হুমকিমূলক আচরণ বন্ধ করুন
যুদ্ধংদেহী ও হুমকিমূলক আচরণ বন্ধ করার জন্য উত্তর কোরিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি ‘দক্ষিণ কোরিয়ার একটি রণতরী ডুবির জন্য উত্তর কোরিয়া দায়ী’—আন্তর্জাতিক তদন্ত প্রতিবেদনে এমন তথ্য প্রকাশ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ আহ্বান জানানো হলো। এদিকে উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, রণতরী ডুবির ঘটনায় তাদের কোনো শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা করা হলে, তারা সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করবে। অন্যদিকে চীন সরকার বলেছে, কোরীয় উপদ্বীপের শান্তি বিঘ্নিত হয়, এমন কোনো পদক্ষেপ বরদাস্ত করবে না তারা।
আন্তর্জাতিক তদন্তে দেখা গেছে, গত ২৬ মার্চ উত্তর কোরিয়ার একটি ডুবোজাহাজ থেকে ছোড়া টর্পেডোর আঘাতে দক্ষিণ কোরিয়ার চেওনান নামের যুদ্ধজাহাজটি ডুবেছে।
গত সোমবার হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র রবার্ট গিবস বলেন, ‘আমরা মনে করি, উত্তর কোরিয়ার তাদের যুদ্ধংদেহী ও হুমকিমূলক আচরণ বন্ধ করা উচিত। আমরা দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিউং-বাকের পদক্ষেপকে সমর্থন করছি।’
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কোরীয় উপদ্বীপের উত্তেজনা নিয়ে গোয়েন্দা তথ্য পর্যালোচনা করেন এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা করেন। গিবস জানান, ওবামা মার্কিন সেনা অধিনায়কদের নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁরা যেন দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীকে সহযোগিতা করেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র পি জে ক্রাউলি বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার আচরণের পরিবর্তন চায় যুক্তরাষ্ট্র। দীর্ঘদিন ধরে উত্তর কোরিয়ার প্রতি ভিন্ন ভিন্ন আচরণ মেনে নিয়েছি আমরা। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, প্রতিবারই কোনো একপর্যায়ে এসে উত্তর কোরিয়া এ ধরনের উস্কানিমূলক আচরণ করছে। আমরা পরিষ্কার জানাতে চাই, উত্তর কোরিয়াকে এর পরিণাম ভোগ করতে হবে।’
ক্রাউলি আরও বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার সরকারের সঙ্গে আমাদের ঝগড়া রয়েছে এবং এটা চলছে। আমরা বহুপক্ষীয় এবং এককভাবে পর্যালোচনা করে দেখব, কোন পন্থায় উত্তর কোরিয়ার সরকারের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা যায়। উত্তর কোরিয়ার জনগণ এখন যে দুর্দশায় আছে, তাদের এর চেয়ে বেশি দুর্দশায় ফেলা আমাদের উদ্দেশ্য নয়।’
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীকে পাঠানো উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর একটি বার্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা কেসিএনএ বলেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার ডজনখানেক যুদ্ধজাহাজ উত্তর কোরিয়ার জলসীমা লঙ্ঘন করেছে। এটা উসকানিমূলক। এর কারণে পীতসাগরে আরেকটি সামরিক সংঘাত হতে পারে। সীমানা লঙ্ঘন অব্যাহত থাকলে উত্তর কোরিয়া তার জলসীমা রক্ষায় সামরিক পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে। আর এ জন্য দক্ষিণ কোরিয়া পুরোপুরি দায়ী থাকবে।
তবে পিয়ংইয়ংয়ের এ ধরনের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। তারা বলেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো রণতরী উত্তর কোরিয়ার জলসীমা লঙ্ঘন করেনি।
তবে কোরীয় উপদ্বীপের উত্তেজনা নিয়ে সব পক্ষকে সংযত আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছে চীন। চীনের বক্তব্য, সংঘাতের চেয়ে আলোচনা শ্রেয়। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জিয়াং ইউ বলেন, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের উচিত নিজ নিজ স্বার্থে কোরীয় উপদ্বীপ ও এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। এ অঞ্চলের শান্তি বিঘ্নিত হয়, এমন কোনো পদক্ষেপ বরদাস্ত করবে না চীন।
