জার্মানি বলে কথা
ফুটবল হচ্ছে এমন একটা খেলা, ৯০ মিনিট ধরে একটা বলের পেছনে ২২ জন খেলোয়াড় ছোটাছুটি করে এবং অবশেষে জার্মানিই জেতে।
১৯৯০ বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে সেমিফাইনালে হেরে যাওয়ার পর তিতিবিরক্ত ইংলিশ স্ট্রাইকার গ্যারি লিনেকার করেছিলেন এই অমর উক্তি। সুযোগ পেলেই লিনেকারের কথাটা সত্যি প্রমাণে ব্যস্ত হয়ে ওঠে জার্মানি। খেলায় সৌন্দর্য নেই, যান্ত্রিক ফুটবল, শরীরনির্ভর খেলা—এতসব সমালোচনা জার্মান ফুটবল ঘিরে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লিনেকারের কথাই গিয়ে সত্যি প্রমাণ হয়, ‘জার্মানিই জেতে।’
আর তাই, এবার যখন ফেবারিটদের তালিকায় জার্মানির নাম উচ্চারিত হচ্ছে না, তখন সর্বশেষ বিশ্বকাপজয়ী জার্মান অধিনায়ক লোথার ম্যাথাউস মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ২০০২ বিশ্বকাপেও জার্মানিকে হিসাবের মধ্যে রাখেনি অনেকেই। তার পরও সেই জার্মানিই উঠে গিয়েছিল ফাইনালে।
জার্মানি ফেবারিট নয়—খোদ অধিনায়ক মাইকেল বালাকও বলছেন এই কথা। বাছাইপর্বে অপরাজিত থেকেই বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়ার পরও চেলসি মিডফিল্ডার বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের ধারাবাহিকতার অভাব আছে। শিরোপার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী দল নেই আমাদের। বিশেষ করে প্রীতি ম্যাচগুলোতে আমরা খুবই খারাপ খেলছি। বিশ্বকাপের ড্রতেও ভাগ্য আমাদের পক্ষে ছিল না। কঠিন একটা গ্রুপ পড়েছে আমাদের জন্য, যেখানে প্রতিপক্ষগুলো অস্বস্তিকর এবং শারীরিকভাবে খুবই শক্তিশালী।’
‘ডি’ গ্রুপে জার্মানির তিন প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, ঘানা আর সার্বিয়া। এই তিন দলের বিশ্বকাপ রেকর্ড অবশ্য বালাকের কথাকে সমর্থন করে না। তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে খেলবে অস্ট্রেলিয়া, যাদের সর্বোচ্চ সাফল্য গত আসরে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়া। স্বাধীন একক রাষ্ট্র হিসেবে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছে সার্বিয়া। ঘানার এটি দ্বিতীয় বিশ্বকাপ।
ফেবারিটের তকমা না থাকায় চাপমুক্ত হয়ে খেলার একটা সুবিধা আছে। কে জানে, বালাক সেই পথেই হাঁটছেন কি না। তাঁর চোখে ফেবারিট হলো ইংল্যান্ড, ‘দুর্দান্ত একটা দল ওদের। বেশ কজন খেলোয়াড় আছে অসাধারণ মানের। ফ্যাবিও ক্যাপেলোর মতো কোচও আছেন, দলের স্থিরতা এনেছেন যিনি।’ ফেবারিট হিসেবে ব্রাজিল, ইতালি, এমনকি ফ্রান্সের নামও উচ্চারণ করেছেন। কিন্তু জার্মানিকে ফেবারিট মানতে মোটেও রাজি নন তিনি, কারণ ‘এই মুহূর্তে আমাদের চেয়ে অনেকে ভালো দল আছে।’
জার্মানির মূল সমস্যা, তাদের খেলোয়াড়দের ফর্ম। দুই মূল স্ট্রাইকার লুকাস পোড্লস্কি আর মিরোস্লাভ ক্লোসা ভুগছেন গোল-খরায়। লিগে ২০ ম্যাচে মাত্র দুই গোল করেছেন পোড্লস্কি, ১৮ ম্যাচে এক গোল ক্লোসার। সবচেয়ে বড় সমস্যা গোলপোস্টের নিচের জায়গাটি নিয়ে। অলিভার কান আর জেন্স লেম্যানের পর বিশ্বস্ত কাউকে খুঁজেই পাচ্ছেন না কোচ জোয়াকিম লো। রবার্ট এনকের আত্মহত্যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে গত ম্যাচে রেনে এডলারের ভুলে গোল খেয়ে বসার পর তাঁকে নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
সমস্যা আছেই। তার পরও জার্মানিকে বাতিলের খাতায় ফেলে দেওয়া হবে মস্ত বড় বোকামি। সবচেয়ে বেশিবার ফাইনাল খেলেছে তারা। সবচেয়ে বেশিবার সেমিফাইনাল কিংবা সেরা চার হওয়া দলও। ১৯৮২ থেকে ১৯৯০—খেলেছে টানা তিনটি বিশ্বকাপের ফাইনালে। লিনেকারের কথাটাই বুঝি সত্যি, ‘... শেষে জার্মানিই জেতে।’
