১৯৫০ ফিরিয়ে আনবে যুক্তরাষ্ট্র
দক্ষিণ আফ্রিকায় কি ইতিহাস ফিরিয়ে আনবে যুক্তরাষ্ট্র? ১৯৫০ বিশ্বকাপের সেই ‘মিরাকল অন গ্রাস’ কি ফিরে আসবে? বলা যায় না। এবারও গ্রুপ পর্বেই ইংল্যান্ডকে পেয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আরেকবার তাই ইংল্যান্ড-বধের স্বপ্ন দেখতেই পারেন ল্যান্ডন ডনোভানরা।
তবে এবার যুক্তরাষ্ট্র যদি ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দেয়, সেটা আর ‘মিরাকল’ হবে না। কারণ এই যুক্তরাষ্ট্র সর্বশেষ কনফেডারেশনস কাপের রানার্সআপ দল। এই যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে স্বপ্ন দেখার জোর পাচ্ছেন মার্কিন মিডফিল্ডার ডনোভান, ‘আমরা সবাই সুস্থ থাকলে প্রথম পর্ব পার হয়ে যাওয়ার একটা ভালো সুযোগ থাকবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল ইতিহাস আজকের নয়। সেই ১৯৩০ সালের প্রথম বিশ্বকাপেই বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল তারা বেলজিয়াম ও চিলিকে হারিয়ে। সেবার বিশ্বকাপে তৃতীয় হয়েছিল দলটি। তবে বিশ্বকে আসল চমকটা দিয়েছিল তারা ১৯৫০ সালে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর দুনিয়ায় ইংল্যান্ড তখন মহা শক্তিধর ফুটবল দল। সেবার বিশ্বকাপের দিনকয়েক আগেই ইংল্যান্ড এক প্রদর্শনী ম্যাচে ‘রেস্ট অব ইউরোপ’ দলকে ৬-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল! আর যুক্তরাষ্ট্র সর্বশেষ সাত ম্যাচে টানা হারের অভিজ্ঞতা নিয়ে বিশ্বকাপে এসেছিল।
সেই যুক্তরাষ্ট্রই ১-০ গোলে হারিয়ে দিল ইংল্যান্ডকে। একসময়ের উপনিবেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এমন হার সহজে হজম করতে পারেনি ইংল্যান্ড।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র আর ছোট নেই। ১৯৯০ বিশ্বকাপে ফেরার ভেতর দিয়ে নতুন করে গড়ে উঠেছে সে দেশের ফুটবল। সর্বশেষ টানা পাঁচটি বিশ্বকাপেই অংশ নিয়েছে তারা। এর মধ্যে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ফুটবল কীর্তি গড়ে ফেলেছে তারা গত বছর জুনে; খেলে ফেলেছে নিজেদের ইতিহাসের প্রথম কোনো ফিফা টুর্নামেন্টের ফাইনাল।
কনফেডারেশনস কাপে ইতালি, মিসর ও ব্রাজিলের গ্রুপে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। ভাগ্যগুণে গ্রুপ পর্ব পার হয়ে তারা সেমিফাইনালে হারিয়েছিল তখনকার র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল স্পেনকে (২-০)। ফাইনালে প্রথমার্ধে ২ গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ব্রাজিলের কাছে হেরেছিল তারা ৩-২ গোলে। ওই হার গায়ে লাগার কথা নয়। ততক্ষণে ইতিহাস গড়ে ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র!
