অনলাইন নেটওয়ার্কিং স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ
ইন্টারনেটে সামাজিক ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীদের জন্য খবরটা তেমন সুখকর নয়। ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীদের চরম স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে বলে একজন বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন। এরিক সিগম্যান নামে ওই মার্কিন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ফেসবুক ও টুইটারের মতো সামাজিক ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীদের সঙ্গে অন্যদের সম্মুখ যোগাযোগ কমে যায়। এর ফলে তারা ক্যানসার, স্ট্রোক, হূদরোগ ও মতিভ্রষ্ট হওয়ার মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
মনোবিজ্ঞানী সিগম্যান জানান, অনলাইন নেটওয়ার্কিংয়ের ফলে সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে ঠিকই, কিন্তু এর প্রভাবে মানুষের মধ্যকার সরাসরি যোগাযোগ বিনষ্ট হচ্ছে। তিনি আরও জানান, পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার মতো ‘সত্যিকারের’ সামাজিক যোগাযোগের অভাবে মানুষের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। মানুষের মধ্যে সম্মুখ যোগাযোগ না হলে বংশগতির ধারা, ধমনির কার্যকারিতা ও হরমোনের স্বাভাবিক ধারা প্রভাবিত হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে স্বাভাবিক আচার-আচারণ ও মানসিক অবস্থা।
শারীরিকভাবে ক্ষতি করার পাশাপাশি অনলাইন নেটওয়ার্কিং মানুষের সামাজিক জীবনেও প্রভাব ফেলে উল্লেখ করে সিগম্যান জানান, ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে মানুষ ‘সামাজিকভাবে’ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। ওয়েবসাইট ব্যবহারের কারণে মানুষের সামাজিক জীবনে ইতিবাচক প্রভাব পড়া উচিত ছিল এবং মানুষের সামাজিক জীবন আরও সুন্দর হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে এর উল্টো। সামাজিক ওয়েবসাইট ব্যবহারের ফলে মানুষে মানুষে যেখানে সামাজিক সম্পর্ক আরও জোরদার হওয়া উচিত, সেখানে উল্টো তা দিনদিন কমে যাচ্ছে।
ইনস্টিটিউট অব বায়োলজি থেকে প্রকাশিত সাময়িকী বায়োলজিস্ট-এ সিগম্যান তাঁর এসব মতামত তুলে ধরেন। সেখানে একটি গবেষণার বরাত দিয়ে তিনি জানান, ১৯৮৭ সাল থেকে মানুষের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের মাত্রা আশংকাজনকহারে কমে গেছে। ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের প্রসারের কারণেই এমনটি ঘটেছে।
সিগম্যান জানান, সম্মুখ যোগাযোগের সময় মানুষের শরীরিক যে পরিবর্তন হয়, ই-মেইল লেখার সময় তেমনটি দেখা যায় না। ‘সরাসরি’ যোগাযোগের সময় মানুষের মধ্যে ব্যতিক্রম কিছু পরিবর্তন ঘটে, তবে সাদাচোখে এই পরিবর্তন না-ও দেখা যেতে পারে।
সিগম্যান আরও জানান, ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম ব্যবহারের ফলে মানুষের সামজিক দক্ষতা কমে যায়। অন্যের শারীরিক ভাষা বোঝার মতো সামর্থ্য তার থাকে না। তিনি এ-ও জানান, সামাজিক ওয়েবসাইটের কারণে ব্রিটেনের মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। অন্য মানুষের সঙ্গে তাদের সরাসরি যোগাযোগের ‘সময়’ উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে। গত দুই দশকের মধ্যে ‘কারও সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে’ এমন লোকের সংখ্যা তিন গুণ কমেছে।
