স্কুলে যেতে শুরু করেছে চিলির শিশুরা
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলিতে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর শিশুরা স্কুলে যেতে শুরু করেছে। গত কয়েক দিনের দুঃসহ স্মৃতি পেছনে ফেলে পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দে মেতে উঠেছে তারা। এদিকে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৪৯৭ জনে পৌঁছেছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া।
রাজধানী সান্তিয়াগোতে সাবকেসিয়াক্স জুনিয়র হাইস্কুলে ছেলেকে নামিয়ে দিয়ে এক মা জানালেন, শিশুরা স্কুলে যেতে শুরু করেছে, এটা খুব ভালো বিষয়। তাদের মনোযোগ পড়াশোনার দিকেই ফেরানো উচিত। স্কুলে প্রবেশের আগে এক বালক জানায়, ভূমিকম্পের সময় সে প্রচণ্ড ভয় পেয়েছিল। বন্ধুদের কথা তার খুব বেশি মনে পড়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী মনিকা জিমেনেজ বলেন, ভয়াবহ এ দুর্যোগের পর শিশুদের ভালোবাসা ও আন্তরিকতার সঙ্গে বিদ্যালয়ে গ্রহণ করার জন্য শিক্ষকদের বলে দেওয়া হয়েছে। তাদের শেখানোর জন্য শিক্ষকদের অনেক বেশি আন্তরিক হতে হবে। সাবকেসিয়াক্স স্কুল পরিদর্শনের পর শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্লাসে উপস্থিত হয়েছে, যা খুব ইতিবাচক। আর যেসব স্কুল এখনো খোলা হয়নি, তাদের সময় দেওয়া হচ্ছে।
সান্তিয়াগোর মেয়র পাবলো জালাকুয়েট একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে জানান, ভূমিকম্পে অনেক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় বিদ্যালয়ের কার্যক্রম বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে কয়েক সপ্তাহের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হবে। তবে প্রয়োজনে এ কার্যক্রম পুরো বছর চলতে পারে।
শিশুরা বিদ্যালয়ে ফেরা শুরু করলেও সেভাবে স্বাভাবিক হয়ে আসেনি চিলির জনজীবন। তাদের অভিভাবকদের এখনো খাদ্য ও পানির জন্য ছোটাছুটি করতে হচ্ছে। বিনিদ্র রাত কাটাতে হচ্ছে ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়ির বাইরে বসে বসে।
ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির শিকার মাউল ও বিওবিও শহরের শিক্ষার্থীরা আপাতত বিদ্যালয়ে ফিরতে পারছে না। স্কুলে যাওয়ার জন্য তাদের মার্চের শেষ কিংবা এপ্রিলের শেষ পর্যন্তও অপেক্ষা করতে হতে পারে। দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কনসেপসিওনের স্কুলগুলোও বন্ধ রয়েছে। শহরের ম্যাথোডিস্ট উচ্চবিদ্যালয় পুনর্গঠনের কাজ চলছে। সেখানে কর্মরত এক শ্রমিক জানান, বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা কেন্দ্রের চারটি বিম ধসে গেছে। গ্রন্থাগার ও শ্রেণীকক্ষ ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
চিলির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্যাট্রিসিও রোসেন্দে বলেন, নতুন করে আরও ৪৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৪৯৭ জনে পৌঁছেছে। নিখোঁজদের সন্ধান চালানো হচ্ছে। গণপূর্তমন্ত্রী সার্জিও বিতার জানান, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ৪০টি সেতুসহ বিভিন্ন অবকাঠামো পুনর্নির্মাণে ১২০ কোটি ডলার প্রয়োজন।
চিলিতে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কনসেপসিওন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় রাজধানী সান্তিয়াগোসহ মাউল বিওবিও অঞ্চলে।
রাজধানী সান্তিয়াগোতে সাবকেসিয়াক্স জুনিয়র হাইস্কুলে ছেলেকে নামিয়ে দিয়ে এক মা জানালেন, শিশুরা স্কুলে যেতে শুরু করেছে, এটা খুব ভালো বিষয়। তাদের মনোযোগ পড়াশোনার দিকেই ফেরানো উচিত। স্কুলে প্রবেশের আগে এক বালক জানায়, ভূমিকম্পের সময় সে প্রচণ্ড ভয় পেয়েছিল। বন্ধুদের কথা তার খুব বেশি মনে পড়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী মনিকা জিমেনেজ বলেন, ভয়াবহ এ দুর্যোগের পর শিশুদের ভালোবাসা ও আন্তরিকতার সঙ্গে বিদ্যালয়ে গ্রহণ করার জন্য শিক্ষকদের বলে দেওয়া হয়েছে। তাদের শেখানোর জন্য শিক্ষকদের অনেক বেশি আন্তরিক হতে হবে। সাবকেসিয়াক্স স্কুল পরিদর্শনের পর শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্লাসে উপস্থিত হয়েছে, যা খুব ইতিবাচক। আর যেসব স্কুল এখনো খোলা হয়নি, তাদের সময় দেওয়া হচ্ছে।
সান্তিয়াগোর মেয়র পাবলো জালাকুয়েট একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে জানান, ভূমিকম্পে অনেক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় বিদ্যালয়ের কার্যক্রম বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে কয়েক সপ্তাহের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হবে। তবে প্রয়োজনে এ কার্যক্রম পুরো বছর চলতে পারে।
শিশুরা বিদ্যালয়ে ফেরা শুরু করলেও সেভাবে স্বাভাবিক হয়ে আসেনি চিলির জনজীবন। তাদের অভিভাবকদের এখনো খাদ্য ও পানির জন্য ছোটাছুটি করতে হচ্ছে। বিনিদ্র রাত কাটাতে হচ্ছে ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়ির বাইরে বসে বসে।
ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির শিকার মাউল ও বিওবিও শহরের শিক্ষার্থীরা আপাতত বিদ্যালয়ে ফিরতে পারছে না। স্কুলে যাওয়ার জন্য তাদের মার্চের শেষ কিংবা এপ্রিলের শেষ পর্যন্তও অপেক্ষা করতে হতে পারে। দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কনসেপসিওনের স্কুলগুলোও বন্ধ রয়েছে। শহরের ম্যাথোডিস্ট উচ্চবিদ্যালয় পুনর্গঠনের কাজ চলছে। সেখানে কর্মরত এক শ্রমিক জানান, বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা কেন্দ্রের চারটি বিম ধসে গেছে। গ্রন্থাগার ও শ্রেণীকক্ষ ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
চিলির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্যাট্রিসিও রোসেন্দে বলেন, নতুন করে আরও ৪৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৪৯৭ জনে পৌঁছেছে। নিখোঁজদের সন্ধান চালানো হচ্ছে। গণপূর্তমন্ত্রী সার্জিও বিতার জানান, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ৪০টি সেতুসহ বিভিন্ন অবকাঠামো পুনর্নির্মাণে ১২০ কোটি ডলার প্রয়োজন।
চিলিতে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কনসেপসিওন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় রাজধানী সান্তিয়াগোসহ মাউল বিওবিও অঞ্চলে।
No comments