তিন বছরে ২৫ কোটি ডলারের মূলধন সংগ্রহ
২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বের ১০০ কোটি সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়া ও পরিবেশের ক্ষতি প্রতিরোধে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে টেকসই ব্যাংকগুলোর আন্তর্জাতিক জোট গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ব্যাংকিং অন ভ্যালুজ (জিএবিভি)।
এ লক্ষ্যে আগামী তিন বছরের মধ্যে ২৫ কোটি ডলারের নতুন মূলধন সংগ্রহের অঙ্গীকার ঘোষণা করেছে জোটটি। এই অর্থ জোটের বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব প্রকল্প (গ্রিন প্রজেক্টস) ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভে নেওয়া ২০০ কোটি ডলারের ঋণ বিতরণ কর্মসূচিতে স্থান পাবে।
জিএবিভির দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন শেষে রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গতকাল মঙ্গলবার এসব অঙ্গীকারের কথা জানানো হয়। এ সময় আরও বলা হয়, সমাজের যে জনগোষ্ঠী অর্থায়ন সুবিধা পায়নি, তাদের সে সুযোগ করে দেওয়ায় এ অঙ্গীকারের মূল লক্ষ্য। যাতে তারা টেকসই আর্থিক উন্নয়নের সুযোগ পায়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন জিএবিভির সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ফজলে হাসান আবেদ, যুক্তরাজ্যের শোরব্যাংক করপোরেশনের প্রতিনিধি লরি জে স্পেঞ্জার, পেরুর মিবাঙ্কোর প্রতিনিধি লুইস ফিলিপ ডারকানো এবং ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এ (রুমী) আলী।
ফজলে হাসান আবেদ বলেন, ‘সত্যিকারভাবে বিশ্বে শতকোটি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে জেএবিভির প্রতিশ্রুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে জলবায়ুর পরিবর্তন রোধের ব্যাপারেও এটি একটি ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ।’ তিনি বলেন, নৈতিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে পরিচালিত টেকসই ব্যাংকগুলোর পক্ষে আগামী ১০ বছরে বিশ্বের প্রতি ছয়জন মানুষের মধ্যে অন্তত একজনের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব।
এক প্রশ্নের জবাবে ফজলে হাসান আবেদ বলেন, তাঁরা আশা করেন, বিশ্বে সত্যিকার অর্থেই নৈতিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়—এমন আদর্শের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যাংক জিএবিভি জোটের সদস্য হবে। সেই সঙ্গে নতুন নতুন টেকসই ব্যাংকের আবির্ভাব ঘটবে। তাঁর ধারণা, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে জোটে ব্যাংকের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যাবে।
লুইস ফিলিপ বলেন, ‘টেকসই ব্যাংকগুলোর জন্য এখন অধিক পরিমাণে অর্থ সংগ্রহ ও বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। যাতে আমরা ভবিষ্যতে এই অর্থ পরিপূর্ণ সম্ভাবনা ও মাত্রায় কাজে লাগাতে পারি। বিশ্বের জন্য এটি একটি অপরিহার্য প্রতিশ্রুতি।’
লরি জে স্পেঞ্জার বলেন, ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগকারী, বর্তমান একক গ্রাহক, প্রাতিষ্ঠানিক ও নতুন বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে এসব অর্থ সংগ্রহ করা হবে, যা ভবিষ্যতে বিশ্বব্যাপী সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে জিএবিভির সেবা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যয় করা হবে বলে তিনি জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে লরি জে স্পেঞ্জার বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ২০টি দেশে এসব ব্যাংকের মোট ৭০ লাখ গ্রাহক রয়েছে। এ ছাড়া জিএবিভির সদস্য ব্যাংকগুলোর সম্মিলিত স্থিতিপত্রে রয়েছে