বাজেট আসছে, বাড়ছে দাবি -বাস্তবায়নে অগ্রগতি কবে হবে
প্রাকৃতিক নিয়মের মতো রাষ্ট্র-ব্যবস্থাপনার চক্রে প্রতিবছরই নির্দিষ্ট সময়ে জাতীয় বাজেট দিতে হয় অর্থমন্ত্রীকে। জুন মাসে জাতীয় সংসদে তা উপস্থাপন করা হলেও আয়োজনটা কার্যত সারা বছরই চলে। তবে বাজেট নিয়ে উত্তেজনা ও চিন্তাভাবনাটা ঘনীভূত হতে থাকে প্রতি ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস থেকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ইতিমধ্যে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে প্রাক্-বাজেট আলোচনা শুরু করেছে। সংবাদপত্রেও ২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেট কী হতে পারে, তা নিয়ে কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। আর বাজেট সামনে রেখে বিভিন্ন মহলের বিভিন্ন ধরনের দাবি-দাওয়ার বিষয়টিও সামনে আসছে।
সমস্যাটা হলো বাজেট বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে। অর্থনীতি যেহেতু নানা ধরনের প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও সামনে অগ্রসর হচ্ছে, সেহেতু এর আয়তন বাড়ছে। সে বিবেচনায় প্রতিবছরই বাজেটের আয়তন বাড়ে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। কিন্তু প্রতিবছর যে বাজেট করা হয়, তার কতটুকু সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা। কারণ, বাজেট শুধু রাষ্ট্রীয় আয়-ব্যয়ের একটি হিসাব-বিবরণী নয়, বরং অর্থনীতি-ব্যবস্থাপনায় সরকারের দক্ষতা ও যোগ্যতার প্রতিফলন। চলতি ২০০৯-১০ অর্থবছরের প্রথমার্ধে বাজেট বাস্তবায়নের যে চিত্র অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে তুলে ধরেছেন, তাকে খুব একটা সন্তোষজনক বলার অবকাশ নেই; বিশেষ করে গ্যাস ও বিদ্যুৎ-সংকটে কৃষি-শিল্পে এখন যে বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে, তা কোনোভাবেই অর্থনীতির একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আভাস দেয় না। আর তাই বড় অঙ্কের বাজেট-দলিল নিতান্তই কাগুজে দলিল হয়ে যায়।
বস্তুত অর্থনীতিতে এখন যেসব চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে, সেগুলো মোকাবিলা করার দিকে লক্ষ রেখেই বাজেট করতে হবে অর্থমন্ত্রীকে। এর একটি অংশ হলো ব্যয় বরাদ্দ দেওয়া। তুলনামূলকভাবে এটি সহজ কাজ। কিন্তু বরাদ্দ করা অর্থ ঠিক জায়গায় ঠিকভাবে ও সময়মতো ব্যয় করা অনেক কঠিন। বাংলাদেশের বাজেট-ব্যবস্থাপনায় এ কঠিন কাজটি ক্রমশ কঠিনতর হয়ে উঠছে। এর একটি কারণ হলো অর্থসংস্থানের অভাব। বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণভাবে কর আদায়ের যে দুরবস্থা রয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে না পারলে অর্থসংস্থানের সংকট কখনোই দূর হবে না। এ জন্য একদিকে কর প্রশাসনকে দক্ষ ও শক্তিশালী করতে হবে, অন্যদিকে জনমানসে কর প্রদানের ভীতি দূর করতে হবে এবং গড়ে তুলতে হবে কর প্রদানের সংস্কৃতি।
বাস্তবায়ন না হওয়ার প্রধান বাধা অবশ্য আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ। চলতি বছরের বাজেটে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিতে (পিপিপি) কার্যক্রম গ্রহণ করা হয় বহু আশা নিয়ে। কিন্তু নয় মাসেও এর নীতিনির্দেশনা তৈরি হয়নি আমলাতন্ত্রের টালবাহানায়, যা খোদ অর্থমন্ত্রী স্বীকার করেছেন। অন্যদিকে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে এমন কিছু রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হচ্ছে যে কাজ এগোতে পারছে না। এ দুই প্রতিবন্ধকতা অপসারণ অর্থমন্ত্রীর একার পক্ষে সম্ভব নয়। এ জন্য সরকারের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সমন্বিত সদিচ্ছা প্রয়োজন। নীতিনির্ধারকেরা যদি এদিকে মনোযোগ না দেন, তাহলে বাজেটের অঙ্কই শুধু বড় হবে, মানুষের জন্য অর্থবহ হবে না।
