শেয়ারবাজারে অশুভ-সংকেত
দেশের শেয়ারবাজারকে ঘিরে যেসব কর্মকাণ্ড জোরদার হয়ে উঠছে, তাতে এই বাজারের ভবিষ্যত্ নিয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। গত কয়েক দিনে শেয়ারবাজার-সংক্রান্ত যেসব খবর প্রথম আলোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, সেসব নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করলেই এর প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়। বোঝা যায়, বাজারের কিছু ঘটনা ও প্রবণতা গোটা বাজার সম্পর্কেই অশুভ-সংকেত দিচ্ছে।
একদিকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) অদক্ষ ও অপ্রতুল তদারকি, অন্যদিকে বিভিন্ন জুয়াবাজি-কারসাজি চক্রের সক্রিয়তা পুরো বাজারকে দীর্ঘমেয়াদি বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। পরিণতিতে একটা পর্যায়ে গিয়ে বাজারে আকস্মিকভাবে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটে হাজার হাজার মানুষ সর্বস্বান্ত হতে পারে। যে মূলধন বিনিয়োগ করে তারা কিছু লাভের প্রত্যাশায় এই বাজারমুখী হয়েছিল, তার প্রায় সবটাই খোয়া যেতে পারে।
গত কিছুদিনের শেয়ারবাজারের গতিপ্রকৃতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বাজারের বিভিন্ন শেয়ারকে কৃত্রিমভাবে ফুলিয়ে বিনিয়োগকারীদের প্রলুব্ধ করা হচ্ছে। কোনো প্রতিষ্ঠানের বাস্তব অবস্থা যা-ই থাকুক, ওয়েবসাইটসহ বিভিন্ন মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে শেয়ার কিনতে প্রভাবিত করা হচ্ছে। অবস্থাটা এমন জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, যেন মনে হয়, শেয়ারবাজার মানেই টাকা বানানোর অবারিত সুযোগ। জনমনে ধারণা দেওয়া হচ্ছে, চিন্তাভাবনা করে দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ করা নয়, অল্প সময়ে বেচাকেনা করে দ্রুত মুনাফা তুলে নেওয়াই এখানে মুখ্য। এ ধরনের মিথ্যা প্রলোভন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের বিভ্রান্ত করে ফেলেছে। তাঁরা অনেকেই বুঝে উঠতে পারছেন না যে বাজারে সব সময় সব শেয়ারের দাম বাড়বে না বরং কমবেও। এবং কিছু শেয়ারের দাম যতটা অস্বাভাবিক দ্রুত হারে বেড়েছে, সেগুলো যদি ততটা দ্রুত হারে কমে, তাহলে অনেককেই বড় লোকসান
গুনতে হবে।
এ রকম একটা পরিস্থিতিতেও বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসির কর্মকাণ্ড দেখলে মনে হয়, বাজারকে স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রাখার বিষয়ে তাদের তেমন কোনো আগ্রহ নেই। সরাসরি কোনো প্রতিষ্ঠানকে তালিকাভুক্ত না করার সিদ্ধান্ত থেকে পক্ষপাতদুষ্টভাবে সরে আসা, সব শেয়ারের অভিহিত মূল্য ১০০ টাকায় রূপান্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পর্ষদ নির্বাচনে সরকারদলীয় প্রার্থীদের অবাধ সুযোগ করে দিতে অযৌক্তিক হস্তক্ষেপের মতো সব কর্মকাণ্ড এ সংস্থাটির গ্রহণযোগ্যতা তলানির দিকে নিয়ে গেছে।
আশ্চর্যের বিষয় হলো, সরকারের উচ্চপর্যায় থেকেও শেয়ারবাজারের এই বিপজ্জনক বিষয়গুলো নিয়ে কোনোই ভাবান্তর নেই। এই সরকার ক্ষমতায় আসার প্রায় দেড় বছর হয়ে যাচ্ছে, ছিয়ানব্বইয়ের শেয়ার-কেলেংকারি মামলা নিষ্পত্তির কোনোই পদক্ষেপ নেয়নি। বরং রাজনৈতিক মদদে শেয়ার মামলার একাধিক আসামি এখন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে কর্তৃত্ব করছেন। গোটা শেয়ারবাজারকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করছে। সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে এ বিষয়ে দ্রুত নজর দিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে শেয়ারবাজার শেষ পর্যন্ত অনেক বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। হয়ে যেতে পারে দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার জন্য বিরাট ক্ষতি।
একদিকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) অদক্ষ ও অপ্রতুল তদারকি, অন্যদিকে বিভিন্ন জুয়াবাজি-কারসাজি চক্রের সক্রিয়তা পুরো বাজারকে দীর্ঘমেয়াদি বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। পরিণতিতে একটা পর্যায়ে গিয়ে বাজারে আকস্মিকভাবে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটে হাজার হাজার মানুষ সর্বস্বান্ত হতে পারে। যে মূলধন বিনিয়োগ করে তারা কিছু লাভের প্রত্যাশায় এই বাজারমুখী হয়েছিল, তার প্রায় সবটাই খোয়া যেতে পারে।
গত কিছুদিনের শেয়ারবাজারের গতিপ্রকৃতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বাজারের বিভিন্ন শেয়ারকে কৃত্রিমভাবে ফুলিয়ে বিনিয়োগকারীদের প্রলুব্ধ করা হচ্ছে। কোনো প্রতিষ্ঠানের বাস্তব অবস্থা যা-ই থাকুক, ওয়েবসাইটসহ বিভিন্ন মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে শেয়ার কিনতে প্রভাবিত করা হচ্ছে। অবস্থাটা এমন জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, যেন মনে হয়, শেয়ারবাজার মানেই টাকা বানানোর অবারিত সুযোগ। জনমনে ধারণা দেওয়া হচ্ছে, চিন্তাভাবনা করে দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ করা নয়, অল্প সময়ে বেচাকেনা করে দ্রুত মুনাফা তুলে নেওয়াই এখানে মুখ্য। এ ধরনের মিথ্যা প্রলোভন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের বিভ্রান্ত করে ফেলেছে। তাঁরা অনেকেই বুঝে উঠতে পারছেন না যে বাজারে সব সময় সব শেয়ারের দাম বাড়বে না বরং কমবেও। এবং কিছু শেয়ারের দাম যতটা অস্বাভাবিক দ্রুত হারে বেড়েছে, সেগুলো যদি ততটা দ্রুত হারে কমে, তাহলে অনেককেই বড় লোকসান
গুনতে হবে।
এ রকম একটা পরিস্থিতিতেও বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসির কর্মকাণ্ড দেখলে মনে হয়, বাজারকে স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রাখার বিষয়ে তাদের তেমন কোনো আগ্রহ নেই। সরাসরি কোনো প্রতিষ্ঠানকে তালিকাভুক্ত না করার সিদ্ধান্ত থেকে পক্ষপাতদুষ্টভাবে সরে আসা, সব শেয়ারের অভিহিত মূল্য ১০০ টাকায় রূপান্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পর্ষদ নির্বাচনে সরকারদলীয় প্রার্থীদের অবাধ সুযোগ করে দিতে অযৌক্তিক হস্তক্ষেপের মতো সব কর্মকাণ্ড এ সংস্থাটির গ্রহণযোগ্যতা তলানির দিকে নিয়ে গেছে।
আশ্চর্যের বিষয় হলো, সরকারের উচ্চপর্যায় থেকেও শেয়ারবাজারের এই বিপজ্জনক বিষয়গুলো নিয়ে কোনোই ভাবান্তর নেই। এই সরকার ক্ষমতায় আসার প্রায় দেড় বছর হয়ে যাচ্ছে, ছিয়ানব্বইয়ের শেয়ার-কেলেংকারি মামলা নিষ্পত্তির কোনোই পদক্ষেপ নেয়নি। বরং রাজনৈতিক মদদে শেয়ার মামলার একাধিক আসামি এখন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে কর্তৃত্ব করছেন। গোটা শেয়ারবাজারকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করছে। সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে এ বিষয়ে দ্রুত নজর দিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে শেয়ারবাজার শেষ পর্যন্ত অনেক বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। হয়ে যেতে পারে দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার জন্য বিরাট ক্ষতি।
No comments