এক হাজার ৪০০ কোটি ডলারেরও বেশি পরিমাণ অর্থ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জিএবিভির সদস্য ব্যাংকগুলো অব্যাহতভাবে লাভজনক অবস্থায় রয়েছে। এমনকি বৈশ্বিক অর্থনীতিতে সংকটের পরিস্থিতিতেও এসব ব্যাংকের দ্রুত বিকাশ ঘটেছে। বিশ্ব ব্যাংকিং খাতে তাদের কার্যক্রম খুবই দৃশ্যমান। কারণ, তারা যে মুনাফা অর্জন করে, তা আর্থিক খাত, জনগোষ্ঠী ও পরিবেশের স্বার্থে কাজে লাগায়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, জেএবিভির সম্মেলনে একযোগে কাজ করার মাধ্যমে টেকসই ব্যাংকিং ব্যবস্থার সম্প্রসারণের বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। এতে বিশ্বব্যাপী টেকসই ব্যাংকিংয়ের প্রভাব ছড়িয়ে দেওয়া, যৌথ উদ্যোগে মূলধন সংগ্রহ বাড়ানো ও একটি কাঠামো তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এর ফলে নতুন প্রজন্মের টেকসই ব্যাংকের প্রতিশ্রুতিশীল ব্যাংকাররা জিএবিভির লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারবে। এই জোটের সদস্য ব্যাংকগুলো এমন একটি ব্যবসায়িক মডেলের উন্নয়ন ঘটানোর পরিকল্পনা করছেন, যা বিশ্বের সবচেয়ে জরুরি সামাজিক ও পরিবেশবিষয়ক সমস্যাগুলোর সমাধানের বিষয়কে গুরুত্ব দেবে।
এর আগে গত ৬ মার্চ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জিএবিভির তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। এতে বিশ্বের ১১টি শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বাংলাদেশে এ সম্মেলনের আয়োজক প্রতিষ্ঠান জোটটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ব্র্যাক ব্যাংক।
জিএবিভি হচ্ছে বিশ্বের কিছু সফল ব্যাংকের সমন্বয়ে গঠিত একটি জোট, যারা পরিবেশ, কম সুবিধা পাওয়া ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী এবং খাতগুলোর জন্য অধিকতর টেকসই ভবিষ্যত্ বিনির্মাণের লক্ষ্যে অর্থায়ন করে থাকে। নেদারল্যান্ডের রাজকুমারী প্রিন্সেস ম্যাক্সিমা ও ইউএনইপির নির্বাহী পরিচালক অ্যাচিম স্টেইনার ২০০৯ সালের মার্চে এই জোটের প্রতিষ্ঠা করেন।
এ লক্ষ্যে আগামী তিন বছরের মধ্যে ২৫ কোটি ডলারের নতুন মূলধন সংগ্রহের অঙ্গীকার ঘোষণা করেছে জোটটি। এই অর্থ জোটের বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব প্রকল্প (গ্রিন প্রজেক্টস) ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভে নেওয়া ২০০ কোটি ডলারের ঋণ বিতরণ কর্মসূচিতে স্থান পাবে।
জিএবিভির দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন শেষে রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গতকাল মঙ্গলবার এসব অঙ্গীকারের কথা জানানো হয়। এ সময় আরও বলা হয়, সমাজের যে জনগোষ্ঠী অর্থায়ন সুবিধা পায়নি, তাদের সে সুযোগ করে দেওয়ায় এ অঙ্গীকারের মূল লক্ষ্য। যাতে তারা টেকসই আর্থিক উন্নয়নের সুযোগ পায়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন জিএবিভির সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ফজলে হাসান আবেদ, যুক্তরাজ্যের শোরব্যাংক করপোরেশনের প্রতিনিধি লরি জে স্পেঞ্জার, পেরুর মিবাঙ্কোর প্রতিনিধি লুইস ফিলিপ ডারকানো এবং ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এ (রুমী) আলী।
ফজলে হাসান আবেদ বলেন, ‘সত্যিকারভাবে বিশ্বে শতকোটি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে জেএবিভির প্রতিশ্রুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে জলবায়ুর পরিবর্তন রোধের ব্যাপারেও এটি একটি ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ।’ তিনি বলেন, নৈতিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে পরিচালিত টেকসই ব্যাংকগুলোর পক্ষে আগামী ১০ বছরে বিশ্বের প্রতি ছয়জন মানুষের মধ্যে অন্তত একজনের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব।
