স্বাগতিকদের কাপও
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা; স্পেন-দক্ষিণ আফ্রিকা। কী এটা? ২০১০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের লাইনআপ! ব্রাজিল ঠিক আছে। আর্জেন্টিনা, স্পেনও। কিন্তু সেরা চারের লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা! অবাক হওয়ারই কথা।
এমন ‘দুঃসাহসিক’ ভবিষ্যদ্বাণী করতে সাহস জোগাচ্ছে আসলে বিশ্বকাপের স্বাগতিক দলপ্রীতি। ১৯৮২ আর ১৯৯৪ বিশ্বকাপ ব্যতিক্রম মানলে বিশ্বকাপের স্বাগতিক দলগুলো কমপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে গেছে। ১৯৮২ বিশ্বকাপের স্বাগতিক স্পেন বিদায় নিয়েছিল দ্বিতীয় রাউন্ডে। গত ১৮টি আসরে এটাই স্বাগতিকদের সবচেয়ে খারাপ ফলাফল। কোনো স্বাগতিকেরই প্রথম রাউন্ডে বিদায় নেওয়ার নজির নেই।
স্বাগতিকদের হাতেই বিশ্বকাপের শিরোপা উঠেছে ছয়বার। ১৯৩০ আর ১৯৩৪ প্রথম দুটো আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দুই স্বাগতিক উরুগুয়ে আর ইতালি। ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ড। ১৯৭৪ সালে জার্মানি আর ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনা। স্বাগতিকদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সর্বশেষ নজির ১৯৯৮ বিশ্বকাপ, স্টাডে ডি ফ্রান্সে সোনালি ট্রফি নিয়ে উত্সবে মেতেছিল ফরাসিরাই। যেটি স্বাগতিকদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ষষ্ঠ নজির।
ছয়ের জায়গায় সংখ্যাটি সাত-ই হতো। হয়নি ব্রাজিলের কারণে। ১৯৫০ বিশ্বকাপের ফাইনালে ব্রাজিলের প্রথম শিরোপা জয়ের সাক্ষী হতে মারাকানা স্টেডিয়ামে ভিড় জমিয়েছিল লাখ দুয়েক দর্শক। গ্যালারির বাইরেও দর্শক ছিল এন্তার। কিন্তু ৭৯ মিনিটে অ্যালসিডেস ঘিগিয়ার গোল-কান্নায় ভাসাল পুরো ব্রাজিলকে। সেই দুঃখ আজও ভুলতে পারেনি ব্রাজিলের মানুষ।
স্বাগতিকদেরই ফাইনালে হারিয়ে আবার প্রথম শিরোপা জিতে অন্য রকম প্রতিশোধ নিয়েছে ব্রাজিল। ১৯৫৮ বিশ্বকাপে সুইডেনকে ২-৫ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল ব্রাজিল। ১৭ বছর বয়সী পেলে করেছিলেন জোড়া গোল। স্বাগতিকদের রানার্সআপ হওয়ার নজির এই দুটোই।
স্বাগতিকদের কমপক্ষে সেরা চারে থাকার নজিরও কিন্তু আছে চারটি। চিলির দুর্ভাগ্য, ১৯৬২ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে তাদের পড়তে হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের সামনে। শেষ পর্যন্ত ফাইনালে যেতে না পারলেও সেবার টুর্নামেন্টের স্বাগতিকেরা হয়েছিল তৃতীয়। ১৯৯০ বিশ্বকাপে তো স্বাগতিক ইতালির কপাল পুড়ল টাইব্রেকে। আর্জেন্টিনার কাছে হেরে শেষ হয়ে গেল ফাইনালে খেলার স্বপ্ন। তৃতীয় হওয়াটাই শেষ পর্যন্ত সান্ত্বনা তাদের কাছে।
স্বাগতিকদের অন্তত কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত যাওয়ার উদাহরণ আছে চারটি। বিশ্বকাপের তৃতীয় আসরেই ফ্রান্স উঠে এসেছিল সেরা আটে। সেখানে ইতালির কাছে পরাজয়, যে ইতালি পরে জেতে তাদের টানা দ্বিতীয় শিরোপা। ১৯৫৪ বিশ্বকাপে দুর্ভাগ্যই বলতে হবে সুইজারল্যান্ডের। সেমিফাইনালটা হাত দিয়ে ছোঁয়ার দূরত্বেই চলে এসেছিল তাদের। অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ১৯ মিনিটেই এগিয়ে গিয়েছিল ৩-০ গোলে। শেষ পর্যন্ত ৭-৫ গোলের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়া।
১৯৭০ বিশ্বকাপের স্বাগতিক মেক্সিকো অবশ্য ভাগ্যকে দুষতে পারবে না। ইতালির কাছে তারা হেরেছে ৪-১ গোলের ব্যবধানে। যদিও এই মেক্সিকো আসলেই ভাগ্যের কাছে হেরেছিল ১৯৬৮-তে। জার্মানির বিপক্ষে তাদের জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয়েছিল টাইব্রেকের ‘লটারি’তে।
ছয়বার চ্যাম্পিয়ন, দুবার রানার্সআপ, চারবার করে সেমিফাইনাল আর কোয়ার্টার ফাইনাল—স্বাগতিকদের প্রতি বিশ্বকাপের বাড়তি আনুকূল্যের আর কী প্রমাণ চান আপনি!
