হাইতির পুনর্গঠনে ৯৯০ কোটি ডলার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি
জানুয়ারির ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হাইতির পুনর্গঠনে বিশ্বের দাতা দেশ ও সংস্থাগুলো ৯৯০ কোটি মার্কিন ডলার সাহায্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে হাইতি পুনর্গঠন নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দাতা দেশ ও সংস্থাগুলো এ প্রতিশ্রুতি দেয়। এ প্রতিশ্রুতি যাবতীয় প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে বলে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন জানিয়েছেন।
হাইতির পুনর্গঠনের জন্য দাতাদের কাছে আগামী দুই বছরের মধ্যে ৪০০ কোটি ডলার অর্থসাহায্যের আবেদন জানিয়েছিলেন বান কি মুন। কিন্তু আন্তর্জাতিক দাতারা দুই বছরের মধ্যে ৫৩০ কোটি ডলার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেয়।
বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বান কি মুন বলেন, সদস্যরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগীরা আগামী দুই বছরের মধ্যে ৫৩০ কোটি ডলার সাহায্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পুরো ৯৯০ কোটি ডলার তিন বছরের মধ্যে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘হাইতির বন্ধুদের প্রতিশ্রুতি আমাদের প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছে।’
গত ১২ জানুয়ারি হাইতিতে ৭ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে দুই লাখ ২০ হাজার মানুষ নিহত হয়। গৃহহীন হয় ১৩ লাখ মানুষ। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাইতির অবকাঠামো, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থার। এক দিনের ওই বৈঠকে ১৩৮টি সদস্যরাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক সংস্থা, যেমন—বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি এবং হাইতিতে প্রবাসীরা অংশ নেয়।
বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা সাহায্য দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা পর্যবেক্ষণ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন কয়েকজন পদস্থ কর্মকর্তা। এ প্রসঙ্গে বান কি মুন বলেন, কে কত অর্থ দিচ্ছে বা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা প্রকাশ করা হবে। এ জন্য ওয়েবভিত্তিক ব্যবস্থা তৈরি করবে জাতিসংঘ ও হাইতি।
বান কি মুনের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে থাকা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ১১৫ কোটি ডলার দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে বলেন, এই অর্থ কৃষি, জ্বালানি, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাব্যবস্থাকে শক্তিশালী এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় হাইতির পরিকল্পনাকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতি প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটন বৈঠকে বলেন, হাইতির সহায়তায় ইইউ অতিরিক্ত ১৬০ কোটি ডলার দেবে। বুধবারের ওই ঘোষণার ফলে ইইউর সরকারি ও বেসরকারি সহায়তার পরিমাণ প্রায় ৩০০ কোটি ডলারে পৌঁছাল।
হাইতিতে সাহায্য দিতে গিয়ে অতীতের মতো যাতে ভুলত্রুটি না হয়, সে ব্যাপারে জোর দেন হিলারি ক্লিনটন। তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো ব্যর্থ কৌশলে ফিরে যাব না। হাইতিকে সফল করা প্রয়োজন।’
হিলারির স্বামী, হাইতিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন বলেন, হাইতির পুনর্গঠন কার্যক্রম তত্ত্বাবধানের জন্য তিনি ও হাইতির প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ-ম্যাক্স ব্যালারিভ ইনটেরিম হাইতি রিকভারি কমিশনে (আইএইচআরসি) নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, ২০১১ সাল পর্যন্ত হাইতিতে তারা ৪৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার সহায়তা দেবে। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট রবার্ট জোয়েলিক হাইতির ত্রাণ তত্পরতার অগ্রগতি নিয়ে ছয় মাসের মধ্যে আরেকটি বৈঠক করার আহ্বান জানান।
হাইতির পুনর্গঠনে কানাডা ৩৯ কোটি ও ব্রাজিল ১৭ কোটি মার্কিন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ ছাড়া জাপান অতিরিক্ত আরও তিন কোটি মার্কিন ডলার সাহায্য দেবে বলে জানিয়েছে। এর আগে তারা সাত কোটি ডলার দেওয়ার ঘোষণা দেয়।
হাইতির পুনর্গঠনের জন্য দাতাদের কাছে আগামী দুই বছরের মধ্যে ৪০০ কোটি ডলার অর্থসাহায্যের আবেদন জানিয়েছিলেন বান কি মুন। কিন্তু আন্তর্জাতিক দাতারা দুই বছরের মধ্যে ৫৩০ কোটি ডলার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেয়।
বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বান কি মুন বলেন, সদস্যরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগীরা আগামী দুই বছরের মধ্যে ৫৩০ কোটি ডলার সাহায্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পুরো ৯৯০ কোটি ডলার তিন বছরের মধ্যে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘হাইতির বন্ধুদের প্রতিশ্রুতি আমাদের প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছে।’
গত ১২ জানুয়ারি হাইতিতে ৭ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে দুই লাখ ২০ হাজার মানুষ নিহত হয়। গৃহহীন হয় ১৩ লাখ মানুষ। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাইতির অবকাঠামো, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থার। এক দিনের ওই বৈঠকে ১৩৮টি সদস্যরাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক সংস্থা, যেমন—বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি এবং হাইতিতে প্রবাসীরা অংশ নেয়।
বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা সাহায্য দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা পর্যবেক্ষণ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন কয়েকজন পদস্থ কর্মকর্তা। এ প্রসঙ্গে বান কি মুন বলেন, কে কত অর্থ দিচ্ছে বা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা প্রকাশ করা হবে। এ জন্য ওয়েবভিত্তিক ব্যবস্থা তৈরি করবে জাতিসংঘ ও হাইতি।
বান কি মুনের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে থাকা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ১১৫ কোটি ডলার দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে বলেন, এই অর্থ কৃষি, জ্বালানি, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাব্যবস্থাকে শক্তিশালী এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় হাইতির পরিকল্পনাকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতি প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটন বৈঠকে বলেন, হাইতির সহায়তায় ইইউ অতিরিক্ত ১৬০ কোটি ডলার দেবে। বুধবারের ওই ঘোষণার ফলে ইইউর সরকারি ও বেসরকারি সহায়তার পরিমাণ প্রায় ৩০০ কোটি ডলারে পৌঁছাল।
হাইতিতে সাহায্য দিতে গিয়ে অতীতের মতো যাতে ভুলত্রুটি না হয়, সে ব্যাপারে জোর দেন হিলারি ক্লিনটন। তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো ব্যর্থ কৌশলে ফিরে যাব না। হাইতিকে সফল করা প্রয়োজন।’
হিলারির স্বামী, হাইতিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন বলেন, হাইতির পুনর্গঠন কার্যক্রম তত্ত্বাবধানের জন্য তিনি ও হাইতির প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ-ম্যাক্স ব্যালারিভ ইনটেরিম হাইতি রিকভারি কমিশনে (আইএইচআরসি) নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, ২০১১ সাল পর্যন্ত হাইতিতে তারা ৪৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার সহায়তা দেবে। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট রবার্ট জোয়েলিক হাইতির ত্রাণ তত্পরতার অগ্রগতি নিয়ে ছয় মাসের মধ্যে আরেকটি বৈঠক করার আহ্বান জানান।
হাইতির পুনর্গঠনে কানাডা ৩৯ কোটি ও ব্রাজিল ১৭ কোটি মার্কিন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ ছাড়া জাপান অতিরিক্ত আরও তিন কোটি মার্কিন ডলার সাহায্য দেবে বলে জানিয়েছে। এর আগে তারা সাত কোটি ডলার দেওয়ার ঘোষণা দেয়।
No comments