মহাশূন্যে যাচ্ছে নিউটনের সেই আপেলগাছের অংশ
পদার্থবিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটনের মধ্যাকর্ষণতত্ত্বের পটভূমি সবারই জানা। একদিন তিনি তাঁর বাগানে একটি আপেলগাছের নিচে বসে ছিলেন। ঠিক সেই মুহূর্তে গাছ থেকে একটি আপেল পড়ল। আপেলটি ওপরে না গিয়ে নিচে কেন পড়ল, সেই চিন্তা থেকেই নিউটনের সৃষ্টি মধ্যাকর্ষণতত্ত্বের।
পদার্থবিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ এই তত্ত্ব আবিষ্কারের পর নিউটনের উত্তরসূরিরা পরবর্তী সময়ে সেই আপেলগাছটি খুবই যত্ন করে রেখেছিলেন। আপেলগাছটির একটি অংশ বর্তমানে যুক্তরাজ্যের জাতীয় বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান রয়্যাল সোসাইটিতে রয়েছে।
একালের বিজ্ঞানীদের শখ হয়েছে, আপেলগাছটির সেই অংশ মহাশূন্যে নিয়ে যাবেন। সঙ্গে বিজ্ঞানী নিউটনের একটি ছবিও। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পরবর্তী মহাকাশ মিশনে গাছটির অংশবিশেষ ও নিউটনের ছবি মহাশূন্যে পাঠাবেন তাঁরা।
রয়াল সোসাইটির ৩৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হচ্ছে এ বছর। এ উপলক্ষে নাসার বিজ্ঞানীরা মহাশূন্যে একটি নভোযান পাঠাবেন। ১২ দিনের অভিযানে নাসার মহাকাশযান আটলান্টিস ১৪ মে মহাশূন্যের উদ্দেশে উড্ডয়ন করবে। এ অভিযানে ছয়জন ক্রু অংশ নেবেন। তাঁদের মধ্যে থাকবেন ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত নভোচারী পিয়ার্স সেলার্স। তিনিই নিউটনের ছবি ও আপেলগাছটির অংশ মহাশূন্যে নেওয়ার দায়িত্ব পালন করবেন।
পিয়ার্স সেলার্স বলেন, ‘নিউটনের সেই আপেলগাছের অংশ কক্ষপথে নিয়ে যেতে পারলে আমরা খুবই আনন্দিত হব। যখন এই গাছের অংশ মহাশূন্যে নেওয়া হবে, তখন এটির মধ্যাকর্ষণশক্তির অভিজ্ঞতা হবে না। যদি এই গাছের সঙ্গে একটি আপেল থাকত, তাহলে সেটি আর নিচে পড়ত না।’ তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে, স্যার আইজ্যাক এখন বেঁচে থাকলে তিনি এই পদক্ষেপ দেখে খুবই খুশি হতেন।’ তিনি জানান, অভিযান শেষে আপেলগাছের অংশ ও নিউটনের ছবি আবার রয়াল সোসাইটিকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
রয়াল সোসাইটির সভাপতি লর্ড রিস বলেন, ‘আমরা খুবই আনন্দিত ও গর্বিত যে, বিজ্ঞানের ইতিহাসের এ ধরনের অসাধারণ একটি অংশ ও রয়াল সোসাইটির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান মহাশূন্যে ঐতিহাসিক অভিযানে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, মহাশূন্য থেকে ফিরে আসার পর আপেলগাছের অংশ ও নিউটনের ছবি রয়াল সোসাইটির প্রদর্শনী ইতিহাসের অংশ হয়ে যাবে। এ বছরের শেষ নাগাদ এগুলো প্রদর্শন করা হবে।
পিয়ার্স সেলার্স ১৯৫৫ সালে সাসেক্সে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি নাসার নভোচারী হিসেবে মনোনীত হন।
ব্রিটেনের জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমি রয়াল সোসাইটি ১৬৬০ সালের নভেম্বরে প্রতিষ্ঠিত হয়।
পদার্থবিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ এই তত্ত্ব আবিষ্কারের পর নিউটনের উত্তরসূরিরা পরবর্তী সময়ে সেই আপেলগাছটি খুবই যত্ন করে রেখেছিলেন। আপেলগাছটির একটি অংশ বর্তমানে যুক্তরাজ্যের জাতীয় বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান রয়্যাল সোসাইটিতে রয়েছে।
একালের বিজ্ঞানীদের শখ হয়েছে, আপেলগাছটির সেই অংশ মহাশূন্যে নিয়ে যাবেন। সঙ্গে বিজ্ঞানী নিউটনের একটি ছবিও। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পরবর্তী মহাকাশ মিশনে গাছটির অংশবিশেষ ও নিউটনের ছবি মহাশূন্যে পাঠাবেন তাঁরা।
রয়াল সোসাইটির ৩৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হচ্ছে এ বছর। এ উপলক্ষে নাসার বিজ্ঞানীরা মহাশূন্যে একটি নভোযান পাঠাবেন। ১২ দিনের অভিযানে নাসার মহাকাশযান আটলান্টিস ১৪ মে মহাশূন্যের উদ্দেশে উড্ডয়ন করবে। এ অভিযানে ছয়জন ক্রু অংশ নেবেন। তাঁদের মধ্যে থাকবেন ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত নভোচারী পিয়ার্স সেলার্স। তিনিই নিউটনের ছবি ও আপেলগাছটির অংশ মহাশূন্যে নেওয়ার দায়িত্ব পালন করবেন।
পিয়ার্স সেলার্স বলেন, ‘নিউটনের সেই আপেলগাছের অংশ কক্ষপথে নিয়ে যেতে পারলে আমরা খুবই আনন্দিত হব। যখন এই গাছের অংশ মহাশূন্যে নেওয়া হবে, তখন এটির মধ্যাকর্ষণশক্তির অভিজ্ঞতা হবে না। যদি এই গাছের সঙ্গে একটি আপেল থাকত, তাহলে সেটি আর নিচে পড়ত না।’ তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে, স্যার আইজ্যাক এখন বেঁচে থাকলে তিনি এই পদক্ষেপ দেখে খুবই খুশি হতেন।’ তিনি জানান, অভিযান শেষে আপেলগাছের অংশ ও নিউটনের ছবি আবার রয়াল সোসাইটিকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
রয়াল সোসাইটির সভাপতি লর্ড রিস বলেন, ‘আমরা খুবই আনন্দিত ও গর্বিত যে, বিজ্ঞানের ইতিহাসের এ ধরনের অসাধারণ একটি অংশ ও রয়াল সোসাইটির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান মহাশূন্যে ঐতিহাসিক অভিযানে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, মহাশূন্য থেকে ফিরে আসার পর আপেলগাছের অংশ ও নিউটনের ছবি রয়াল সোসাইটির প্রদর্শনী ইতিহাসের অংশ হয়ে যাবে। এ বছরের শেষ নাগাদ এগুলো প্রদর্শন করা হবে।
পিয়ার্স সেলার্স ১৯৫৫ সালে সাসেক্সে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি নাসার নভোচারী হিসেবে মনোনীত হন।
ব্রিটেনের জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমি রয়াল সোসাইটি ১৬৬০ সালের নভেম্বরে প্রতিষ্ঠিত হয়।
No comments