জলবায়ুবিষয়ক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করবে আইএসি
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, ইন্টার-একাডেমি কাউন্সিলের (আইএসি) সমন্বয়ে জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। গত বুধবার নিউইয়র্কে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। এএফপি, বিবিসি, রয়টার্স।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নিয়ে ২০০৭ সালে প্রকাশিত জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক জাতিসংঘের আন্তসরকার প্যানেলের (আইপিসিসি) একটি প্রতিবেদনে কিছু ভুল ধরা পড়ে। এর পর থেকেই কঠোর সমালোচনার মুখে পড়ে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জাতিসংঘের ওই প্যানেল। প্রতিবেদনটি স্বাধীনভাবে পর্যালোচনা করা হবে বলে গত মাসে ঘোষণা দেয় জাতিসংঘ। গত জানুয়ারিতে আইপিসিসি স্বীকার করে, হিমালয়ের বরফ গলে যাওয়ার বিষয়ে প্রতিবেদনে অতিরঞ্জিত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া নেদারল্যান্ডের কিছু অংশ সাগরে ডুবে যাওয়ার বিষয়টিও বেশি বাড়িয়ে বলা হয়েছে।
বান কি মুন বলেন, বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ১৫টি বিজ্ঞান একাডেমি নিয়ে গঠিত আমস্টারডাম-ভিত্তিক সংগঠন আইএসি এই পর্যালোচনা সমন্বয় করবে। তারা ওই প্রতিবেদন প্রণয়নের কার্যপ্রণালী ও প্রক্রিয়াগুলো খতিয়ে দেখবে। এ প্রক্রিয়ায় জনগণ ও গণমাধ্যমের সঙ্গে আইপিসিসি কীভাবে যোগাযোগ করেছে, তাও দেখা হবে। এ সংক্রান্ত জাতিসংঘের পরের প্রতিবেদনগুলো উন্নত করতে সুপারিশও করবে তারা।
তবে আইপিসিসির ওই প্রতিবেদনকে সমর্থন করেন জাতিসংঘের মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনটি আমি পড়ে দেখেছি। সেখানে এমন কিছু লেখা নেই, যা এর উপসংহারকে চ্যালেঞ্জ করতে পরে।’ তবে তিনি স্বীকার করেন, তিন হাজার পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে ‘অল্প কিছু ভুল’ রয়েছে। বান কি মুন আরও বলেন, এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে শুদ্ধতা ও বস্তুনিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে হবে। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে আবার এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।
আইএসির কর্মকর্তা রবার্ট ডিকগ্রাফ সাংবাদিকদের জানান, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো আগস্টের আগেই পর্যালোচনার কাজ শেষ করা। কারণ, চলতি বছরের শেষ দিকেই জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।’
আইপিসিসির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে ২০৩৫ সালের মধ্যে হিমালয়ের হিমবাহ গলে যাবে। জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বিভিন্ন লেখা থেকে এ ধারণা করা হয়েছে। কিন্তু আইপিসিসি এ তথ্যগুলো পর্যালোচনা না করেই এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
৯ এপ্রিল জলবায়ু বিষয়ে আন্তর্জাতিক আলোচকেরা জার্মানির বনে বৈঠক করবেন। ২৯ নভেম্বর মেক্সিকোর কানকুনে জলবায়ু সম্মেলন বিষয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের আগে পর্যন্ত বিভিন্ন কার্যক্রম ঠিক করবেন তাঁরা।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নিয়ে ২০০৭ সালে প্রকাশিত জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক জাতিসংঘের আন্তসরকার প্যানেলের (আইপিসিসি) একটি প্রতিবেদনে কিছু ভুল ধরা পড়ে। এর পর থেকেই কঠোর সমালোচনার মুখে পড়ে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জাতিসংঘের ওই প্যানেল। প্রতিবেদনটি স্বাধীনভাবে পর্যালোচনা করা হবে বলে গত মাসে ঘোষণা দেয় জাতিসংঘ। গত জানুয়ারিতে আইপিসিসি স্বীকার করে, হিমালয়ের বরফ গলে যাওয়ার বিষয়ে প্রতিবেদনে অতিরঞ্জিত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া নেদারল্যান্ডের কিছু অংশ সাগরে ডুবে যাওয়ার বিষয়টিও বেশি বাড়িয়ে বলা হয়েছে।
বান কি মুন বলেন, বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ১৫টি বিজ্ঞান একাডেমি নিয়ে গঠিত আমস্টারডাম-ভিত্তিক সংগঠন আইএসি এই পর্যালোচনা সমন্বয় করবে। তারা ওই প্রতিবেদন প্রণয়নের কার্যপ্রণালী ও প্রক্রিয়াগুলো খতিয়ে দেখবে। এ প্রক্রিয়ায় জনগণ ও গণমাধ্যমের সঙ্গে আইপিসিসি কীভাবে যোগাযোগ করেছে, তাও দেখা হবে। এ সংক্রান্ত জাতিসংঘের পরের প্রতিবেদনগুলো উন্নত করতে সুপারিশও করবে তারা।
তবে আইপিসিসির ওই প্রতিবেদনকে সমর্থন করেন জাতিসংঘের মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনটি আমি পড়ে দেখেছি। সেখানে এমন কিছু লেখা নেই, যা এর উপসংহারকে চ্যালেঞ্জ করতে পরে।’ তবে তিনি স্বীকার করেন, তিন হাজার পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে ‘অল্প কিছু ভুল’ রয়েছে। বান কি মুন আরও বলেন, এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে শুদ্ধতা ও বস্তুনিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে হবে। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে আবার এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।
আইএসির কর্মকর্তা রবার্ট ডিকগ্রাফ সাংবাদিকদের জানান, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো আগস্টের আগেই পর্যালোচনার কাজ শেষ করা। কারণ, চলতি বছরের শেষ দিকেই জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।’
আইপিসিসির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে ২০৩৫ সালের মধ্যে হিমালয়ের হিমবাহ গলে যাবে। জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বিভিন্ন লেখা থেকে এ ধারণা করা হয়েছে। কিন্তু আইপিসিসি এ তথ্যগুলো পর্যালোচনা না করেই এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
৯ এপ্রিল জলবায়ু বিষয়ে আন্তর্জাতিক আলোচকেরা জার্মানির বনে বৈঠক করবেন। ২৯ নভেম্বর মেক্সিকোর কানকুনে জলবায়ু সম্মেলন বিষয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের আগে পর্যন্ত বিভিন্ন কার্যক্রম ঠিক করবেন তাঁরা।
No comments