নিবন্ধন বাতিল -সব এনজিওকে জবাবদিহির আওতায় আনুন
দেশ ও জনসেবার যে মহত্ উদ্দেশ্য নিয়ে স্বেচ্ছাসেবী বেসরকারি সংস্থাগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, সেটি তারা কতটা পালন করেছে, সে ব্যাপারে যথেষ্ট সংশয় আছে। গতকাল শনিবার প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবরে জানা যায়, নিষ্ক্রিয়তা, বার্ষিক হিসাব নিরীক্ষা প্রতিবেদন জমা না দেওয়া ও গঠনতন্ত্রবিরোধী কাজের জন্য ১৬ জেলায় দুই হাজার ৯৩১টি এনজিওর নিবন্ধন বাতিল করেছে সরকার। কয়েকটির বিরুদ্ধে জঙ্গি-সংশ্লিষ্টতারও অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগগুলো হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই।
বছরখানেক আগে ভোলায় একটি এনজিও পরিচালিত মাদ্রাসায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তল্লাশি চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করেছিল। এনজিওর নামে এ ধরনের জঙ্গি-তৎপরতা অন্যান্য স্থানে থাকাও অস্বাভাবিক নয়। গরিব ও দুস্থ জনগণের সেবার নামে প্রাপ্ত অর্থ আত্মসাতের নজিরও রয়েছে ভূরি ভূরি। সমাজসেবা অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত এনজিওর সংখ্যাই ৫৭ হাজার ৯৬৬টি। এর বাইরেও বহু এনজিও রয়েছে। ২০০১-২০০৬ সালে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন পেয়েছে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ৩৪১টি। সেই সময়ে সমাজকল্যাণমন্ত্রী ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ।
বর্তমানে জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের সুপারিশের ভিত্তিতে এনজিওগুলোর নিবন্ধন দেওয়া হয়। অনেক সময়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সরেজমিনে পরিদর্শন না করেই অফিসে বসে প্রতিবেদন তৈরি করে থাকেন। যার ফলে ‘ঢাল নেই তলোয়ার নেই’ এনজিওর সংখ্যা বেড়ে গেছে। তা ছাড়া রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তির বিষয়টিও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, তাদের পছন্দের লোকেরা বেশি বেশি এনজিওর নিবন্ধন পেয়ে থাকে।
মাত্র ১৬টি জেলার এনজিওর কার্যক্রম যাচাই-বাছাই করে যদি দুই হাজার ৯৩১টি সংস্থার নিবন্ধন বাতিল হয়ে থাকে, তাহলে সারা দেশের অবস্থা সহজেই অনুমান করা যায়। যারা জনসেবার নামে নানা স্বার্থ উদ্ধারে ব্যস্ত, তাদের নিবন্ধন বাতিল করাই শ্রেয়। অতএব, সরকার বাকি ৪৮ জেলার এনজিওর কাজকর্মও তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করি। যেসব বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী খাত সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ব্যাপারে উচ্চকণ্ঠ, তাদের কাজকর্মেও স্বচ্ছতা থাকতে হবে বইকি।
বছরখানেক আগে ভোলায় একটি এনজিও পরিচালিত মাদ্রাসায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তল্লাশি চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করেছিল। এনজিওর নামে এ ধরনের জঙ্গি-তৎপরতা অন্যান্য স্থানে থাকাও অস্বাভাবিক নয়। গরিব ও দুস্থ জনগণের সেবার নামে প্রাপ্ত অর্থ আত্মসাতের নজিরও রয়েছে ভূরি ভূরি। সমাজসেবা অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত এনজিওর সংখ্যাই ৫৭ হাজার ৯৬৬টি। এর বাইরেও বহু এনজিও রয়েছে। ২০০১-২০০৬ সালে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন পেয়েছে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ৩৪১টি। সেই সময়ে সমাজকল্যাণমন্ত্রী ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ।
বর্তমানে জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের সুপারিশের ভিত্তিতে এনজিওগুলোর নিবন্ধন দেওয়া হয়। অনেক সময়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সরেজমিনে পরিদর্শন না করেই অফিসে বসে প্রতিবেদন তৈরি করে থাকেন। যার ফলে ‘ঢাল নেই তলোয়ার নেই’ এনজিওর সংখ্যা বেড়ে গেছে। তা ছাড়া রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তির বিষয়টিও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, তাদের পছন্দের লোকেরা বেশি বেশি এনজিওর নিবন্ধন পেয়ে থাকে।
মাত্র ১৬টি জেলার এনজিওর কার্যক্রম যাচাই-বাছাই করে যদি দুই হাজার ৯৩১টি সংস্থার নিবন্ধন বাতিল হয়ে থাকে, তাহলে সারা দেশের অবস্থা সহজেই অনুমান করা যায়। যারা জনসেবার নামে নানা স্বার্থ উদ্ধারে ব্যস্ত, তাদের নিবন্ধন বাতিল করাই শ্রেয়। অতএব, সরকার বাকি ৪৮ জেলার এনজিওর কাজকর্মও তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করি। যেসব বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী খাত সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ব্যাপারে উচ্চকণ্ঠ, তাদের কাজকর্মেও স্বচ্ছতা থাকতে হবে বইকি।
No comments