কাসাবের জল্লাদ হতে চান মম্মু সিং
মৃত্যুদণ্ডের আসামিকে ফাঁসিতে ঝোলানোর বিষয়টিকে একটি শিল্প মনে করেন মম্মু সিং। জীবনে আরেক দফা এই শিল্পের নিদর্শন রাখতে চান তিনি আজমল আমির কাসাবের ফাঁসি কার্যকর করে। ৬৫ বছর বয়সী মম্মু সিং ভারতের মীরাট কেন্দ্রীয় কারাগারের জল্লাদ।
মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার একমাত্র জীবিত আসামি পাকিস্তানি নাগরিক কাসাবকে সম্প্রতি মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ভারতের একটি আদালত।
মম্মু সিং বলেন, ‘কাসাবের জন্য আমি ফাঁস তৈরি করতে চাই। চাই তাঁর মৃত্যু দেখতে। কাসাবকে ফাঁসিতে ঝোলানোর আমন্ত্রণ যেন পাই, এ জন্য সর্বশক্তিমানের কাছে আমি প্রার্থনা করে যাচ্ছি।’
টিভিতে কাসাবের মৃত্যুদণ্ডাদেশের খবর শোনার পর থেকেই তাঁকে ফাঁসি দেওয়ার ব্যাপারে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন মম্মু।
জল্লাদ হিসেবে মম্মু সিংয়ের পারিবারিক ঐতিহ্য রয়েছে। তাঁর বাবা কাল্লু সিং ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর দুই হত্যাকারী কেহার সিং ও সতবন্ত সিংয়ের ফাঁসিতে জল্লাদের ভূমিকা পালন করেন। মম্মুর অভিজ্ঞতাও কম নয়। গত চার দশকে উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ ও রাজস্থানসহ বিভিন্ন রাজ্যে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ১০ জন আসামির ফাঁসি তাঁর হাতে হয়েছে।
মম্মু সিং বলেন, ‘ফাঁসি দেওয়া একটি শিল্প। ফাঁসির কাজটা সহজ করতে ফাঁস তৈরির জন্য কয়েকটি ধাপ পেরোতে হয়।’
মম্মু বলেন, কাউকে ফাঁসিতে ঝোলানোর আগে জুতসই দড়ি তৈরি করতে হয়। এ জন্য সাবান ও ঘিসহ আরও কিছু জিনিস লাগে। এসব মেখে দড়িটা মসৃণ করা হয়। এ ছাড়া ফাঁসি দেওয়ার সময় আসামিকে সঠিকভাবে দাঁড় করাতেও হয়।
মীরাটের শিব হরি মন্দির কলোনির বাসিন্দা মম্মু বলেন, ফাঁসি দেওয়ার জন্য প্রচুর সাহস ও মানসিক দৃঢ়তা প্রয়োজন। তবে মানসিকভাবে নিজেকে তৈরি করাই সবচেয়ে কঠিন কাজ। আর তিনি এ জন্য পুরোপুরি তৈরি। এত নিরীহ মানুষকে নির্বিচারে হত্যার জন্য দায়ী কাসাবকে ফাঁসিতে লটকে বেশ আত্মতৃপ্তি পাবেন বলেও নিঃসংকোচে জানিয়েছেন তিনি।
মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার একমাত্র জীবিত আসামি পাকিস্তানি নাগরিক কাসাবকে সম্প্রতি মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ভারতের একটি আদালত।
মম্মু সিং বলেন, ‘কাসাবের জন্য আমি ফাঁস তৈরি করতে চাই। চাই তাঁর মৃত্যু দেখতে। কাসাবকে ফাঁসিতে ঝোলানোর আমন্ত্রণ যেন পাই, এ জন্য সর্বশক্তিমানের কাছে আমি প্রার্থনা করে যাচ্ছি।’
টিভিতে কাসাবের মৃত্যুদণ্ডাদেশের খবর শোনার পর থেকেই তাঁকে ফাঁসি দেওয়ার ব্যাপারে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন মম্মু।
জল্লাদ হিসেবে মম্মু সিংয়ের পারিবারিক ঐতিহ্য রয়েছে। তাঁর বাবা কাল্লু সিং ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর দুই হত্যাকারী কেহার সিং ও সতবন্ত সিংয়ের ফাঁসিতে জল্লাদের ভূমিকা পালন করেন। মম্মুর অভিজ্ঞতাও কম নয়। গত চার দশকে উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ ও রাজস্থানসহ বিভিন্ন রাজ্যে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ১০ জন আসামির ফাঁসি তাঁর হাতে হয়েছে।
মম্মু সিং বলেন, ‘ফাঁসি দেওয়া একটি শিল্প। ফাঁসির কাজটা সহজ করতে ফাঁস তৈরির জন্য কয়েকটি ধাপ পেরোতে হয়।’
মম্মু বলেন, কাউকে ফাঁসিতে ঝোলানোর আগে জুতসই দড়ি তৈরি করতে হয়। এ জন্য সাবান ও ঘিসহ আরও কিছু জিনিস লাগে। এসব মেখে দড়িটা মসৃণ করা হয়। এ ছাড়া ফাঁসি দেওয়ার সময় আসামিকে সঠিকভাবে দাঁড় করাতেও হয়।
মীরাটের শিব হরি মন্দির কলোনির বাসিন্দা মম্মু বলেন, ফাঁসি দেওয়ার জন্য প্রচুর সাহস ও মানসিক দৃঢ়তা প্রয়োজন। তবে মানসিকভাবে নিজেকে তৈরি করাই সবচেয়ে কঠিন কাজ। আর তিনি এ জন্য পুরোপুরি তৈরি। এত নিরীহ মানুষকে নির্বিচারে হত্যার জন্য দায়ী কাসাবকে ফাঁসিতে লটকে বেশ আত্মতৃপ্তি পাবেন বলেও নিঃসংকোচে জানিয়েছেন তিনি।
No comments