মাতৃভাষা, বাংলাদেশ এবং একজন ইরানি by হানিফ ইয়াজদাই
আমি হানিফ ইয়াজদাই, একজন ইরানি। এ বছর একুশে ফেব্রুয়ারিতে তোমরা সবাই মিলে মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন করেছ। তোমরা আবৃত্তি করেছ রবি ঠাকুর, নজরুল, জসীমউদ্দীনের কবিতা। তোমরা খালি পায়ে জড়ো হয়ে ফুল দিয়ে সাজিয়েছ স্বাধীনতার বেদী শহীদ মিনার।
তোমরা শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করেছ সেই সব বাঙালি তরুণ-তরুণীকে যারা জীবন দিয়েছিল তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে, মাতৃভাষায় কথা বলার দাবিতে। আজ ইরানের তরুণেরা সংগ্রাম করছে। আমাদের অনেক দূর যেতে হবে। কোনো বিদেশি শাসক আমাদের মায়ের কণ্ঠ রোধ করছে না। কিন্তু ইরান সরকার আমাদের চিন্তা-চেতনাকে জব্দ করে দিচ্ছে। প্রতিহত করছে সব ভিন্ন মত। তুমি যদি তোমার কথা বলতে না পারো, তবে মাতৃভাষায় কথা বলার কি কোনো মানে আছে?
গত ছয় মাস ধরে আমি অসহায়ভাবে দেখছি জনগণের ওপর ইরান সরকারের আচরন। ওরা রাস্তায় গুলি করছে আমার বন্ধু ছাত্রদের, বন্দী করে নির্যাতন করছে সংবাদকর্মী ও মানবাধিকারের কর্মীদের। সম্প্রতি সরকার ‘আল্লার শত্রু’ ঘোষণা করে ফাঁসি দিয়েছে মোহাম্মদ রেজা আলী জামালি (৩৭) ও রাহমানিপৌরকে (২০)। তাঁদের বিচার করা হয়েছে গোপনে। এমনকি তাঁদের কোনো আইনজীবী নিয়োগ করতে দেওয়া হয়নি।
ড. ইবরাহিম ইয়াজদাই আমার দাদা। ৭৮ বছরের এই বৃদ্ধ সরকারের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তাঁর অহিংস লেখালেখি ও বক্তৃতার জন্য গত ২৮ ডিসেম্বর তেহরানের বাসা থেকে দ্বিতীয়বারের মতো গ্রেপ্তার হয়েছেন। তিনি এবং আরও শত শত বন্দী এখন ইভিন কারাগারে। এটা আমেরিকার গুয়ানতানামো কারাগারের ইরানি সংস্করণ ছাড়া আর কিছুই না।
গত গ্রীষ্মে বাংলাদেশে ছিলাম। ঠিক সেই সময় আমাদের নির্বাচনের নাটকগুলো প্রকাশিত হতে শুরু করে। আমার নিজেকে চরম অসহায়, হতাশ, ক্ষুব্ধ ও একা মনে হচ্ছিল। আমি দেশ থেকে অনেক দূরে, জাতির এক ঐতিহাসিক ক্রান্তিকালে। আমার ভেতরে বাংলাদেশ থেকেই কিছু একটা করার প্রচণ্ড উত্তেজনা। তখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম এবং গত ৩০ বছরের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের সংগ্রামের ইতিহাস কিছুই আমি জানি না। একদিন শহীদ মিনারের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় দেখলাম ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে শহীদ মিনার জুড়ে এক দল তরুণ। আমি তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম তারা কারা। ‘আমরা কারখানার শ্রমিক, আমাদের অধিকারের দাবি জানাচ্ছি’। আমার খারাপ লাগছিল এবং তখনই এই ভেবে বিস্মিত হয়েছিলাম, ইরানে ঠিক এ ধরনের একটা প্রতিবাদে কীভাবে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া ও লাঠিচার্জ করা হয়।
আমার এক বন্ধুর সঙ্গে পরের দিন রাতে জাতীয় সংসদ ভবনে যাই। তখন বাজেট বিতর্ক চলছিল। আমি ভিরমি খেয়েছিলাম সংসদে নারী সদস্যদের সংখ্যা দেখে। তাঁদের অনেক হিজাব ব্যবহার করছেন, অনেকে করছেন না। সবচেয়ে বিস্ময়কর তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান—পররাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং!
