশ্বজুড়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় এবং একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেয় জাতিসংঘ। কিন্তু ইসরায়েল ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে অভ্যন্তরীণভাবে এই হামলার তদন্তের ঘোষণা দেয়।
ইসরায়েল সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, এই ‘স্বাধীন গণ-কমিশন’ গঠনের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় তোলা হবে। এই কমিশন গাজা উপকূলে নৌবহর পৌঁছাতে ইসরায়েল সরকারের বাধা দেওয়ার পদক্ষেপের কার্যকারণের বিষয়ে তদন্ত করবে। তিন সদস্যের এই কমিশনের দুই পর্যবেক্ষক শুনানি ও পরবর্তী আলোচনায় উপস্থিত থাকবেন। তবে তারা তদন্তের ফলাফলের ব্যাপারে কোনো ভোট দিতে পারবেন না।
ইসরায়েলের এই তদন্ত কমিশন গঠনের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র রবার্ট গিবস বলেন, ‘আমরা আশা করছি, ইসরায়েলের এই কমিশন ও সামরিক বাহিনীর তদন্ত দ্রুত শেষ হবে। আমরা আরও আশা করছি, তদন্ত শেষ হওয়ার পর তদন্তের ফল প্রকাশ করা হবে এবং তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে উপস্থাপন করা হবে।
গাজা অবরোধ বেআইনি: আইসিআরসি
ইসরায়েলের গাজা অবরোধ জেনেভা সনদ ভঙ্গ করেছে বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেডক্রস (আইসিআরসি)। সংস্থাটি দ্রুত এই অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য ইসরায়েল সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
গতকাল আইসিআরসির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গাজার সব বেসামরিক নাগরিককে এমন কাজের জন্য শাস্তি দেওয়া হচ্ছে, যার দায়দায়িত্ব তাদের নয়। তাই গাজার ওপর এই অবরোধ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের পরিষ্কার বরখেলাপ।’ ১৯৪৯ সালে গৃহীত জেনেভা সনদে কোনো একটি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সমন্বিত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইসরায়েল ওই সনদে স্বাক্ষরকারী একটি দেশ। আইসিআরসি বলছে, গাজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ বন্ধ করার এ ধরনের অবরোধ অনৈতিক। তিন বছর ধরে গাজা অবরোধ করে রেখেছে ইসরায়েল।
No comments