বিদেশিদের ছাড়াই মোহামেডানের গোল-উৎসব
বাংলাদেশ লিগে কাল ঢাকা মোহামেডান-শুকতারা ম্যাচটি ছিল এবারের লিগের ৮৬তম ম্যাচ। আর সেটিই দেখল সবচেয়ে বড় জয়—ব্যবধান ৭-০। জয়ী দলের নাম ঢাকা মোহামেডান।
গোল-উৎসবের ম্যাচে হ্যাটট্রিক সহজদৃষ্ট। এদিন হ্যাটট্রিক করলেন এমন একজন, যিনি গত মাসে কলম্বোয় এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের বাংলাদেশ দলের রক্ষণভাগে খেলেছেন এবং সেই ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে বাংলাদেশ ৩-০ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে টুর্নামেন্ট থেকে। আলোচিত খেলোয়াড়টি সেনাবাহিনী দলের সাবেক স্ট্রাইকার নাসির চৌধুরী।
দুই গোল আবদুল বাতেনের (কমল)। এক গোল জাহিদ হাসানের (এমিলি)। বাকি গোলটি ফাঁকতালে এসে গেছে।
কাল মোহামেডান খেলেছে স্থানীয় দল নিয়ে। তিন নাইজেরিয়ান খেলোয়াড় বুকোলা, এমেকা ও ড্যামি ভিআইপি বক্সের ওদিকটায় বসে খেলা দেখেছেন। বেতন না পেয়ে তাঁরা বিদ্রোহ করেছেন বলে রাতে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন বুকোলা। ঘটনা যা-ই হোক, বিদেশি খেলোয়াড় ছাড়াই মোহামেডান ৭ গোলের বিশাল জয় পেল। তবে এই জয়ের আনন্দেও একটা খারাপ খবর আছে তাদের, প্রথমার্ধের শেষ দিকে কপালে আঘাত পেয়ে ডিফেন্ডার হাসান আল মামুনকে যেতে হয়েছে হাসপাতালে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাঁর আঘাত কতটা গুরুতর, তা জানা যায়নি।
মোহামেডান মাঠে নেমে তাদের করণীয়টা করেছে। কিন্তু লিগ শিরোপাটা এখন আর তাদের হাতের নাগালে নেই। ১৪ ম্যাচে আবাহনীর পয়েন্ট ৪০, মোহামেডানের ৩৬। ৪ পয়েন্টের ব্যবধানটা থেকেই যাচ্ছে। এটাই এখন মোহামেডানের জন্য সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ।
এটাকে এক পাশে রেখে কাল শুরু থেকেই দুর্বল শুকতারার ওপর স্টিমরোলার চালাল মোহামেডান। ৫ মিনিটে গোল-উৎসবের শুরুটা করে দেন আবদুল বাতেন। ৭ মিনিট পর ২-০ করেন নাসির চৌধুরী। ৩১ মিনিটে মোহামেডানকে তৃতীয় গোল উপহার দেন শুকতারার শহিদুল। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে বল পাঠিয়েছেন এই ডিফেন্ডার, যাওয়ার আগে আবদুল বাতেনের গায়ে লেগেছে। কিন্তু গোলটা ছিল আত্মঘাতী। মিনিট দুয়েক পরই ৪-০। গোলদাতা আবদুল বাতেন।
প্রথমার্ধে পাওয়া চার গোলের একটিও জাহিদ হাসানের ছিল না। গোল তিনি পেতে পারতেন। ডেঙ্গু জ্বর থেকে সেরে উঠে তিন ম্যাচ পর পুরো ম্যাচ খেললেন। সতীর্থ দুই স্ট্রাইকারকে (এদিন মোহামেডান খেলেছে তিন স্ট্রাইকার নিয়ে) বাতেন-নাসির চৌধুরীকে বল তৈরি করে দিয়েছেন দারুণভাবে। দলের প্রথম গোলটা ছিল তাঁরই চমত্কার এক থ্রুতে।
সেই জাহিদ হাসান লিগের পঞ্চম ম্যাচে নিজের শেষ গোলের পর এই প্রথম গোল পেলেন এদিন। ম্যাচের ৭০ মিনিটে করলেন (৫-০)।
পরপরই হেসেখেলে নাসির চৌধুরীর হ্যাটট্রিক পূর্ণ হওয়ার দৃশ্য দেখল শ-পাঁচেক দর্শক। অবস্থা এমন হয়েছিল যে, শুকতারার বক্সে বল নিয়ে গেলেই গোল!
