পিএসসির পরীক্ষাজট -ফল প্রকাশ করতে হবে দ্রুততম সময়ে
ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদে পরীক্ষা নিতে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) আড়াই বছর সময় লাগানোয় কেবল হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন না, সরকারি কাজকর্মও ব্যাহত হচ্ছে। সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। সরকারি খালি পদের বিপরীতে লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে পিএসসি। তারা প্রার্থীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে থাকে।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর অনুষ্ঠিত বিসিএসসহ মোট ৮৮টি পরীক্ষার মধ্যে ১৯টির ফল এখনো প্রকাশ করা হয়নি। পিএসসিতে লোকবলের অভাব নেই, ক্ষমতার পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে কমিশনের শূন্যপদগুলোও পূরণ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও আড়াই বছর ধরে ২৮তম বিসিএসের নিয়োগ-প্রক্রিয়া চলা দুর্ভাগ্যজনক। এতে কমিশনের অদক্ষতা ও অযোগ্যতাই প্রমাণিত হয়। ২০০৮ সালের ২২ জানুয়ারি যে পরীক্ষার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, সেই পরীক্ষার ফল প্রকাশ না হওয়া দুঃখজনক। এক বছর ধরে ২৯তম বিসিএসের নিয়োগ-প্রক্রিয়া চলাও স্বাভাবিক নয়।
অন্যদিকে ২৭তম বিসিএসের জটিলতা কাটেনি গত তিন বছরেও। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে পিএসসিতে ব্যাপক দলীয়করণ করা হয়েছিল। সে সময়ে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি দারুণভাবে নষ্ট করেছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে পিএসসির খোলনলচে পাল্টে ফেললেও পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমেনি। জোট আমলে অনুষ্ঠিত ২৭তম বিসিএসে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের পুনরায় পরীক্ষা নিলে অনেকে বাদ পড়েন। এ নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রামও কম হয়নি। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে বাদ পড়া বেশ কিছু পরীক্ষার্থী নিয়োগ পান। অন্যদের ভাগ্য এখনো ঝুলে আছে।
নিয়োগ-প্রক্রিয়া তথা পরীক্ষার ফল প্রকাশে বিলম্বের পেছনে কর্তৃত্বের দ্বন্দ্ব কাজ করছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। একটি সংস্থা সক্রিয় থাকে নীতিনির্ধারকদের সমন্বিত পদক্ষেপে। সেখানে একদিকে চেয়ারম্যান এবং অন্যদিকে সদস্যরা থাকলে কাজকর্মে স্থবিরতা দেখা দেওয়া স্বাভাবিক। পিএসসির কাজকর্মে স্বচ্ছতার পাশাপাশি নিয়োগ-প্রক্রিয়াও যথাসময়ে শেষ করতে হবে। যেখানে এসএসসি পরীক্ষার ১০-১২ লাখ পরীক্ষার্থীর ফল প্রকাশ করা হয় তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে, সেখানে পিএসসিতে অংশ নেওয়া কয়েক হাজার পরীক্ষার্থীর ফল প্রকাশে দেড়-দুই বছর লাগার কী যুক্তি থাকতে পারে? ফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় অনেক প্রার্থীর চাকরির বয়সসীমাও পার হয়ে যায়। বিভিন্ন বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ভিত্তিক নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা অনেক কম। এসব পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশ স্বল্পতম সময়েই হওয়া বাঞ্ছনীয়।
পিএসসির চেয়ারম্যানের ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতিবছর জানুয়ারিতে বিসিএস পরীক্ষার জন্য প্রজ্ঞাপন জারির আগেই পূর্ববর্তী পরীক্ষার ফল প্রকাশ ও নিয়োগ-প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। পূর্ববর্তী পরীক্ষার ফল প্রকাশ না করে নতুন পরীক্ষা নেওয়া যাবে না, আবার পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে জানুয়ারির সময়সীমাও লঙ্ঘন করা যাবে না। বিলম্বিত পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশের কারণে জনপ্রশাসনে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, সেটি নিশ্চয়ই পিএসসির কর্মকর্তাদের অজানা নয়। এর ফলে মেধাবীরা সরকারি চাকরি গ্রহণে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে জনপ্রশাসন মেধাশূন্য হতে বাধ্য। অবিলম্বে পিএসসির পূর্ববর্তী সব পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগ-প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কালক্ষেপণ কাম্য নয়।