বিস্মিত বোর্ড চায় রকিবুল ফিরুক
বিস্ময় কাটছে না কারও। মাত্র ২২ বছর বয়সেই একজন ক্রিকেটার কীভাবে বিদায় বলে দেন ক্রিকেটকে? আর সবার মতো এই বিস্ময় খোদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেরও (বিসিবি)। কাল আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতে বিস্ময়টা প্রকাশ করে বিসিবি বলেছে, ‘আমরা কোনোভাবেই চাই না রকিবুলের মতো একজন তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটার এত তাড়াতাড়ি খেলা থেকে ঝরে যাক। আমাদের আশা, সে তার সিদ্ধান্ত বদলাবে।’ জানা গেছে, বিভিন্ন মাধ্যমে রকিবুলকে ক্রিকেটে ফিরিয়ে আনারও চেষ্টা শুরু করেছে বোর্ড।
গত পরশু অনুশীলন শেষে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম ছাড়ার সময় টিম বাসে হঠাত্ সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন রকিবুল। ‘আমার কিছু বলার আছে’ বলে জানিয়ে দেন, এই টেস্ট সিরিজে তো নয়ই, কোনো ধরনের ক্রিকেটই আর খেলবেন না। ঘোষণাটা এমনই অবিশ্বাস্য যে, দলের কেউ কেউ এটিকে এমনকি রসিকতাও মনে করেছিলেন।
রকিবুল সিরিয়াস বোঝার পর শুরু হয় তাঁকে বোঝানোর পালা। কিন্তু সতীর্থ, কোচ, ম্যানেজার, কোচিং স্টাফের অন্য সদস্য, প্রধান নির্বাচক এমনকি বিসিবি কর্মকর্তাদের অনুরোধকেও উড়িয়ে দিয়ে রকিবুল বোর্ডকে লিখিতভাবে অবসরের সিদ্ধান্ত জানিয়ে সেদিন রাতেই উড়ে আসেন ঢাকায়। কারণ যা বলেছেন, তা হলো ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৩০ জনের দলে জায়গা না পাওয়া।
রকিবুলের অবসরের ব্যাপারে প্রধান নির্বাচক রফিকুল আলমের প্রতিক্রিয়াটা তাই জরুরি হয়ে যায়। কিন্তু দল নির্বাচনে মূল কর্তৃত্বের মতো কথা বলার অধিকারও যেন হারিয়ে ফেলেছেন তিনি! প্রধান নির্বাচকের উত্তর, ‘নো কমেন্টস। সিরাজ ভাইকে (ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধান এনায়েত হোসেন সিরাজ) জিজ্ঞেস করুন।’ দল নির্বাচন-সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে মতামত দেওয়াটা প্রধান নির্বাচকের এখতিয়ার। সেখানে রকিবুলের ব্যাপারটা ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধান কেন বলবেন? নাকি প্রচ্ছন্নে রফিকুলও জানিয়ে দিতে চাইলেন নিজের অভিমানটা! ইংল্যান্ড সিরিজের জন্য নির্বাচকদের ওয়ানডে দলে তো রকিবুল ছিলেনই। তাঁকে তো বাদ দিয়েছে বোর্ড!
এ ব্যাপারে ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধান এনায়েত হোসেনের বক্তব্য, ‘দলে কারও জায়গাই পাকা নয়। কেউ বাদ পড়বে, কেউ দলে ফিরবে এটাই নিয়ম। অবসর নিয়ে ফেলা কোনো সমাধান নয়। তার পরও দল নির্বাচনের ব্যাপারে কারও কোনো অসন্তোষ থাকলে সে বিষয়টা নিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে পারে। প্রধান নির্বাচককেও তার কথা জানাতে পারে।’ এনায়েত হোসেনের আশা, রকিবুল তাঁর অবস্থান থেকে ফিরে আবার ক্রিকেট খেলবে। ব্যাপারটা নিয়ে প্রয়োজনে তিনি রকিবুলের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন। এনায়েত হোসেনের কথার প্রতিধ্বনি বিসিবির বিবৃতিতেও। সেখানে বলা হয়েছে, টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টির দল নির্বাচন সম্পূর্ণভাবেই পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভরশীল। এখানে আবেগের কোনো স্থান নেই।
ওদিকে রকিবুলকে ক্রিকেটে ফেরানোর একটা উদ্যোগ এর মধ্যেই নিয়েছেন বিসিবি পরিচালক ও রকিবুলের জেলা জামালপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ান। রকিবুলের বাবা-মা, জামালপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠকদের নিয়ে আজকালের মধ্যেই তিনি রকিবুলের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন। কাল টেলিফোনে রেদোয়ান এই প্রতিবেদককে বলেছেন, ‘কী কারণে রকিবুলের এই অভিমান, কেন সে এত তাড়াতাড়ি ক্রিকেট ছেড়ে দিতে চায় সেটা তার কাছ থেকেই শুনে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করব। রকিবুল আমাদের সামনে ছোটবেলা থেকে এত বড় হয়েছে। আশা করি, আমাদের কথা সে ফেলতে পারবে না।’