এক প্রশ্নের জবাবে ফজলে হাসান আবেদ বলেন, তাঁরা আশা করেন, বিশ্বে সত্যিকার অর্থেই নৈতিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়—এমন আদর্শের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যাংক জিএবিভি জোটের সদস্য হবে। সেই সঙ্গে নতুন নতুন টেকসই ব্যাংকের আবির্ভাব ঘটবে। তাঁর ধারণা, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে জোটে ব্যাংকের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যাবে।
লুইস ফিলিপ বলেন, ‘টেকসই ব্যাংকগুলোর জন্য এখন অধিক পরিমাণে অর্থ সংগ্রহ ও বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। যাতে আমরা ভবিষ্যতে এই অর্থ পরিপূর্ণ সম্ভাবনা ও মাত্রায় কাজে লাগাতে পারি। বিশ্বের জন্য এটি একটি অপরিহার্য প্রতিশ্রুতি।’
লরি জে স্পেঞ্জার বলেন, ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগকারী, বর্তমান একক গ্রাহক, প্রাতিষ্ঠানিক ও নতুন বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে এসব অর্থ সংগ্রহ করা হবে, যা ভবিষ্যতে বিশ্বব্যাপী সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে জিএবিভির সেবা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যয় করা হবে বলে তিনি জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে লরি জে স্পেঞ্জার বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ২০টি দেশে এসব ব্যাংকের মোট ৭০ লাখ গ্রাহক রয়েছে। এ ছাড়া জিএবিভির সদস্য ব্যাংকগুলোর সম্মিলিত স্থিতিপত্রে রয়েছে এক হাজার ৪০০ কোটি ডলারেরও বেশি পরিমাণ অর্থ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জিএবিভির সদস্য ব্যাংকগুলো অব্যাহতভাবে লাভজনক অবস্থায় রয়েছে। এমনকি বৈশ্বিক অর্থনীতিতে সংকটের পরিস্থিতিতেও এসব ব্যাংকের দ্রুত বিকাশ ঘটেছে। বিশ্ব ব্যাংকিং খাতে তাদের কার্যক্রম খুবই দৃশ্যমান। কারণ, তারা যে মুনাফা অর্জন করে, তা আর্থিক খাত, জনগোষ্ঠী ও পরিবেশের স্বার্থে কাজে লাগায়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, জেএবিভির সম্মেলনে একযোগে কাজ করার মাধ্যমে টেকসই ব্যাংকিং ব্যবস্থার সম্প্রসারণের বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। এতে বিশ্বব্যাপী টেকসই ব্যাংকিংয়ের প্রভাব ছড়িয়ে দেওয়া, যৌথ উদ্যোগে মূলধন সংগ্রহ বাড়ানো ও একটি কাঠামো তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এর ফলে নতুন প্রজন্মের টেকসই ব্যাংকের প্রতিশ্রুতিশীল ব্যাংকাররা জিএবিভির লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারবে। এই জোটের সদস্য ব্যাংকগুলো এমন একটি ব্যবসায়িক মডেলের উন্নয়ন ঘটানোর পরিকল্পনা করছেন, যা বিশ্বের সবচেয়ে জরুরি সামাজিক ও পরিবেশবিষয়ক সমস্যাগুলোর সমাধানের বিষয়কে গুরুত্ব দেবে।
এর আগে গত ৬ মার্চ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জিএবিভির তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। এতে বিশ্বের ১১টি শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বাংলাদেশে এ সম্মেলনের আয়োজক প্রতিষ্ঠান জোটটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ব্র্যাক ব্যাংক।
জিএবিভি হচ্ছে বিশ্বের কিছু সফল ব্যাংকের সমন্বয়ে গঠিত একটি জোট, যারা পরিবেশ, কম সুবিধা পাওয়া ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী এবং খাতগুলোর জন্য অধিকতর টেকসই ভবিষ্যত্ বিনির্মাণের লক্ষ্যে অর্থায়ন করে থাকে। নেদারল্যান্ডের রাজকুমারী প্রিন্সেস ম্যাক্সিমা ও ইউএনইপির নির্বাহী পরিচালক অ্যাচিম স্টেইনার ২০০৯ সালের মার্চে এই জোটের প্রতিষ্ঠা করেন।
No comments