মিয়ানমারের নির্বাচনী আইনের সমালোচনায় বিভিন্ন দেশ
মিয়ানমারের নবঘোষিত নির্বাচনী আইন নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কড়া সমালোচনা করেছে। গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ফিলিপ ক্রাউলি বলেছেন, তারা (মিয়ানমারের সামরিক জান্তা) গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে একটি ‘প্রহসনে’ পরিণত করেছে। নতুন আইনের মাধ্যমে ১৯৯০ সালের নির্বাচনী ফলকে আনুষ্ঠানিকভাবে রদ করেছে জান্তা সরকার। এর মাধ্যমে আসন্ন নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট হবে। নতুন আইনে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি ও অন্য রাজনৈতিক কারাবন্দীদের আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তার নতুন নির্বাচনী আইনের সমালোচনা করেছে জাতিসংঘ, ফিলিপাইন ও ব্রিটেন। তবে জান্তা সরকার গতকাল বৃহস্পতিবার সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) শতাধিক কার্যালয় খুলে দিয়েছে। ২০০৩ সালের পর এই প্রথম এসব কার্যালয় খুলে দেওয়া হলো।
দলীয় কার্যালয় খুলে দেওয়া সম্পর্কে এনএলডির মুখপাত্র নিয়ান উইন বলেন, ‘ইয়াঙ্গুনসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১০০টি দলীয় শাখা কার্যালয় খুলে দেওয়া হয়েছে। সম্ভবত তারা কিছুটা উদারতা দেখানোর চেষ্টা করছে। আমার ধারণা, তারা (জান্তা) চায় আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। তবে আমরা এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। সু চিসহ দলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে আমাদের।’
উইনি আরও বলেন, নতুন নির্বাচনী আইন সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। এই আইনের মাধ্যমে ২০০৮ সালের সংবিধান সংশোধনীটিও কার্যকর করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এনএলডি এই সংশোধনী প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এর বিরুদ্ধে আন্দোলনও করেছে।
এদিকে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর জোট আসিয়ানের সদস্যদেশ ফিলিপাইন আরেক সদস্যদেশ মিয়ানমারের নতুন নির্বাচনী আইনের সমালোচনা করেছে। আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো সাধারণত পরস্পরের বিরুদ্ধে সমালোচনা করে না। কিন্তু মিয়ানমারের আইন নিয়ে ফিলিপাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলবার্তো রোমুলো বলেন, ‘অং সান সু চিকে মুক্তি না দিলে এবং তাঁকে ও তাঁর দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে না দিলে তা একটি হঠকারী ঘটনা হবে এবং এটা জান্তাদের নির্বাচনী রোডম্যাপেরও পরিপন্থী।’ ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত অ্যান্ড্রু হেইন বলেছেন, ‘নির্বাচনী আইনটি ভালোভাবে পর্যালোচনা করে দেখছি আমরা। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করে এই আইন করাটা নিন্দনীয় ও দুঃখজনক।’
১৯৯০ সালের নির্বাচনে সু চির নেতৃত্বাধীন এনএলডি জয়লাভ করলেও সামরিক জান্তা ওই নির্বাচনের ফলকে স্বীকৃতি দেয়নি; বরং তারা নোবেলজয়ী নেত্রীকে গৃহবন্দী করে রাখে। ২০০৩ সালে সু চির গাড়িবহরে ভয়াবহ হামলার পর এনএলডির প্রায় ৩০০ কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়।
নির্বাচন কমিশন গঠন: মিয়ানমারের সামরিক জান্তা গতকাল বৃহস্পতিবার একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। তারিখ ঘোষণা না করা হলেও চলতি বছরের শেষভাগে সেখানে নির্বাচন হওয়ার কথা। গত সোমবার ঘোষিত নতুন নির্বাচনী আইনের আওতায় ১৭ জন সদস্যের এই কমিশনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আইন অনুযায়ী জান্তার অধীনে থেকে কাজ করবে কমিশন। কমিশনের প্রথম কাজটি হবে দুই দশকের মধ্যে দেশটির প্রথম নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা। বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, আগামী