আমি অবাক হয়ে ভাবছিলাম, এমন একদিন আসবে যখন কোনো এক ইরানি বোন আমার সরকার পরিচালনা করবেন, অন্তত দেশের বাইরে আমাদের প্রতিনিধিত্ব করবেন। আমি সেই দিনের কথা ভাবছিলাম, যখন ইরানি নারী গ্রেপ্তারের ভয় ও নির্যাতন ছাড়াই তাদের অধিকারের জন্য আন্দোলন করবে। আমি ভাবছিলাম শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বোন শিরিন এবাদির কথা। তিনি এখন কারাগারে বন্দী, সরকার এবাদিকে বাধ্য করছে তাঁর কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য।
পরের সপ্তাহে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরে বেড়ালাম। দেখলাম, তাদের ভাস্কর্য। ওগুলোতে কোনো মহান নেতা বা পরাক্রমশালী কারও জয়গান নয়, সংগ্রামী ছাত্র ও সাধারণ মানুষের প্রতিকৃতি। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, ব্যক্তিস্বাধীনতা এবং সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যাঁরা জীবন দিয়েছিলেন। আমি ওইসব ভাস্কর্যের মুখে দেখতে পাই রাস্তায় নিহত নেদার মুখচ্ছবি, গ্রেপ্তার হওয়ার পরে হারিয়ে যাওয়া সোহরাবকে। আমি দেখেছিলাম মুক্তিবাহিনীর এক প্রতিকৃতির বুকে লেখা রয়েছে— ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক’। আর কত কাল আমাদের কণ্ঠ ইরানে বন্দী থাকবে?
অল্প কয়েকদিন পর ইরানে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে নির্মম আচরণের প্রতিবাদে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক স্বতঃস্ফূর্ত সমাবেশে জড়ো হয়েছিল ছাত্র, মানবাধিকারকর্মী ও বাংলাদেশের সচেতন মানুষ। তারা এটা করেছিল কোনো অনুমোদন ছাড়া, কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে ও কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই। ওই দিন আমার বাংলাদেশের ভাইবোনদের পাশে দাঁড়িয়ে ভাবছিলাম, আমাদের ভাগ্য কতটা ভিন্ন হতো যদি এই শান্তিপূর্ণ সমাবেশটা তেহরান জাতীয় জাদুঘরের সামনে হতো। আমার মনের মধ্যে একটা ছবি ভেসে উঠেছিল, জীবন বাঁচাতে ছুটে চলা আহত ছাত্রদের আর্তনাদ উপেক্ষা করে লাঠি, ছুরি নিয়ে সশস্ত্র বাসিজ মিলিশিয়ারা কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়ার মধ্যে আমাদের ধাওয়া করছে। দুঃশাসন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতির সংগ্রামের ইতিহাস কয়েক শ বছরের। এটাই উপযুক্ত সময় আমার ইরানের ভাইবোনদের কাছে বাংলাদেশের নারী-পুরুষ, সাধারণ মানুষের সংগ্রামের দৃষ্টান্তগুলো তুলে ধরার। আমি জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরে বসে মুক্ত ইরানের স্বপ্ন দেখছিলাম। আমি ইরানের স্বপ্ন দেখছিলাম যেখানে একজন নারী বসতে পারবেন দেশের সর্বোচ্চ অফিসে, থাকবে না কোনো উপাস্য, কোনো একনায়ক, মুদ্রা বা দেয়াল জুড়ে থাকবে না কোনো প্রতিকৃতি এবং বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মাণ হবে না কোনো মাজার। খোমেনি খুব সাধারণ জীবনযাপন কবরতেন। কিন্তু মৃত্যুর পরে একজন রাজার সঙ্গে তার খুব সামান্যই পার্থক্য করা যায়। আমি চমত্কৃত হয়েছিলাম বঙ্গবন্ধুর সাধারণ বাড়ি, শহীদ মিনারের ছোট আকৃতি সত্ত্বেও এগুলোর মহত্ত্ব ও গুরুত্ব দেখে। বাংলাদেশ ছোট, মার্জিত ও ভালোবাসায় পরিপূর্ণ।
আমি তোমাদের লিখছি আমাদের পাশে দাড়ানোর জন্য। আমি তোমাদের অনুরোধ করছি ইতিহাস সৃষ্টি করতে। তোমরা ইরানের নারী পুরুষদের জানিয়ে দাও তারা একা নয়। তোমার চিন্তার চেয়ে অনেক দুর যাবে তোমাদের প্রতিবাদ।
হানিফ ইয়াজদাই: একজন ইরানি ছাত্র।
তোমরা শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করেছ সেই সব বাঙালি তরুণ-তরুণীকে যারা জীবন দিয়েছিল তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে, মাতৃভাষায় কথা বলার দাবিতে। আজ ইরানের তরুণেরা সংগ্রাম করছে। আমাদের অনেক দূর যেতে হবে। কোনো বিদেশি শাসক আমাদের মায়ের কণ্ঠ রোধ করছে না। কিন্তু ইরান সরকার আমাদের চিন্তা-চেতনাকে জব্দ করে দিচ্ছে। প্রতিহত করছে সব ভিন্ন মত। তুমি যদি তোমার কথা বলতে না পারো, তবে মাতৃভাষায় কথা বলার কি কোনো মানে আছে?