ইন্টারনেটে সামাজিক ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীদের এমন নানা নেতিবাচক দিক তুলে ধরে সিগম্যান জানান, বিষয়টি কোথায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছে তা ভেবে তিনি গভীর ‘উদ্বিগ্ন’। তিনি এ-ও বলেন, ‘সামাজিক ওয়েবসাইটের নেতিবাচক দিক তুলে ধরায় কেউ যেন আমাকে সেকেলে ভেবে না বসেন। কেউ যেন না ভাবেন যে আমি নতুন প্রযুক্তির বিরুদ্ধে। কিন্তু এটাও সত্য, মানুষের জীবন সুন্দর ও উন্নত করাই প্রতিটি প্রযুক্তির উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।
মনোবিজ্ঞানী সিগম্যান জানান, অনলাইন নেটওয়ার্কিংয়ের ফলে সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে ঠিকই, কিন্তু এর প্রভাবে মানুষের মধ্যকার সরাসরি যোগাযোগ বিনষ্ট হচ্ছে। তিনি আরও জানান, পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার মতো ‘সত্যিকারের’ সামাজিক যোগাযোগের অভাবে মানুষের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। মানুষের মধ্যে সম্মুখ যোগাযোগ না হলে বংশগতির ধারা, ধমনির কার্যকারিতা ও হরমোনের স্বাভাবিক ধারা প্রভাবিত হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে স্বাভাবিক আচার-আচারণ ও মানসিক অবস্থা।
শারীরিকভাবে ক্ষতি করার পাশাপাশি অনলাইন নেটওয়ার্কিং মানুষের সামাজিক জীবনেও প্রভাব ফেলে উল্লেখ করে সিগম্যান জানান, ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে মানুষ ‘সামাজিকভাবে’ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। ওয়েবসাইট ব্যবহারের কারণে মানুষের সামাজিক জীবনে ইতিবাচক প্রভাব পড়া উচিত ছিল এবং মানুষের সামাজিক জীবন আরও সুন্দর হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে এর উল্টো। সামাজিক ওয়েবসাইট ব্যবহারের ফলে মানুষে মানুষে যেখানে সামাজিক সম্পর্ক আরও জোরদার হওয়া উচিত, সেখানে উল্টো তা দিনদিন কমে যাচ্ছে।
ইনস্টিটিউট অব বায়োলজি থেকে প্রকাশিত সাময়িকী বায়োলজিস্ট-এ সিগম্যান তাঁর এসব মতামত তুলে ধরেন। সেখানে একটি গবেষণার বরাত দিয়ে তিনি জানান, ১৯৮৭ সাল থেকে মানুষের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের মাত্রা আশংকাজনকহারে কমে গেছে। ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের প্রসারের কারণেই এমনটি ঘটেছে।
সিগম্যান জানান, সম্মুখ যোগাযোগের সময় মানুষের শরীরিক যে পরিবর্তন হয়, ই-মেইল লেখার সময় তেমনটি দেখা যায় না। ‘সরাসরি’ যোগাযোগের সময় মানুষের মধ্যে ব্যতিক্রম কিছু পরিবর্তন ঘটে, তবে সাদাচোখে এই পরিবর্তন না-ও দেখা যেতে পারে।
সিগম্যান আরও জানান, ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম ব্যবহারের ফলে মানুষের সামজিক দক্ষতা কমে যায়। অন্যের শারীরিক ভাষা বোঝার মতো সামর্থ্য তার থাকে না। তিনি এ-ও জানান, সামাজিক ওয়েবসাইটের কারণে ব্রিটেনের মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। অন্য মানুষের সঙ্গে তাদের সরাসরি যোগাযোগের ‘সময়’ উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে। গত দুই দশকের মধ্যে ‘কারও সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে’ এমন লোকের সংখ্যা তিন গুণ কমেছে।
ইন্টারনেটে সামাজিক ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীদের এমন নানা নেতিবাচক দিক তুলে ধরে সিগম্যান জানান, বিষয়টি কোথায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছে তা ভেবে তিনি গভীর ‘উদ্বিগ্ন’। তিনি এ-ও বলেন, ‘সামাজিক ওয়েবসাইটের নেতিবাচক দিক তুলে ধরায় কেউ যেন আমাকে সেকেলে ভেবে না বসেন। কেউ যেন না ভাবেন যে আমি নতুন প্রযুক্তির বিরুদ্ধে। কিন্তু এটাও সত্য, মানুষের জীবন সুন্দর ও উন্নত করাই প্রতিটি প্রযুক্তির উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।
No comments