মূল্যস্ফীতি সরকারের বড় উদ্বেগ: অর্থমন্ত্রী
মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে চলতি অর্থবছরে সরকারের জন্য বড় উদ্বেগ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি এখন বড় উদ্বেগের বিষয়। আমাদের মূল্যস্ফীতি নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে ঢাকা চেম্বারের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের পর অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, অর্থবছরের ছয় মাসে বাজেট বাস্তবায়নের চিত্র নিয়ে সরকার সন্তুষ্ট।
মুহিতের মতে, ছয় মাসে বাজেট বাস্তবায়নের চিত্র ‘দেশের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ।’
আগামী ১৬ মার্চ জাতীয় সংসদে অর্থনীতির অর্ধবার্ষিক অগ্রগতি-সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে বলেও অর্থমন্ত্রী জানান।
মূল্যস্ফীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও বিনিয়োগ নিয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেন মুহিত। তিনি বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বেড়েছে। রপ্তানির কার্যাদেশের প্রবণতাও ভালো।’
এর ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান বেড়ে মূল্যস্ফীতি প্রশমনে সহায়ক হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এবার মোট দেশজ উত্পাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমে সাড়ে পাঁচ শতাংশে নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। আমরা এর আগেই বলেছি, প্রবৃদ্ধি এবার ছয় শতাংশ হবে। জাতীয় সংসদে বাজেট পর্যালোচনায় আমি এটাই উল্লেখ করব।’
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ছে। আমনের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষি খাতের অবস্থাও উজ্জ্বল হয়েছে। মানুষজন বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকছে। পেট্রল ও ভোজ্যতেলের দাম বাড়েনি।
অর্থমন্ত্রী অবশ্য সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি কার্যক্রমের মন্থর অগ্রগতিতে হতাশা ব্যক্ত করেন।
মুহিত আরও বলেন, এবার বাজেটে আর তিনি কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিতে চান না। তবে যাঁরা বিনিয়োগ করতে চান, তাঁদের কথাও ভেবে দেখতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আবুল কাসেম খান অর্থনৈতিক উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি পরিকল্পনা গ্রহণ ও দ্রুত জাতীয় কয়লা নীতি প্রণয়ন করার আহ্বান জানান।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ট্যাক্স কার্ড পদ্ধতি প্রণয়নের প্রস্তাব করেন, যার মাধ্যমে দেশের করদাতারা সরাসরি সরকারি সেবা ও সহায়তা গ্রহণ করতে পারবেন।
আবুল কাসেম খান ঢাকা কাস্টম হাউস অটোমেশন প্রজেক্টের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করার লক্ষ্যে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। ডিসিসিআই সভাপতি পাট ও পাটজাত পণ্যের বহুমুখীকরণে সরকারের সহায়তা কামনা করেন।
এসব বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানান, ঢাকা কাস্টম হাউস অটোমেশন প্রকল্পের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর জন্য অচিরে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, ‘পাট ও পাটজাত পণ্যের বহুমুখীকরণে সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবে। দেশে বর্তমানে বিনিয়োগ পরিবেশ আশানুরূপ পর্যায়ে রয়েছে।’
বৈঠকে ডিসিসিআইয়ের সহসভাপতি মো. সিরাজউদ্দিন মালিক, পরিচালক রফিকুল ইসলাম খান, মো. ইয়াদ আলী ফকির, ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী, নেসার মাকসুদ খান, আসিফ ইব্রাহিম, এম এস সেকিল চৌধুরী, এমএ বাতেন, এম বশির উল্লাহ ভুঁইয়া, মাহবুব আনাম, মো. নাসিরউদ্দিন খান, এম আনওয়ারুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি এখন বড় উদ্বেগের বিষয়। আমাদের মূল্যস্ফীতি নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে ঢাকা চেম্বারের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের পর অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, অর্থবছরের ছয় মাসে বাজেট বাস্তবায়নের চিত্র নিয়ে সরকার সন্তুষ্ট।
মুহিতের মতে, ছয় মাসে বাজেট বাস্তবায়নের চিত্র ‘দেশের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ।’
আগামী ১৬ মার্চ জাতীয় সংসদে অর্থনীতির অর্ধবার্ষিক অগ্রগতি-সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে বলেও অর্থমন্ত্রী জানান।
মূল্যস্ফীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও বিনিয়োগ নিয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেন মুহিত। তিনি বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বেড়েছে। রপ্তানির কার্যাদেশের প্রবণতাও ভালো।’
এর ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান বেড়ে মূল্যস্ফীতি প্রশমনে সহায়ক হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এবার মোট দেশজ উত্পাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমে সাড়ে পাঁচ শতাংশে নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। আমরা এর আগেই বলেছি, প্রবৃদ্ধি এবার ছয় শতাংশ হবে। জাতীয় সংসদে বাজেট পর্যালোচনায় আমি এটাই উল্লেখ করব।’
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ছে। আমনের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষি খাতের অবস্থাও উজ্জ্বল হয়েছে। মানুষজন বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকছে। পেট্রল ও ভোজ্যতেলের দাম বাড়েনি।
অর্থমন্ত্রী অবশ্য সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি কার্যক্রমের মন্থর অগ্রগতিতে হতাশা ব্যক্ত করেন।
মুহিত আরও বলেন, এবার বাজেটে আর তিনি কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিতে চান না। তবে যাঁরা বিনিয়োগ করতে চান, তাঁদের কথাও ভেবে দেখতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আবুল কাসেম খান অর্থনৈতিক উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি পরিকল্পনা গ্রহণ ও দ্রুত জাতীয় কয়লা নীতি প্রণয়ন করার আহ্বান জানান।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ট্যাক্স কার্ড পদ্ধতি প্রণয়নের প্রস্তাব করেন, যার মাধ্যমে দেশের করদাতারা সরাসরি সরকারি সেবা ও সহায়তা গ্রহণ করতে পারবেন।
আবুল কাসেম খান ঢাকা কাস্টম হাউস অটোমেশন প্রজেক্টের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করার লক্ষ্যে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। ডিসিসিআই সভাপতি পাট ও পাটজাত পণ্যের বহুমুখীকরণে সরকারের সহায়তা কামনা করেন।
এসব বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানান, ঢাকা কাস্টম হাউস অটোমেশন প্রকল্পের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর জন্য অচিরে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, ‘পাট ও পাটজাত পণ্যের বহুমুখীকরণে সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবে। দেশে বর্তমানে বিনিয়োগ পরিবেশ আশানুরূপ পর্যায়ে রয়েছে।’
বৈঠকে ডিসিসিআইয়ের সহসভাপতি মো. সিরাজউদ্দিন মালিক, পরিচালক রফিকুল ইসলাম খান, মো. ইয়াদ আলী ফকির, ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী, নেসার মাকসুদ খান, আসিফ ইব্রাহিম, এম এস সেকিল চৌধুরী, এমএ বাতেন, এম বশির উল্লাহ ভুঁইয়া, মাহবুব আনাম, মো. নাসিরউদ্দিন খান, এম আনওয়ারুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
No comments