গত ছয় মাস ধরে আমি অসহায়ভাবে দেখছি জনগণের ওপর ইরান সরকারের আচরন। ওরা রাস্তায় গুলি করছে আমার বন্ধু ছাত্রদের, বন্দী করে নির্যাতন করছে সংবাদকর্মী ও মানবাধিকারের কর্মীদের। সম্প্রতি সরকার ‘আল্লার শত্রু’ ঘোষণা করে ফাঁসি দিয়েছে মোহাম্মদ রেজা আলী জামালি (৩৭) ও রাহমানিপৌরকে (২০)। তাঁদের বিচার করা হয়েছে গোপনে। এমনকি তাঁদের কোনো আইনজীবী নিয়োগ করতে দেওয়া হয়নি।
ড. ইবরাহিম ইয়াজদাই আমার দাদা। ৭৮ বছরের এই বৃদ্ধ সরকারের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তাঁর অহিংস লেখালেখি ও বক্তৃতার জন্য গত ২৮ ডিসেম্বর তেহরানের বাসা থেকে দ্বিতীয়বারের মতো গ্রেপ্তার হয়েছেন। তিনি এবং আরও শত শত বন্দী এখন ইভিন কারাগারে। এটা আমেরিকার গুয়ানতানামো কারাগারের ইরানি সংস্করণ ছাড়া আর কিছুই না।
গত গ্রীষ্মে বাংলাদেশে ছিলাম। ঠিক সেই সময় আমাদের নির্বাচনের নাটকগুলো প্রকাশিত হতে শুরু করে। আমার নিজেকে চরম অসহায়, হতাশ, ক্ষুব্ধ ও একা মনে হচ্ছিল। আমি দেশ থেকে অনেক দূরে, জাতির এক ঐতিহাসিক ক্রান্তিকালে। আমার ভেতরে বাংলাদেশ থেকেই কিছু একটা করার প্রচণ্ড উত্তেজনা। তখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম এবং গত ৩০ বছরের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের সংগ্রামের ইতিহাস কিছুই আমি জানি না। একদিন শহীদ মিনারের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় দেখলাম ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে শহীদ মিনার জুড়ে এক দল তরুণ। আমি তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম তারা কারা। ‘আমরা কারখানার শ্রমিক, আমাদের অধিকারের দাবি জানাচ্ছি’। আমার খারাপ লাগছিল এবং তখনই এই ভেবে বিস্মিত হয়েছিলাম, ইরানে ঠিক এ ধরনের একটা প্রতিবাদে কীভাবে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া ও লাঠিচার্জ করা হয়।
আমার এক বন্ধুর সঙ্গে পরের দিন রাতে জাতীয় সংসদ ভবনে যাই। তখন বাজেট বিতর্ক চলছিল। আমি ভিরমি খেয়েছিলাম সংসদে নারী সদস্যদের সংখ্যা দেখে। তাঁদের অনেক হিজাব ব্যবহার করছেন, অনেকে করছেন না। সবচেয়ে বিস্ময়কর তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান—পররাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং!