অক্টোবর বা নভেম্বরে নির্বাচন হতে পারে। নির্বাচন কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়ে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত টেলিভিশনে বলা হয়, নতুন নির্বাচন কমিশনারের নাম থেইন শোয়ে। তবে তাঁর পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তার নতুন নির্বাচনী আইনের সমালোচনা করেছে জাতিসংঘ, ফিলিপাইন ও ব্রিটেন। তবে জান্তা সরকার গতকাল বৃহস্পতিবার সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) শতাধিক কার্যালয় খুলে দিয়েছে। ২০০৩ সালের পর এই প্রথম এসব কার্যালয় খুলে দেওয়া হলো।
দলীয় কার্যালয় খুলে দেওয়া সম্পর্কে এনএলডির মুখপাত্র নিয়ান উইন বলেন, ‘ইয়াঙ্গুনসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১০০টি দলীয় শাখা কার্যালয় খুলে দেওয়া হয়েছে। সম্ভবত তারা কিছুটা উদারতা দেখানোর চেষ্টা করছে। আমার ধারণা, তারা (জান্তা) চায় আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। তবে আমরা এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। সু চিসহ দলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে আমাদের।’
উইনি আরও বলেন, নতুন নির্বাচনী আইন সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। এই আইনের মাধ্যমে ২০০৮ সালের সংবিধান সংশোধনীটিও কার্যকর করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এনএলডি এই সংশোধনী প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এর বিরুদ্ধে আন্দোলনও করেছে।
এদিকে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর জোট আসিয়ানের সদস্যদেশ ফিলিপাইন আরেক সদস্যদেশ মিয়ানমারের নতুন নির্বাচনী আইনের সমালোচনা করেছে। আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো সাধারণত পরস্পরের বিরুদ্ধে সমালোচনা করে না। কিন্তু মিয়ানমারের আইন নিয়ে ফিলিপাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলবার্তো রোমুলো বলেন, ‘অং সান সু চিকে মুক্তি না দিলে এবং তাঁকে ও তাঁর দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে না দিলে তা একটি হঠকারী ঘটনা হবে এবং এটা জান্তাদের নির্বাচনী রোডম্যাপেরও পরিপন্থী।’ ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত অ্যান্ড্রু হেইন বলেছেন, ‘নির্বাচনী আইনটি ভালোভাবে পর্যালোচনা করে দেখছি আমরা। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করে এই আইন করাটা নিন্দনীয় ও দুঃখজনক।’
১৯৯০ সালের নির্বাচনে সু চির নেতৃত্বাধীন এনএলডি জয়লাভ করলেও সামরিক জান্তা ওই নির্বাচনের ফলকে স্বীকৃতি দেয়নি; বরং তারা নোবেলজয়ী নেত্রীকে গৃহবন্দী করে রাখে। ২০০৩ সালে সু চির গাড়িবহরে ভয়াবহ হামলার পর এনএলডির প্রায় ৩০০ কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়।
নির্বাচন কমিশন গঠন: মিয়ানমারের সামরিক জান্তা গতকাল বৃহস্পতিবার একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। তারিখ ঘোষণা না করা হলেও চলতি বছরের শেষভাগে সেখানে নির্বাচন হওয়ার কথা। গত সোমবার ঘোষিত নতুন নির্বাচনী আইনের আওতায় ১৭ জন সদস্যের এই কমিশনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আইন অনুযায়ী জান্তার অধীনে থেকে কাজ করবে কমিশন। কমিশনের প্রথম কাজটি হবে দুই দশকের মধ্যে দেশটির প্রথম নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা। বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, আগামী অক্টোবর বা নভেম্বরে নির্বাচন হতে পারে। নির্বাচন কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়ে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত টেলিভিশনে বলা হয়, নতুন নির্বাচন কমিশনারের নাম থেইন শোয়ে। তবে তাঁর পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
No comments