ওই স্মৃতিটাকেই আবারও দক্ষিণ আফ্রিকায় জল ছিটিয়ে চাঙা করে তুলতে চান মার্কিন ফুটবলের প্রতীক হয়ে যাওয়া ডনোভান, ‘আমাদের চ্যালেঞ্জ হলো, দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচে সেই একই রকম চেষ্টাটা করে যাওয়া।’
একই রকম চেষ্টা করলে যে ফল আসবে, সেটাও বিশ্বাস করেন এই মিডফিল্ডার। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বকালের সর্বোচ্চ স্কোরার ডনোভান মনে করেন, কনফেডারেশনস কাপ থেকে তারা যেকোনো দলকে হারাতে পারে, এই শিক্ষাটা পেয়েছেন, ‘ওই টুর্নামেন্ট থেকে আমাদের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো, নিজেদের সেরা খেলাটা খেললে আমরা যেকোনো দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি, যেকোনো দলকে হারাতে পারি। বিশ্বে এ কথা বলার মতো দল খুব বেশি কিন্তু নেই।’
ডনোভানের কথা শুনলে ক্যাপেলো বাহিনীর একটু আতঙ্কেই থাকার কথা।
তবে এবার যুক্তরাষ্ট্র যদি ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দেয়, সেটা আর ‘মিরাকল’ হবে না। কারণ এই যুক্তরাষ্ট্র সর্বশেষ কনফেডারেশনস কাপের রানার্সআপ দল। এই যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে স্বপ্ন দেখার জোর পাচ্ছেন মার্কিন মিডফিল্ডার ডনোভান, ‘আমরা সবাই সুস্থ থাকলে প্রথম পর্ব পার হয়ে যাওয়ার একটা ভালো সুযোগ থাকবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল ইতিহাস আজকের নয়। সেই ১৯৩০ সালের প্রথম বিশ্বকাপেই বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল তারা বেলজিয়াম ও চিলিকে হারিয়ে। সেবার বিশ্বকাপে তৃতীয় হয়েছিল দলটি। তবে বিশ্বকে আসল চমকটা দিয়েছিল তারা ১৯৫০ সালে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর দুনিয়ায় ইংল্যান্ড তখন মহা শক্তিধর ফুটবল দল। সেবার বিশ্বকাপের দিনকয়েক আগেই ইংল্যান্ড এক প্রদর্শনী ম্যাচে ‘রেস্ট অব ইউরোপ’ দলকে ৬-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল! আর যুক্তরাষ্ট্র সর্বশেষ সাত ম্যাচে টানা হারের অভিজ্ঞতা নিয়ে বিশ্বকাপে এসেছিল।
সেই যুক্তরাষ্ট্রই ১-০ গোলে হারিয়ে দিল ইংল্যান্ডকে। একসময়ের উপনিবেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এমন হার সহজে হজম করতে পারেনি ইংল্যান্ড।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র আর ছোট নেই। ১৯৯০ বিশ্বকাপে ফেরার ভেতর দিয়ে নতুন করে গড়ে উঠেছে সে দেশের ফুটবল। সর্বশেষ টানা পাঁচটি বিশ্বকাপেই অংশ নিয়েছে তারা। এর মধ্যে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ফুটবল কীর্তি গড়ে ফেলেছে তারা গত বছর জুনে; খেলে ফেলেছে নিজেদের ইতিহাসের প্রথম কোনো ফিফা টুর্নামেন্টের ফাইনাল।
কনফেডারেশনস কাপে ইতালি, মিসর ও ব্রাজিলের গ্রুপে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। ভাগ্যগুণে গ্রুপ পর্ব পার হয়ে তারা সেমিফাইনালে হারিয়েছিল তখনকার র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল স্পেনকে (২-০)। ফাইনালে প্রথমার্ধে ২ গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ব্রাজিলের কাছে হেরেছিল তারা ৩-২ গোলে। ওই হার গায়ে লাগার কথা নয়। ততক্ষণে ইতিহাস গড়ে ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র!
ওই স্মৃতিটাকেই আবারও দক্ষিণ আফ্রিকায় জল ছিটিয়ে চাঙা করে তুলতে চান মার্কিন ফুটবলের প্রতীক হয়ে যাওয়া ডনোভান, ‘আমাদের চ্যালেঞ্জ হলো, দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচে সেই একই রকম চেষ্টাটা করে যাওয়া।’
একই রকম চেষ্টা করলে যে ফল আসবে, সেটাও বিশ্বাস করেন এই মিডফিল্ডার। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বকালের সর্বোচ্চ স্কোরার ডনোভান মনে করেন, কনফেডারেশনস কাপ থেকে তারা যেকোনো দলকে হারাতে পারে, এই শিক্ষাটা পেয়েছেন, ‘ওই টুর্নামেন্ট থেকে আমাদের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো, নিজেদের সেরা খেলাটা খেললে আমরা যেকোনো দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি, যেকোনো দলকে হারাতে পারি। বিশ্বে এ কথা বলার মতো দল খুব বেশি কিন্তু নেই।’
ডনোভানের কথা শুনলে ক্যাপেলো বাহিনীর একটু আতঙ্কেই থাকার কথা।
No comments