গত পরশু অনুশীলন শেষে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম ছাড়ার সময় টিম বাসে হঠাত্ সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন রকিবুল। ‘আমার কিছু বলার আছে’ বলে জানিয়ে দেন, এই টেস্ট সিরিজে তো নয়ই, কোনো ধরনের ক্রিকেটই আর খেলবেন না। ঘোষণাটা এমনই অবিশ্বাস্য যে, দলের কেউ কেউ এটিকে এমনকি রসিকতাও মনে করেছিলেন।
রকিবুল সিরিয়াস বোঝার পর শুরু হয় তাঁকে বোঝানোর পালা। কিন্তু সতীর্থ, কোচ, ম্যানেজার, কোচিং স্টাফের অন্য সদস্য, প্রধান নির্বাচক এমনকি বিসিবি কর্মকর্তাদের অনুরোধকেও উড়িয়ে দিয়ে রকিবুল বোর্ডকে লিখিতভাবে অবসরের সিদ্ধান্ত জানিয়ে সেদিন রাতেই উড়ে আসেন ঢাকায়। কারণ যা বলেছেন, তা হলো ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৩০ জনের দলে জায়গা না পাওয়া।
রকিবুলের অবসরের ব্যাপারে প্রধান নির্বাচক রফিকুল আলমের প্রতিক্রিয়াটা তাই জরুরি হয়ে যায়। কিন্তু দল নির্বাচনে মূল কর্তৃত্বের মতো কথা বলার অধিকারও যেন হারিয়ে ফেলেছেন তিনি! প্রধান নির্বাচকের উত্তর, ‘নো কমেন্টস। সিরাজ ভাইকে (ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধান এনায়েত হোসেন সিরাজ) জিজ্ঞেস করুন।’ দল নির্বাচন-সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে মতামত দেওয়াটা প্রধান নির্বাচকের এখতিয়ার। সেখানে রকিবুলের ব্যাপারটা ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধান কেন বলবেন? নাকি প্রচ্ছন্নে রফিকুলও জানিয়ে দিতে চাইলেন নিজের অভিমানটা! ইংল্যান্ড সিরিজের জন্য নির্বাচকদের ওয়ানডে দলে তো রকিবুল ছিলেনই। তাঁকে তো বাদ দিয়েছে বোর্ড!
এ ব্যাপারে ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধান এনায়েত হোসেনের বক্তব্য, ‘দলে কারও জায়গাই পাকা নয়। কেউ বাদ পড়বে, কেউ দলে ফিরবে এটাই নিয়ম। অবসর নিয়ে ফেলা কোনো সমাধান নয়। তার পরও দল নির্বাচনের ব্যাপারে কারও কোনো অসন্তোষ থাকলে সে বিষয়টা নিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে পারে। প্রধান নির্বাচককেও তার কথা জানাতে পারে।’ এনায়েত হোসেনের আশা, রকিবুল তাঁর অবস্থান থেকে ফিরে আবার ক্রিকেট খেলবে। ব্যাপারটা নিয়ে প্রয়োজনে তিনি রকিবুলের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন। এনায়েত হোসেনের কথার প্রতিধ্বনি বিসিবির বিবৃতিতেও। সেখানে বলা হয়েছে, টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টির দল নির্বাচন সম্পূর্ণভাবেই পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভরশীল। এখানে আবেগের কোনো স্থান নেই।
ওদিকে রকিবুলকে ক্রিকেটে ফেরানোর একটা উদ্যোগ এর মধ্যেই নিয়েছেন বিসিবি পরিচালক ও রকিবুলের জেলা জামালপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ান। রকিবুলের বাবা-মা, জামালপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠকদের নিয়ে আজকালের মধ্যেই তিনি রকিবুলের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন। কাল টেলিফোনে রেদোয়ান এই প্রতিবেদককে বলেছেন, ‘কী কারণে রকিবুলের এই অভিমান, কেন সে এত তাড়াতাড়ি ক্রিকেট ছেড়ে দিতে চায় সেটা তার কাছ থেকেই শুনে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করব। রকিবুল আমাদের সামনে ছোটবেলা থেকে এত বড় হয়েছে। আশা করি, আমাদের কথা সে ফেলতে পারবে না।’
No comments