ভারতে প্রাথমিক শিক্ষা এখন মৌলিক অধিকার
প্রাথমিক শিক্ষাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতির আট বছর পর গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে ভারতে এ আইন বাস্তবায়িত হয়েছে। এ আইন অনুযায়ী ছয় থেকে ১৪ বছর বয়সী প্রতিটি শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা এখন মৌলিক অধিকার অর্থাত্ প্রতিটি শিশুর শিক্ষার ব্যবস্থা করা সরকারের জন্য অবশ্যপালনীয় দায়িত্ব হিসেবে ধরা হয়েছে।
২০০২ সালে ভারতের সংসদে সংবিধানের ৮৬তম সংশোধনী হিসেবে এ আইন পাস হয়। ওই আইনে ভারতের প্রতিটি শিশুর জন্য প্রাথমিক শিক্ষাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। গত বছর লোকসভায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিকার অধ্যাদেশ নামে আরও একটি আইন পাস হয়। গতকাল থেকে ওই দুটি আইন কার্যকর হয়েছে।
এ আইনে ভারতের প্রতিটি রাজ্য সরকারকে প্রতিটি শিশুর স্কুলে যাওয়া নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এ আইনের মাধ্যমে ভারতে বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত প্রায় এক কোটি শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত হলো। এ এক কোটি শিশু এর আগে কোনো না কোনোভাবে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। দারিদ্র্য ও অন্যান্য কারণে ভারতে বিপুলসংখ্যক শিশু প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন হওয়ার আগেই ঝরে পড়ে। এ শিশুদের একটা অংশ কোনোদিনই প্রাথমিক শিক্ষা নিতে স্কুলে যায় না।
এ আইন পাসকে মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের একটি বড় সাফল্য হিসেবে ধরা হচ্ছে। এর আগে ইউপিএ সরকার ভারতে তথ্য অধিকার আইন, গ্রামীণ কর্মসংস্থান আইন বাস্তবয়ন করে প্রশংসিত হয়েছে। গ্রামীণ কর্মসংস্থান আইনে গ্রামের বেকার লোকদের ১০০ দিনের কাজ পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের।
বর্তমানে ভারতে জনসংখ্যার প্রায় ২২ কোটি শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার উপযোগী। এ বয়সী প্রায় ৯২ লাখ শিশু দারিদ্র্য ও অন্যান্য কারণে প্রাথমিক শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত রয়েছে।
সরকারি হিসাবে বলা হয়েছে, এ আইন বাস্তবায়ন করতে আগামী পাঁচ বছরে প্রায় এক লাখ ৭১ হাজার কোটি রুপির প্রয়োজন হবে। মনমোহন সিংয়ের ইউপিএ সরকার ইতিমধ্যেই এ আইন বাস্তবায়ন করতে প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহ করেছে বলে জানা গেছে।
এ অধ্যাদেশে আরও বলা হয়েছে, কোনো বিদ্যালয় যদি কোনো শিশুকে ভর্তি করতে অস্বীকৃতি জানায় তাহলে ওই বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিটি বিদ্যালয়েই শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার জন্য প্রশিক্ষিত শিক্ষকমণ্ডলী থাকতে হবে। প্রতিটি বিদ্যালয়কেই আগামী তিন বছরের মধ্যে প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করতে হবে, অন্যথায় সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। এ শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রশিক্ষিত শিক্ষকমণ্ডলী, পর্যাপ্ত খেলার জায়গা এবং উপযোগী অবকাঠামো। তবে বিদ্যালয়গুলোকে এসব শর্ত পূরণের জন্য সব ধরনের সহায়তা প্রদান করবে সরকার।
২০০২ সালে ভারতের সংসদে সংবিধানের ৮৬তম সংশোধনী হিসেবে এ আইন পাস হয়। ওই আইনে ভারতের প্রতিটি শিশুর জন্য প্রাথমিক শিক্ষাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। গত বছর লোকসভায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিকার অধ্যাদেশ নামে আরও একটি আইন পাস হয়। গতকাল থেকে ওই দুটি আইন কার্যকর হয়েছে।
এ আইনে ভারতের প্রতিটি রাজ্য সরকারকে প্রতিটি শিশুর স্কুলে যাওয়া নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এ আইনের মাধ্যমে ভারতে বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত প্রায় এক কোটি শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত হলো। এ এক কোটি শিশু এর আগে কোনো না কোনোভাবে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। দারিদ্র্য ও অন্যান্য কারণে ভারতে বিপুলসংখ্যক শিশু প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন হওয়ার আগেই ঝরে পড়ে। এ শিশুদের একটা অংশ কোনোদিনই প্রাথমিক শিক্ষা নিতে স্কুলে যায় না।
এ আইন পাসকে মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের একটি বড় সাফল্য হিসেবে ধরা হচ্ছে। এর আগে ইউপিএ সরকার ভারতে তথ্য অধিকার আইন, গ্রামীণ কর্মসংস্থান আইন বাস্তবয়ন করে প্রশংসিত হয়েছে। গ্রামীণ কর্মসংস্থান আইনে গ্রামের বেকার লোকদের ১০০ দিনের কাজ পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের।
বর্তমানে ভারতে জনসংখ্যার প্রায় ২২ কোটি শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার উপযোগী। এ বয়সী প্রায় ৯২ লাখ শিশু দারিদ্র্য ও অন্যান্য কারণে প্রাথমিক শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত রয়েছে।
সরকারি হিসাবে বলা হয়েছে, এ আইন বাস্তবায়ন করতে আগামী পাঁচ বছরে প্রায় এক লাখ ৭১ হাজার কোটি রুপির প্রয়োজন হবে। মনমোহন সিংয়ের ইউপিএ সরকার ইতিমধ্যেই এ আইন বাস্তবায়ন করতে প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহ করেছে বলে জানা গেছে।
এ অধ্যাদেশে আরও বলা হয়েছে, কোনো বিদ্যালয় যদি কোনো শিশুকে ভর্তি করতে অস্বীকৃতি জানায় তাহলে ওই বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিটি বিদ্যালয়েই শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার জন্য প্রশিক্ষিত শিক্ষকমণ্ডলী থাকতে হবে। প্রতিটি বিদ্যালয়কেই আগামী তিন বছরের মধ্যে প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করতে হবে, অন্যথায় সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। এ শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রশিক্ষিত শিক্ষকমণ্ডলী, পর্যাপ্ত খেলার জায়গা এবং উপযোগী অবকাঠামো। তবে বিদ্যালয়গুলোকে এসব শর্ত পূরণের জন্য সব ধরনের সহায়তা প্রদান করবে সরকার।
No comments