সমস্যাটা হলো বাজেট বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে। অর্থনীতি যেহেতু নানা ধরনের প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও সামনে অগ্রসর হচ্ছে, সেহেতু এর আয়তন বাড়ছে। সে বিবেচনায় প্রতিবছরই বাজেটের আয়তন বাড়ে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। কিন্তু প্রতিবছর যে বাজেট করা হয়, তার কতটুকু সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা। কারণ, বাজেট শুধু রাষ্ট্রীয় আয়-ব্যয়ের একটি হিসাব-বিবরণী নয়, বরং অর্থনীতি-ব্যবস্থাপনায় সরকারের দক্ষতা ও যোগ্যতার প্রতিফলন। চলতি ২০০৯-১০ অর্থবছরের প্রথমার্ধে বাজেট বাস্তবায়নের যে চিত্র অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে তুলে ধরেছেন, তাকে খুব একটা সন্তোষজনক বলার অবকাশ নেই; বিশেষ করে গ্যাস ও বিদ্যুৎ-সংকটে কৃষি-শিল্পে এখন যে বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে, তা কোনোভাবেই অর্থনীতির একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আভাস দেয় না। আর তাই বড় অঙ্কের বাজেট-দলিল নিতান্তই কাগুজে দলিল হয়ে যায়।
বস্তুত অর্থনীতিতে এখন যেসব চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে, সেগুলো মোকাবিলা করার দিকে লক্ষ রেখেই বাজেট করতে হবে অর্থমন্ত্রীকে। এর একটি অংশ হলো ব্যয় বরাদ্দ দেওয়া। তুলনামূলকভাবে এটি সহজ কাজ। কিন্তু বরাদ্দ করা অর্থ ঠিক জায়গায় ঠিকভাবে ও সময়মতো ব্যয় করা অনেক কঠিন। বাংলাদেশের বাজেট-ব্যবস্থাপনায় এ কঠিন কাজটি ক্রমশ কঠিনতর হয়ে উঠছে। এর একটি কারণ হলো অর্থসংস্থানের অভাব। বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণভাবে কর আদায়ের যে দুরবস্থা রয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে না পারলে অর্থসংস্থানের সংকট কখনোই দূর হবে না। এ জন্য একদিকে কর প্রশাসনকে দক্ষ ও শক্তিশালী করতে হবে, অন্যদিকে জনমানসে কর প্রদানের ভীতি দূর করতে হবে এবং গড়ে তুলতে হবে কর প্রদানের সংস্কৃতি।
বাস্তবায়ন না হওয়ার প্রধান বাধা অবশ্য আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ। চলতি বছরের বাজেটে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিতে (পিপিপি) কার্যক্রম গ্রহণ করা হয় বহু আশা নিয়ে। কিন্তু নয় মাসেও এর নীতিনির্দেশনা তৈরি হয়নি আমলাতন্ত্রের টালবাহানায়, যা খোদ অর্থমন্ত্রী স্বীকার করেছেন। অন্যদিকে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে এমন কিছু রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হচ্ছে যে কাজ এগোতে পারছে না। এ দুই প্রতিবন্ধকতা অপসারণ অর্থমন্ত্রীর একার পক্ষে সম্ভব নয়। এ জন্য সরকারের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সমন্বিত সদিচ্ছা প্রয়োজন। নীতিনির্ধারকেরা যদি এদিকে মনোযোগ না দেন, তাহলে বাজেটের অঙ্কই শুধু বড় হবে, মানুষের জন্য অর্থবহ হবে না।
No comments