এই ম্যাচের আগ পর্যন্ত এবারের লিগে সবচেয়ে বড় জয় ছিল ৬-১, চট্টগ্রাম মোহামেডানকে হারিয়েছিল আরামবাগ।
শুকতারা দিন দিনই রুগ্ণ হয়ে পড়ছে। দ্বিতীয় পর্বে দুজন বিদেশি নিয়েও পারছে না দলটি। এখন পর্যন্ত ১৪ ম্যাচে মাত্র ৭ পয়েন্ট পাওয়া দলটির সামনে অবনমনের শঙ্কা আরও প্রবল হলো।
মোহামেডান: আমিনুল (শাকিল), ওয়ালী, আরিফ, নাসিরুল (সৌকত), হাসান আল মামুন (মামুন মিয়া), মামুনুল, জাহিদ, আবদুল বাতেন, শরিফ, জাহিদ হাসান, নাসির চৌধুরী।
শুকতারা: রাশেদ (আল আমিন), শহিদুল, বিপ্লব, রেজাউল, রবিন, ইদ্রিস, ইদি, কাশেম, সুজন (রিন্টু) সোহেল, মাহমুদউল্লাহ।
গোল-উৎসবের ম্যাচে হ্যাটট্রিক সহজদৃষ্ট। এদিন হ্যাটট্রিক করলেন এমন একজন, যিনি গত মাসে কলম্বোয় এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের বাংলাদেশ দলের রক্ষণভাগে খেলেছেন এবং সেই ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে বাংলাদেশ ৩-০ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে টুর্নামেন্ট থেকে। আলোচিত খেলোয়াড়টি সেনাবাহিনী দলের সাবেক স্ট্রাইকার নাসির চৌধুরী।
দুই গোল আবদুল বাতেনের (কমল)। এক গোল জাহিদ হাসানের (এমিলি)। বাকি গোলটি ফাঁকতালে এসে গেছে।
কাল মোহামেডান খেলেছে স্থানীয় দল নিয়ে। তিন নাইজেরিয়ান খেলোয়াড় বুকোলা, এমেকা ও ড্যামি ভিআইপি বক্সের ওদিকটায় বসে খেলা দেখেছেন। বেতন না পেয়ে তাঁরা বিদ্রোহ করেছেন বলে রাতে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন বুকোলা। ঘটনা যা-ই হোক, বিদেশি খেলোয়াড় ছাড়াই মোহামেডান ৭ গোলের বিশাল জয় পেল। তবে এই জয়ের আনন্দেও একটা খারাপ খবর আছে তাদের, প্রথমার্ধের শেষ দিকে কপালে আঘাত পেয়ে ডিফেন্ডার হাসান আল মামুনকে যেতে হয়েছে হাসপাতালে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাঁর আঘাত কতটা গুরুতর, তা জানা যায়নি।
মোহামেডান মাঠে নেমে তাদের করণীয়টা করেছে। কিন্তু লিগ শিরোপাটা এখন আর তাদের হাতের নাগালে নেই। ১৪ ম্যাচে আবাহনীর পয়েন্ট ৪০, মোহামেডানের ৩৬। ৪ পয়েন্টের ব্যবধানটা থেকেই যাচ্ছে। এটাই এখন মোহামেডানের জন্য সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ।
এটাকে এক পাশে রেখে কাল শুরু থেকেই দুর্বল শুকতারার ওপর স্টিমরোলার চালাল মোহামেডান। ৫ মিনিটে গোল-উৎসবের শুরুটা করে দেন আবদুল বাতেন। ৭ মিনিট পর ২-০ করেন নাসির চৌধুরী। ৩১ মিনিটে মোহামেডানকে তৃতীয় গোল উপহার দেন শুকতারার শহিদুল। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে বল পাঠিয়েছেন এই ডিফেন্ডার, যাওয়ার আগে আবদুল বাতেনের গায়ে লেগেছে। কিন্তু গোলটা ছিল আত্মঘাতী। মিনিট দুয়েক পরই ৪-০। গোলদাতা আবদুল বাতেন।
প্রথমার্ধে পাওয়া চার গোলের একটিও জাহিদ হাসানের ছিল না। গোল তিনি পেতে পারতেন। ডেঙ্গু জ্বর থেকে সেরে উঠে তিন ম্যাচ পর পুরো ম্যাচ খেললেন। সতীর্থ দুই স্ট্রাইকারকে (এদিন মোহামেডান খেলেছে তিন স্ট্রাইকার নিয়ে) বাতেন-নাসির চৌধুরীকে বল তৈরি করে দিয়েছেন দারুণভাবে। দলের প্রথম গোলটা ছিল তাঁরই চমত্কার এক থ্রুতে।
সেই জাহিদ হাসান লিগের পঞ্চম ম্যাচে নিজের শেষ গোলের পর এই প্রথম গোল পেলেন এদিন। ম্যাচের ৭০ মিনিটে করলেন (৫-০)।
পরপরই হেসেখেলে নাসির চৌধুরীর হ্যাটট্রিক পূর্ণ হওয়ার দৃশ্য দেখল শ-পাঁচেক দর্শক। অবস্থা এমন হয়েছিল যে, শুকতারার বক্সে বল নিয়ে গেলেই গোল!
এই ম্যাচের আগ পর্যন্ত এবারের লিগে সবচেয়ে বড় জয় ছিল ৬-১, চট্টগ্রাম মোহামেডানকে হারিয়েছিল আরামবাগ।
শুকতারা দিন দিনই রুগ্ণ হয়ে পড়ছে। দ্বিতীয় পর্বে দুজন বিদেশি নিয়েও পারছে না দলটি। এখন পর্যন্ত ১৪ ম্যাচে মাত্র ৭ পয়েন্ট পাওয়া দলটির সামনে অবনমনের শঙ্কা আরও প্রবল হলো।
মোহামেডান: আমিনুল (শাকিল), ওয়ালী, আরিফ, নাসিরুল (সৌকত), হাসান আল মামুন (মামুন মিয়া), মামুনুল, জাহিদ, আবদুল বাতেন, শরিফ, জাহিদ হাসান, নাসির চৌধুরী।
শুকতারা: রাশেদ (আল আমিন), শহিদুল, বিপ্লব, রেজাউল, রবিন, ইদ্রিস, ইদি, কাশেম, সুজন (রিন্টু) সোহেল, মাহমুদউল্লাহ।
No comments