চীনা তাইপের কাছে হারল বাংলাদেশ
মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ড্রেসিংরুমের ভেতরে ঢুকতেই ঠান্ডা বাতাসের ঝাপটা গায়ে লাগে। কিন্তু ওই শীতল কক্ষেও হকি খেলোয়াড়েরা রাগে-ক্ষোভে-বিস্ময়ে একাকার। রাসেল মাহমুদ (জিমি) বিস্মিত, ‘আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছে না, ৭-৫ গোলে হেরেছি আমরা।’ অধিনায়ক মশিউর রহমান (বিপ্লব), স্ট্রাইকার মামুনুর রহমান (চয়ন) মূর্তির মতো বসে। হারের কোনো ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছেন না তাঁরা! রবি এশিয়ান গেমস বাছাই হকিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যে স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ, দ্বিতীয় ম্যাচেই তা হোঁচট খেল। এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত প্রথমবারের মতো চীনা তাইপের কাছে হারল ৫-৭ গোলে।
অথচ কী দুর্দান্ত শুরুটাই না হয়েছিল বাংলাদেশের! শুরুতেই আক্রমণ। ৫ মিনিটের মাথায় গোল পেয়ে যান কামরুজ্জামান (রানা)। ৭ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন কৃষ্ণ। এর পরই খেই হারিয়ে পেনাল্টি কর্নার থেকে ৯ ও ১৮ মিনিটে দুটি গোল খেয়ে বসে বাংলাদেশ, গোল করেন ম্যাচসেরা খেলোয়াড় চেন ই। ২১ মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় বাংলাদেশ কালও হ্যাটট্রিক করা মামুনুরের গোলে। ২৩ মিনিটে সাই মিংয়ের গোলে আবারও এগিয়ে যায় চীনা তাইপে। এর মিনিটখানেক বাদে গোলকিপার মনোয়ার হোসেনকে উঠিয়ে মাঠে নামানো হয় জাহিদ হোসেনকে। তার পরও তাইপেকে আটকাতে পারেনি বাংলাদেশ। তাইপের বাকি গোলগুলো করেছেন চেন ই, সাই মিং, ও হু চুয়ান।
পরাজয়ে হতাশ বাংলাদেশ অধিনায়ক মশিউর রহমান, ‘দিনটাই খারাপ গেল।’ প্রতিপক্ষকে কি হালকাভাবে নিয়েছিল বাংলাদেশ? কোচ পিটার গেরহার্ডের ধারণা, ‘প্রথম ১০-১৫ মিনিট আমরা দারুণ খেলেছি। এগিয়ে যাওয়ার পরই আমাদের ছেলেদের দেখে মনে হচ্ছিল, যেন ম্যাচ জিতে গেছে ওরা। তখনই হয়তো প্রতিপক্ষকে উপেক্ষার চোখে দেখার শুরু। সেটার মূল্যও দিল।’ বাংলাদেশ দলের খেলায় ছিল অজস্র ভুল পাস, রক্ষণভাগটা ছিল দুর্বল এবং সুযোগও নষ্ট করেছে অনেক। এই পরাজয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশাটা ফিকে হয়ে গেল। তবে দ্বিতীয় হয়েও এশিয়ান গেমসে যাওয়ার আশা ছাড়ছেন না গেরহার্ড, ‘আশা করি, ভুলগুলো পরের ম্যাচে কাটিয়ে উঠতে পারব। অবশ্যই আমরা এশিয়ান গেমসের চূড়ান্ত পর্বে যাব।’
এর আগে দিনের প্রথম ম্যাচে ওমান ৫-৪ গোলে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে, দ্বিতীয় ম্যাচে সিঙ্গাপুর ৩-১ গোলে জিতেছে হংকংয়ের বিপক্ষে।
অথচ কী দুর্দান্ত শুরুটাই না হয়েছিল বাংলাদেশের! শুরুতেই আক্রমণ। ৫ মিনিটের মাথায় গোল পেয়ে যান কামরুজ্জামান (রানা)। ৭ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন কৃষ্ণ। এর পরই খেই হারিয়ে পেনাল্টি কর্নার থেকে ৯ ও ১৮ মিনিটে দুটি গোল খেয়ে বসে বাংলাদেশ, গোল করেন ম্যাচসেরা খেলোয়াড় চেন ই। ২১ মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় বাংলাদেশ কালও হ্যাটট্রিক করা মামুনুরের গোলে। ২৩ মিনিটে সাই মিংয়ের গোলে আবারও এগিয়ে যায় চীনা তাইপে। এর মিনিটখানেক বাদে গোলকিপার মনোয়ার হোসেনকে উঠিয়ে মাঠে নামানো হয় জাহিদ হোসেনকে। তার পরও তাইপেকে আটকাতে পারেনি বাংলাদেশ। তাইপের বাকি গোলগুলো করেছেন চেন ই, সাই মিং, ও হু চুয়ান।
পরাজয়ে হতাশ বাংলাদেশ অধিনায়ক মশিউর রহমান, ‘দিনটাই খারাপ গেল।’ প্রতিপক্ষকে কি হালকাভাবে নিয়েছিল বাংলাদেশ? কোচ পিটার গেরহার্ডের ধারণা, ‘প্রথম ১০-১৫ মিনিট আমরা দারুণ খেলেছি। এগিয়ে যাওয়ার পরই আমাদের ছেলেদের দেখে মনে হচ্ছিল, যেন ম্যাচ জিতে গেছে ওরা। তখনই হয়তো প্রতিপক্ষকে উপেক্ষার চোখে দেখার শুরু। সেটার মূল্যও দিল।’ বাংলাদেশ দলের খেলায় ছিল অজস্র ভুল পাস, রক্ষণভাগটা ছিল দুর্বল এবং সুযোগও নষ্ট করেছে অনেক। এই পরাজয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশাটা ফিকে হয়ে গেল। তবে দ্বিতীয় হয়েও এশিয়ান গেমসে যাওয়ার আশা ছাড়ছেন না গেরহার্ড, ‘আশা করি, ভুলগুলো পরের ম্যাচে কাটিয়ে উঠতে পারব। অবশ্যই আমরা এশিয়ান গেমসের চূড়ান্ত পর্বে যাব।’
এর আগে দিনের প্রথম ম্যাচে ওমান ৫-৪ গোলে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে, দ্বিতীয় ম্যাচে সিঙ্গাপুর ৩-১ গোলে জিতেছে হংকংয়ের বিপক্ষে।
No comments