উত্তেজনা প্রশমন নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউ মিউং-হওয়ানের সঙ্গে বৈঠক করতে চীনের শীর্ষ দূত ওউ দাওয়েই সিউল সফরে যাওয়ার পর এ বক্তব্য দিল চীন সরকার।
আন্তর্জাতিক তদন্তে দেখা গেছে, গত ২৬ মার্চ উত্তর কোরিয়ার একটি ডুবোজাহাজ থেকে ছোড়া টর্পেডোর আঘাতে দক্ষিণ কোরিয়ার চেওনান নামের যুদ্ধজাহাজটি ডুবেছে।
গত সোমবার হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র রবার্ট গিবস বলেন, ‘আমরা মনে করি, উত্তর কোরিয়ার তাদের যুদ্ধংদেহী ও হুমকিমূলক আচরণ বন্ধ করা উচিত। আমরা দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিউং-বাকের পদক্ষেপকে সমর্থন করছি।’
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কোরীয় উপদ্বীপের উত্তেজনা নিয়ে গোয়েন্দা তথ্য পর্যালোচনা করেন এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা করেন। গিবস জানান, ওবামা মার্কিন সেনা অধিনায়কদের নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁরা যেন দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীকে সহযোগিতা করেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র পি জে ক্রাউলি বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার আচরণের পরিবর্তন চায় যুক্তরাষ্ট্র। দীর্ঘদিন ধরে উত্তর কোরিয়ার প্রতি ভিন্ন ভিন্ন আচরণ মেনে নিয়েছি আমরা। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, প্রতিবারই কোনো একপর্যায়ে এসে উত্তর কোরিয়া এ ধরনের উস্কানিমূলক আচরণ করছে। আমরা পরিষ্কার জানাতে চাই, উত্তর কোরিয়াকে এর পরিণাম ভোগ করতে হবে।’
ক্রাউলি আরও বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার সরকারের সঙ্গে আমাদের ঝগড়া রয়েছে এবং এটা চলছে। আমরা বহুপক্ষীয় এবং এককভাবে পর্যালোচনা করে দেখব, কোন পন্থায় উত্তর কোরিয়ার সরকারের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা যায়। উত্তর কোরিয়ার জনগণ এখন যে দুর্দশায় আছে, তাদের এর চেয়ে বেশি দুর্দশায় ফেলা আমাদের উদ্দেশ্য নয়।’
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীকে পাঠানো উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর একটি বার্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা কেসিএনএ বলেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার ডজনখানেক যুদ্ধজাহাজ উত্তর কোরিয়ার জলসীমা লঙ্ঘন করেছে। এটা উসকানিমূলক। এর কারণে পীতসাগরে আরেকটি সামরিক সংঘাত হতে পারে। সীমানা লঙ্ঘন অব্যাহত থাকলে উত্তর কোরিয়া তার জলসীমা রক্ষায় সামরিক পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে। আর এ জন্য দক্ষিণ কোরিয়া পুরোপুরি দায়ী থাকবে।
তবে পিয়ংইয়ংয়ের এ ধরনের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। তারা বলেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো রণতরী উত্তর কোরিয়ার জলসীমা লঙ্ঘন করেনি।
তবে কোরীয় উপদ্বীপের উত্তেজনা নিয়ে সব পক্ষকে সংযত আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছে চীন। চীনের বক্তব্য, সংঘাতের চেয়ে আলোচনা শ্রেয়। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জিয়াং ইউ বলেন, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের উচিত নিজ নিজ স্বার্থে কোরীয় উপদ্বীপ ও এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। এ অঞ্চলের শান্তি বিঘ্নিত হয়, এমন কোনো পদক্ষেপ বরদাস্ত করবে না চীন।
উত্তেজনা প্রশমন নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউ মিউং-হওয়ানের সঙ্গে বৈঠক করতে চীনের শীর্ষ দূত ওউ দাওয়েই সিউল সফরে যাওয়ার পর এ বক্তব্য দিল চীন সরকার।
No comments