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর অনুষ্ঠিত বিসিএসসহ মোট ৮৮টি পরীক্ষার মধ্যে ১৯টির ফল এখনো প্রকাশ করা হয়নি। পিএসসিতে লোকবলের অভাব নেই, ক্ষমতার পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে কমিশনের শূন্যপদগুলোও পূরণ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও আড়াই বছর ধরে ২৮তম বিসিএসের নিয়োগ-প্রক্রিয়া চলা দুর্ভাগ্যজনক। এতে কমিশনের অদক্ষতা ও অযোগ্যতাই প্রমাণিত হয়। ২০০৮ সালের ২২ জানুয়ারি যে পরীক্ষার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, সেই পরীক্ষার ফল প্রকাশ না হওয়া দুঃখজনক। এক বছর ধরে ২৯তম বিসিএসের নিয়োগ-প্রক্রিয়া চলাও স্বাভাবিক নয়।
অন্যদিকে ২৭তম বিসিএসের জটিলতা কাটেনি গত তিন বছরেও। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে পিএসসিতে ব্যাপক দলীয়করণ করা হয়েছিল। সে সময়ে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি দারুণভাবে নষ্ট করেছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে পিএসসির খোলনলচে পাল্টে ফেললেও পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমেনি। জোট আমলে অনুষ্ঠিত ২৭তম বিসিএসে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের পুনরায় পরীক্ষা নিলে অনেকে বাদ পড়েন। এ নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রামও কম হয়নি। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে বাদ পড়া বেশ কিছু পরীক্ষার্থী নিয়োগ পান। অন্যদের ভাগ্য এখনো ঝুলে আছে।
নিয়োগ-প্রক্রিয়া তথা পরীক্ষার ফল প্রকাশে বিলম্বের পেছনে কর্তৃত্বের দ্বন্দ্ব কাজ করছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। একটি সংস্থা সক্রিয় থাকে নীতিনির্ধারকদের সমন্বিত পদক্ষেপে। সেখানে একদিকে চেয়ারম্যান এবং অন্যদিকে সদস্যরা থাকলে কাজকর্মে স্থবিরতা দেখা দেওয়া স্বাভাবিক। পিএসসির কাজকর্মে স্বচ্ছতার পাশাপাশি নিয়োগ-প্রক্রিয়াও যথাসময়ে শেষ করতে হবে। যেখানে এসএসসি পরীক্ষার ১০-১২ লাখ পরীক্ষার্থীর ফল প্রকাশ করা হয় তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে, সেখানে পিএসসিতে অংশ নেওয়া কয়েক হাজার পরীক্ষার্থীর ফল প্রকাশে দেড়-দুই বছর লাগার কী যুক্তি থাকতে পারে? ফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় অনেক প্রার্থীর চাকরির বয়সসীমাও পার হয়ে যায়। বিভিন্ন বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ভিত্তিক নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা অনেক কম। এসব পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশ স্বল্পতম সময়েই হওয়া বাঞ্ছনীয়।
পিএসসির চেয়ারম্যানের ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতিবছর জানুয়ারিতে বিসিএস পরীক্ষার জন্য প্রজ্ঞাপন জারির আগেই পূর্ববর্তী পরীক্ষার ফল প্রকাশ ও নিয়োগ-প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। পূর্ববর্তী পরীক্ষার ফল প্রকাশ না করে নতুন পরীক্ষা নেওয়া যাবে না, আবার পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে জানুয়ারির সময়সীমাও লঙ্ঘন করা যাবে না। বিলম্বিত পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশের কারণে জনপ্রশাসনে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, সেটি নিশ্চয়ই পিএসসির কর্মকর্তাদের অজানা নয়। এর ফলে মেধাবীরা সরকারি চাকরি গ্রহণে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে জনপ্রশাসন মেধাশূন্য হতে বাধ্য। অবিলম্বে পিএসসির পূর্ববর্তী সব পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগ-প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কালক্ষেপণ কাম্য নয়।
No comments