অবরোধ আরোপের আলোচনা ফাঁকা হুমকি: ইরান
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করতে বিশ্বশক্তি তাদের ওপর অবরোধ আরোপ নিয়ে যে আলোচনা করছে, তা ফাঁকা হুমকি বলে মন্তব্য করেছে ইরান। গতকাল বৃহস্পতিবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রামিন মেহমানপারাস্ত এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ। অবরোধ আরোপের আলোচনা একটি ফাঁকা হুমকি।
ইরানের ওপর জাতিসংঘের তিন দফা অবরোধ আরোপের পরও ইরান তাদের পরমাণু কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে। ইরান জানিয়েছে, পরমাণু অস্ত্র বিস্তার নিয়ন্ত্রণ চুক্তির (এনপিটি) সদস্য হওয়ায় পরমাণু প্রযুক্তি ব্যবহারের তাদের অধিকার রয়েছে।
ইরানের মেহর বার্তা সংস্থা মেহমানপারাস্তের বরাত দিয়ে জানায়, ‘অবরোধ ও চাপ প্রয়োগের মতো খারাপ পদ্ধতির পরিবর্তে এনপিটির অধীনে ইরানের আইনগত অধিকারকে মেনে নিতে সব দেশকে অনুরোধ করছি আমরা।’
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করতে জাতিসংঘ যাতে নতুন করে অবরোধ আরোপ করে, সে ব্যাপারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানিসহ পশ্চিমা দেশগুলো। তবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো ক্ষমতার অধিকারী দেশ চীন সংকট উত্তরণে এখনো শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর জোর দিচ্ছে।
জাতিসংঘ যাতে অবরোধ আরোপ করতে না পারে, সে জন্য চীনের সমর্থন পেতে গতকাল বেইজিংয়ে যান ইরানের পরমাণুবিষয়ক প্রধান মধ্যস্থতাকারী সাইদ জলিলি। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ও দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চীনের পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কিং গ্যাং গতকাল সাংবাদিকদের জানান, ইরানের পরমাণু ইস্যুতে চীন শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তবে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত সুসান রাইস গত বুধবার সিএনএনকে জানান, ইরানের ওপর অবরোধ আরোপের ব্যাপারে নিউইয়র্কে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে চীন। আলোচনায় বসার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া ও জার্মানি মিলে চীনের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে। তিনি বলেন, ‘এটি একটি অগ্রগতি। তবে আলোচনা এখনো শুরু হয়নি। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অবরোধ আরোপের প্রস্তাবে কোন কোন বিষয় থাকা দরকার, সে সম্পর্কে আমাদের চিন্তাভাবনাগুলো জানিয়েছি আমরা।’
পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইরান: যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) একটি নতুন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা ও আন্তর্জাতিক বিরোধিতা সত্ত্বেও পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে ইরান। সংস্থার সাম্প্রতিক ওই প্রতিবেদনে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান তার প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়িয়ে তুলছে। এসব প্রযুক্তি পরমাণু অস্ত্র তৈরির কাজে প্রয়োজনীয়। তারা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণও অব্যাহত রেখেছে। পাশাপাশি পরমাণু চুল্লির ভারী পানি নিয়েও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। পরমাণু কর্মসূচি বন্ধের ব্যাপারে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের আহ্বানের পরও তেহরান এসব কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
সিআইয়ের নতুন এ প্রতিবেদন ২০০৭ সালের জাতীয় গোয়েন্দা পর্যালোচনা প্রতিবেদনের বিপরীত চিত্র দিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ইরান ২০০৩ সাল থেকে পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা বন্ধ রেখেছে। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, তিনি কয়েক মাস নয়, বরং কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইরানের ওপর অবরোধ আরোপ করতে আগ্রহী। দ্রুত এ অবরোধ আরোপ করার ব্যাপারে আশাবাদ জানিয়েছেন তিনি।
ইরানের ওপর জাতিসংঘের তিন দফা অবরোধ আরোপের পরও ইরান তাদের পরমাণু কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে। ইরান জানিয়েছে, পরমাণু অস্ত্র বিস্তার নিয়ন্ত্রণ চুক্তির (এনপিটি) সদস্য হওয়ায় পরমাণু প্রযুক্তি ব্যবহারের তাদের অধিকার রয়েছে।
ইরানের মেহর বার্তা সংস্থা মেহমানপারাস্তের বরাত দিয়ে জানায়, ‘অবরোধ ও চাপ প্রয়োগের মতো খারাপ পদ্ধতির পরিবর্তে এনপিটির অধীনে ইরানের আইনগত অধিকারকে মেনে নিতে সব দেশকে অনুরোধ করছি আমরা।’
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করতে জাতিসংঘ যাতে নতুন করে অবরোধ আরোপ করে, সে ব্যাপারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানিসহ পশ্চিমা দেশগুলো। তবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো ক্ষমতার অধিকারী দেশ চীন সংকট উত্তরণে এখনো শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর জোর দিচ্ছে।
জাতিসংঘ যাতে অবরোধ আরোপ করতে না পারে, সে জন্য চীনের সমর্থন পেতে গতকাল বেইজিংয়ে যান ইরানের পরমাণুবিষয়ক প্রধান মধ্যস্থতাকারী সাইদ জলিলি। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ও দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চীনের পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কিং গ্যাং গতকাল সাংবাদিকদের জানান, ইরানের পরমাণু ইস্যুতে চীন শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তবে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত সুসান রাইস গত বুধবার সিএনএনকে জানান, ইরানের ওপর অবরোধ আরোপের ব্যাপারে নিউইয়র্কে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে চীন। আলোচনায় বসার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া ও জার্মানি মিলে চীনের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে। তিনি বলেন, ‘এটি একটি অগ্রগতি। তবে আলোচনা এখনো শুরু হয়নি। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অবরোধ আরোপের প্রস্তাবে কোন কোন বিষয় থাকা দরকার, সে সম্পর্কে আমাদের চিন্তাভাবনাগুলো জানিয়েছি আমরা।’
পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইরান: যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) একটি নতুন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা ও আন্তর্জাতিক বিরোধিতা সত্ত্বেও পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে ইরান। সংস্থার সাম্প্রতিক ওই প্রতিবেদনে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান তার প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়িয়ে তুলছে। এসব প্রযুক্তি পরমাণু অস্ত্র তৈরির কাজে প্রয়োজনীয়। তারা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণও অব্যাহত রেখেছে। পাশাপাশি পরমাণু চুল্লির ভারী পানি নিয়েও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। পরমাণু কর্মসূচি বন্ধের ব্যাপারে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের আহ্বানের পরও তেহরান এসব কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
সিআইয়ের নতুন এ প্রতিবেদন ২০০৭ সালের জাতীয় গোয়েন্দা পর্যালোচনা প্রতিবেদনের বিপরীত চিত্র দিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ইরান ২০০৩ সাল থেকে পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা বন্ধ রেখেছে। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, তিনি কয়েক মাস নয়, বরং কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইরানের ওপর অবরোধ আরোপ করতে আগ্রহী। দ্রুত এ অবরোধ আরোপ করার ব্যাপারে আশাবাদ জানিয়েছেন তিনি।
No comments