১৯৯০ বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে সেমিফাইনালে হেরে যাওয়ার পর তিতিবিরক্ত ইংলিশ স্ট্রাইকার গ্যারি লিনেকার করেছিলেন এই অমর উক্তি। সুযোগ পেলেই লিনেকারের কথাটা সত্যি প্রমাণে ব্যস্ত হয়ে ওঠে জার্মানি। খেলায় সৌন্দর্য নেই, যান্ত্রিক ফুটবল, শরীরনির্ভর খেলা—এতসব সমালোচনা জার্মান ফুটবল ঘিরে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লিনেকারের কথাই গিয়ে সত্যি প্রমাণ হয়, ‘জার্মানিই জেতে।’
আর তাই, এবার যখন ফেবারিটদের তালিকায় জার্মানির নাম উচ্চারিত হচ্ছে না, তখন সর্বশেষ বিশ্বকাপজয়ী জার্মান অধিনায়ক লোথার ম্যাথাউস মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ২০০২ বিশ্বকাপেও জার্মানিকে হিসাবের মধ্যে রাখেনি অনেকেই। তার পরও সেই জার্মানিই উঠে গিয়েছিল ফাইনালে।
জার্মানি ফেবারিট নয়—খোদ অধিনায়ক মাইকেল বালাকও বলছেন এই কথা। বাছাইপর্বে অপরাজিত থেকেই বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়ার পরও চেলসি মিডফিল্ডার বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের ধারাবাহিকতার অভাব আছে। শিরোপার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী দল নেই আমাদের। বিশেষ করে প্রীতি ম্যাচগুলোতে আমরা খুবই খারাপ খেলছি। বিশ্বকাপের ড্রতেও ভাগ্য আমাদের পক্ষে ছিল না। কঠিন একটা গ্রুপ পড়েছে আমাদের জন্য, যেখানে প্রতিপক্ষগুলো অস্বস্তিকর এবং শারীরিকভাবে খুবই শক্তিশালী।’
‘ডি’ গ্রুপে জার্মানির তিন প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, ঘানা আর সার্বিয়া। এই তিন দলের বিশ্বকাপ রেকর্ড অবশ্য বালাকের কথাকে সমর্থন করে না। তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে খেলবে অস্ট্রেলিয়া, যাদের সর্বোচ্চ সাফল্য গত আসরে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়া। স্বাধীন একক রাষ্ট্র হিসেবে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছে সার্বিয়া। ঘানার এটি দ্বিতীয় বিশ্বকাপ।
ফেবারিটের তকমা না থাকায় চাপমুক্ত হয়ে খেলার একটা সুবিধা আছে। কে জানে, বালাক সেই পথেই হাঁটছেন কি না। তাঁর চোখে ফেবারিট হলো ইংল্যান্ড, ‘দুর্দান্ত একটা দল ওদের। বেশ কজন খেলোয়াড় আছে অসাধারণ মানের। ফ্যাবিও ক্যাপেলোর মতো কোচও আছেন, দলের স্থিরতা এনেছেন যিনি।’ ফেবারিট হিসেবে ব্রাজিল, ইতালি, এমনকি ফ্রান্সের নামও উচ্চারণ করেছেন। কিন্তু জার্মানিকে ফেবারিট মানতে মোটেও রাজি নন তিনি, কারণ ‘এই মুহূর্তে আমাদের চেয়ে অনেকে ভালো দল আছে।’
জার্মানির মূল সমস্যা, তাদের খেলোয়াড়দের ফর্ম। দুই মূল স্ট্রাইকার লুকাস পোড্লস্কি আর মিরোস্লাভ ক্লোসা ভুগছেন গোল-খরায়। লিগে ২০ ম্যাচে মাত্র দুই গোল করেছেন পোড্লস্কি, ১৮ ম্যাচে এক গোল ক্লোসার। সবচেয়ে বড় সমস্যা গোলপোস্টের নিচের জায়গাটি নিয়ে। অলিভার কান আর জেন্স লেম্যানের পর বিশ্বস্ত কাউকে খুঁজেই পাচ্ছেন না কোচ জোয়াকিম লো। রবার্ট এনকের আত্মহত্যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে গত ম্যাচে রেনে এডলারের ভুলে গোল খেয়ে বসার পর তাঁকে নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
সমস্যা আছেই। তার পরও জার্মানিকে বাতিলের খাতায় ফেলে দেওয়া হবে মস্ত বড় বোকামি। সবচেয়ে বেশিবার ফাইনাল খেলেছে তারা। সবচেয়ে বেশিবার সেমিফাইনাল কিংবা সেরা চার হওয়া দলও। ১৯৮২ থেকে ১৯৯০—খেলেছে টানা তিনটি বিশ্বকাপের ফাইনালে। লিনেকারের কথাটাই বুঝি সত্যি, ‘... শেষে জার্মানিই জেতে।’
No comments