আমি অবাক হয়ে ভাবছিলাম, এমন একদিন আসবে যখন কোনো এক ইরানি বোন আমার সরকার পরিচালনা করবেন, অন্তত দেশের বাইরে আমাদের প্রতিনিধিত্ব করবেন। আমি সেই দিনের কথা ভাবছিলাম, যখন ইরানি নারী গ্রেপ্তারের ভয় ও নির্যাতন ছাড়াই তাদের অধিকারের জন্য আন্দোলন করবে। আমি ভাবছিলাম শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বোন শিরিন এবাদির কথা। তিনি এখন কারাগারে বন্দী, সরকার এবাদিকে বাধ্য করছে তাঁর কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য।
পরের সপ্তাহে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরে বেড়ালাম। দেখলাম, তাদের ভাস্কর্য। ওগুলোতে কোনো মহান নেতা বা পরাক্রমশালী কারও জয়গান নয়, সংগ্রামী ছাত্র ও সাধারণ মানুষের প্রতিকৃতি। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, ব্যক্তিস্বাধীনতা এবং সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যাঁরা জীবন দিয়েছিলেন। আমি ওইসব ভাস্কর্যের মুখে দেখতে পাই রাস্তায় নিহত নেদার মুখচ্ছবি, গ্রেপ্তার হওয়ার পরে হারিয়ে যাওয়া সোহরাবকে। আমি দেখেছিলাম মুক্তিবাহিনীর এক প্রতিকৃতির বুকে লেখা রয়েছে— ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক’। আর কত কাল আমাদের কণ্ঠ ইরানে বন্দী থাকবে?
অল্প কয়েকদিন পর ইরানে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে নির্মম আচরণের প্রতিবাদে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক স্বতঃস্ফূর্ত সমাবেশে জড়ো হয়েছিল ছাত্র, মানবাধিকারকর্মী ও বাংলাদেশের সচেতন মানুষ। তারা এটা করেছিল কোনো অনুমোদন ছাড়া, কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে ও কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই। ওই দিন আমার বাংলাদেশের ভাইবোনদের পাশে দাঁড়িয়ে ভাবছিলাম, আমাদের ভাগ্য কতটা ভিন্ন হতো যদি এই শান্তিপূর্ণ সমাবেশটা তেহরান জাতীয় জাদুঘরের সামনে হতো। আমার মনের মধ্যে একটা ছবি ভেসে উঠেছিল, জীবন বাঁচাতে ছুটে চলা আহত ছাত্রদের আর্তনাদ উপেক্ষা করে লাঠি, ছুরি নিয়ে সশস্ত্র বাসিজ মিলিশিয়ারা কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়ার মধ্যে আমাদের ধাওয়া করছে। দুঃশাসন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতির সংগ্রামের ইতিহাস কয়েক শ বছরের। এটাই উপযুক্ত সময় আমার ইরানের ভাইবোনদের কাছে বাংলাদেশের নারী-পুরুষ, সাধারণ মানুষের সংগ্রামের দৃষ্টান্তগুলো তুলে ধরার। আমি জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরে বসে মুক্ত ইরানের স্বপ্ন দেখছিলাম। আমি ইরানের স্বপ্ন দেখছিলাম যেখানে একজন নারী বসতে পারবেন দেশের সর্বোচ্চ অফিসে, থাকবে না কোনো উপাস্য, কোনো একনায়ক, মুদ্রা বা দেয়াল জুড়ে থাকবে না কোনো প্রতিকৃতি এবং বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মাণ হবে না কোনো মাজার। খোমেনি খুব সাধারণ জীবনযাপন কবরতেন। কিন্তু মৃত্যুর পরে একজন রাজার সঙ্গে তার খুব সামান্যই পার্থক্য করা যায়। আমি চমত্কৃত হয়েছিলাম বঙ্গবন্ধুর সাধারণ বাড়ি, শহীদ মিনারের ছোট আকৃতি সত্ত্বেও এগুলোর মহত্ত্ব ও গুরুত্ব দেখে। বাংলাদেশ ছোট, মার্জিত ও ভালোবাসায় পরিপূর্ণ।
আমি তোমাদের লিখছি আমাদের পাশে দাড়ানোর জন্য। আমি তোমাদের অনুরোধ করছি ইতিহাস সৃষ্টি করতে। তোমরা ইরানের নারী পুরুষদের জানিয়ে দাও তারা একা নয়। তোমার চিন্তার চেয়ে অনেক দুর যাবে তোমাদের প্রতিবাদ।
হানিফ ইয়াজদাই: একজন ইরানি ছাত্র।
No comments