আফগানিস্তান কোনো ‘প্রক্সি’ যুদ্ধ চায় না: কারজাই
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই বলেছেন, তাঁর দেশ ভারত-পাকিস্তান বা যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের ‘প্রক্সি’ যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হতে চায় না। গতকাল বৃহস্পতিবার পাকিস্তানি নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। গত বুধবার দুই দিনের সফরে পাকিস্তানে পৌঁছান কারজাই।
২০০১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী আফগানিস্তানে অভিযান চালানোর পর থেকে সেখানে নিজেদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে আসছে দক্ষিণ এশিয়ার দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। এ ছাড়া আফগানিস্তানে মার্কিন ও পশ্চিমা বাহিনীর বিরুদ্ধে ইরান পরোক্ষ লড়াই চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের।
বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কারজাই বলেন, ‘আফগানিস্তানে আমরা এ ব্যাপারে পুরোপুরি সচেতন, পাকিস্তানের সহযোগিতা ছাড়া আফগানিস্তান স্থিতিশীল হতে পারবে না। পাশাপাশি আমি এও বিশ্বাস করি, একটি স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ আফগানিস্তান ছাড়া পাকিস্তানে স্থিতিশীলতা বা শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না।’
কারজাই আরও বলেন, ‘আফগানিস্তান তার ভূমিতে কোনো প্রক্সি যুদ্ধ চায় না। আফগানিস্তানের জনগণ চায় না, পাকিস্তান-ভারত বা যুক্তরাষ্ট্র-ইরান বা অন্য কোনো দেশ তাদের প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়াই করতে আফগানিস্তানের ভূমি ব্যবহার করুক।’
এর আগে বুধবার ইসলামাবাদে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির সঙ্গে কারজাইয়ের বৈঠকে আবার ‘জিরগা’ প্রক্রিয়া চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। জিরগা হচ্ছে আদিবাসী গোত্রপ্রধানদের সম্মেলন। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের আদিবাসী গোত্রগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার জন্য জিরগা অনুষ্ঠিত হয়। দুই দেশে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় একটি সাধারণ কৌশল নির্ধারণ করতে নিয়মিত জিরগা আয়োজন করা হবে।
দ্বিপক্ষীয় ওই বৈঠকে জারদারি কারজাইকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অঙ্গন দুই দেশকে একই ভাষায় কথা বলতে হবে। কারণ দুই দেশই জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থীদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত।’ আফগান প্রেসিডেন্টের এই পাকিস্তান সফরকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ তাঁকে স্বাগত জানাতে পুরো পাকিস্তান মন্ত্রিসভা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিল।
২০০১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী আফগানিস্তানে অভিযান চালানোর পর থেকে সেখানে নিজেদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে আসছে দক্ষিণ এশিয়ার দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। এ ছাড়া আফগানিস্তানে মার্কিন ও পশ্চিমা বাহিনীর বিরুদ্ধে ইরান পরোক্ষ লড়াই চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের।
বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কারজাই বলেন, ‘আফগানিস্তানে আমরা এ ব্যাপারে পুরোপুরি সচেতন, পাকিস্তানের সহযোগিতা ছাড়া আফগানিস্তান স্থিতিশীল হতে পারবে না। পাশাপাশি আমি এও বিশ্বাস করি, একটি স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ আফগানিস্তান ছাড়া পাকিস্তানে স্থিতিশীলতা বা শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না।’
কারজাই আরও বলেন, ‘আফগানিস্তান তার ভূমিতে কোনো প্রক্সি যুদ্ধ চায় না। আফগানিস্তানের জনগণ চায় না, পাকিস্তান-ভারত বা যুক্তরাষ্ট্র-ইরান বা অন্য কোনো দেশ তাদের প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়াই করতে আফগানিস্তানের ভূমি ব্যবহার করুক।’
এর আগে বুধবার ইসলামাবাদে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির সঙ্গে কারজাইয়ের বৈঠকে আবার ‘জিরগা’ প্রক্রিয়া চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। জিরগা হচ্ছে আদিবাসী গোত্রপ্রধানদের সম্মেলন। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের আদিবাসী গোত্রগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার জন্য জিরগা অনুষ্ঠিত হয়। দুই দেশে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় একটি সাধারণ কৌশল নির্ধারণ করতে নিয়মিত জিরগা আয়োজন করা হবে।
দ্বিপক্ষীয় ওই বৈঠকে জারদারি কারজাইকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অঙ্গন দুই দেশকে একই ভাষায় কথা বলতে হবে। কারণ দুই দেশই জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থীদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত।’ আফগান প্রেসিডেন্টের এই পাকিস্তান সফরকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ তাঁকে স্বাগত জানাতে পুরো পাকিস্তান মন্ত্রিসভা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিল।
No comments