এমন ‘দুঃসাহসিক’ ভবিষ্যদ্বাণী করতে সাহস জোগাচ্ছে আসলে বিশ্বকাপের স্বাগতিক দলপ্রীতি। ১৯৮২ আর ১৯৯৪ বিশ্বকাপ ব্যতিক্রম মানলে বিশ্বকাপের স্বাগতিক দলগুলো কমপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে গেছে। ১৯৮২ বিশ্বকাপের স্বাগতিক স্পেন বিদায় নিয়েছিল দ্বিতীয় রাউন্ডে। গত ১৮টি আসরে এটাই স্বাগতিকদের সবচেয়ে খারাপ ফলাফল। কোনো স্বাগতিকেরই প্রথম রাউন্ডে বিদায় নেওয়ার নজির নেই।
স্বাগতিকদের হাতেই বিশ্বকাপের শিরোপা উঠেছে ছয়বার। ১৯৩০ আর ১৯৩৪ প্রথম দুটো আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দুই স্বাগতিক উরুগুয়ে আর ইতালি। ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ড। ১৯৭৪ সালে জার্মানি আর ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনা। স্বাগতিকদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সর্বশেষ নজির ১৯৯৮ বিশ্বকাপ, স্টাডে ডি ফ্রান্সে সোনালি ট্রফি নিয়ে উত্সবে মেতেছিল ফরাসিরাই। যেটি স্বাগতিকদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ষষ্ঠ নজির।
ছয়ের জায়গায় সংখ্যাটি সাত-ই হতো। হয়নি ব্রাজিলের কারণে। ১৯৫০ বিশ্বকাপের ফাইনালে ব্রাজিলের প্রথম শিরোপা জয়ের সাক্ষী হতে মারাকানা স্টেডিয়ামে ভিড় জমিয়েছিল লাখ দুয়েক দর্শক। গ্যালারির বাইরেও দর্শক ছিল এন্তার। কিন্তু ৭৯ মিনিটে অ্যালসিডেস ঘিগিয়ার গোল-কান্নায় ভাসাল পুরো ব্রাজিলকে। সেই দুঃখ আজও ভুলতে পারেনি ব্রাজিলের মানুষ।
স্বাগতিকদেরই ফাইনালে হারিয়ে আবার প্রথম শিরোপা জিতে অন্য রকম প্রতিশোধ নিয়েছে ব্রাজিল। ১৯৫৮ বিশ্বকাপে সুইডেনকে ২-৫ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল ব্রাজিল। ১৭ বছর বয়সী পেলে করেছিলেন জোড়া গোল। স্বাগতিকদের রানার্সআপ হওয়ার নজির এই দুটোই।
স্বাগতিকদের কমপক্ষে সেরা চারে থাকার নজিরও কিন্তু আছে চারটি। চিলির দুর্ভাগ্য, ১৯৬২ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে তাদের পড়তে হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের সামনে। শেষ পর্যন্ত ফাইনালে যেতে না পারলেও সেবার টুর্নামেন্টের স্বাগতিকেরা হয়েছিল তৃতীয়। ১৯৯০ বিশ্বকাপে তো স্বাগতিক ইতালির কপাল পুড়ল টাইব্রেকে। আর্জেন্টিনার কাছে হেরে শেষ হয়ে গেল ফাইনালে খেলার স্বপ্ন। তৃতীয় হওয়াটাই শেষ পর্যন্ত সান্ত্বনা তাদের কাছে।
স্বাগতিকদের অন্তত কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত যাওয়ার উদাহরণ আছে চারটি। বিশ্বকাপের তৃতীয় আসরেই ফ্রান্স উঠে এসেছিল সেরা আটে। সেখানে ইতালির কাছে পরাজয়, যে ইতালি পরে জেতে তাদের টানা দ্বিতীয় শিরোপা। ১৯৫৪ বিশ্বকাপে দুর্ভাগ্যই বলতে হবে সুইজারল্যান্ডের। সেমিফাইনালটা হাত দিয়ে ছোঁয়ার দূরত্বেই চলে এসেছিল তাদের। অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ১৯ মিনিটেই এগিয়ে গিয়েছিল ৩-০ গোলে। শেষ পর্যন্ত ৭-৫ গোলের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়া।
১৯৭০ বিশ্বকাপের স্বাগতিক মেক্সিকো অবশ্য ভাগ্যকে দুষতে পারবে না। ইতালির কাছে তারা হেরেছে ৪-১ গোলের ব্যবধানে। যদিও এই মেক্সিকো আসলেই ভাগ্যের কাছে হেরেছিল ১৯৬৮-তে। জার্মানির বিপক্ষে তাদের জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয়েছিল টাইব্রেকের ‘লটারি’তে।
ছয়বার চ্যাম্পিয়ন, দুবার রানার্সআপ, চারবার করে সেমিফাইনাল আর কোয়ার্টার ফাইনাল—স্বাগতিকদের প্রতি বিশ্বকাপের বাড়তি আনুকূল্যের আর কী প্রমাণ চান আপনি!
No comments