দরিদ্র বেকারদের জন্য আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি
ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) উদ্যোগে দেশের দরিদ্র যুবক-যুবতীদের আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে বিভিন্ন জেলার ৪৮৭ জনকে কম্পিউটার, সেলাই মেশিন, সেচপাম্প, ভ্যানগাড়ি প্রভৃতি দেওয়া হবে।
রাজধানীর কাকরাইলের ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান প্রধান অতিথি এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব সামগ্রী বিতরণ করেন।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আনিসুল হকের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন এফবিসিসিআইয়ের প্রথম সহসভাপতি আবুল কাশেম আহমেদ, সহসভাপতি আবু আলম চৌধুরী ও পরিচালক গোলাম দস্তগীর গাজী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য এফবিসিসিআইয়ের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ‘এফবিসিসিআই ফাউন্ডেশন’ গঠন করে। এই ফাউন্ডেশন ‘এক ব্যবসায়ী এক পরিবার’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। এতে প্রতিবছর সাত থেকে ১০ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। প্রাথমিক অবস্থায় এ প্রকল্পের আওতার অংশ হিসেবে বিভিন্ন জেলার ৪৮৭ জনকে কম্পিউটার, সেলাই মেশিন সেচপাম্প, ভ্যানগাড়ি প্রভৃতি প্রদান করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান বলেন, নিজের পকেটের টাকা খরচ করে এফবিসিসিআই দেশের মানুষের জন্য কাজ করছে—এটা অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ। দেশ ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই এ ধরনের কাজ ব্যবসায়ীদের করা উচিত। এতে ব্যবসায়ীদের ভাবমূর্তি অনেক বাড়িয়ে দেয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, মুষ্টিমেয় কিছু ব্যবসায়ী কালো চেহারার ও বিষদাঁত বের করা, যাঁরা কৃত্রিম সংকট ও মজুদ করে চিনি ও ভোজ্যতেলের দর বাড়িয়ে দেন। যাঁদের কারণে সবার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। তিনি ব্যবসায়ীদের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আরও বলেন, এফবিসিসিআইয়ের বর্তমান পর্ষদ গত দুই বছরে যত কাজ করেছে, এটি তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ। এফবিসিসিআইয়ের এ কাজ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে অন্যান্য সংগঠনও এ ধরনের সাহায্য দেওয়ার জন্য প্রতিযোগিতায় নামবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এইচ টি ইমাম বলেন, প্রতিটি পরিবার থেকে একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে বলে অনেকেই ভুল প্রচারণা করছেন। সরকারকে দেশের বেসরকারি খাতকে সহায়তা করে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা দেবে। এফবিসিসিআই এ ধরনের উদ্যোগ নিয়ে সরকারের কাজের সহায়তা করছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরও সহায়তা করতে হবে। তিনি দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পণ্য ঘাটতি মেটাতে সরবরাহ বাড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, এফবিসিসিআই ফাউন্ডেশন প্রাথমিক অবস্থায় বছরে সাত থেকে ১০ হাজার অর্ধশিক্ষিত ও স্বল্পশিক্ষিত লোকের চাকরি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু প্রথম বছর প্রয়োজনের তুলনায় সাড়া কম পড়েছে। তবে এফবিসিসিআই থেকে উদ্যোগ নিলে বছরে ৫০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান করা সম্ভব।
আনিসুল হক আরও বলেন, এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৪৮৭ জনকে কম্পিউটার, সেলাই মেশিন, সেচপাম্প, ভ্যানগাড়ি প্রভৃতি প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৬১ জন প্রতিবন্ধী রয়েছে। এ ছাড়া ২০৫ জন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ নিয়েছে।
আনিসুল হক আরও বলেন, দেশের প্রায় ৫০ লাখ ব্যবসায়ী রয়েছেন। প্রত্যেক ব্যবসায়ী যদি একটি পরিবারকে স্বাবলম্বী করার দায়িত্ব নেন, তাহলে আগামী পাঁচ বছরে দেশের অর্থনৈতিক চেহারার আমূল পরিবর্তন হয়ে যাবে।
পরে অতিথিরা আনুষ্ঠানিকভাবে টাঙ্গাইলের পাপিয়া বেগম ও বরিশালের ইশরাত জাহানের হাতে সেলাই মেশিন এবং প্রতিবন্ধী যুবক নওশের আলীর হাতে একটি কম্পিউটার তুলে দেন। এফবিসিসিআই ফাউন্ডেশন থেকে অনুষ্ঠানে আগতদের দুপুরে আপ্যায়ন করা ছাড়াও দূরত্ব ও স্থান অনুসারে আসা-যাওয়া ও পণ্য পরিবহনের প্রয়োজনীয় ভাড়া প্রদান করা হয়েছে।
রাজধানীর কাকরাইলের ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান প্রধান অতিথি এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব সামগ্রী বিতরণ করেন।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আনিসুল হকের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন এফবিসিসিআইয়ের প্রথম সহসভাপতি আবুল কাশেম আহমেদ, সহসভাপতি আবু আলম চৌধুরী ও পরিচালক গোলাম দস্তগীর গাজী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য এফবিসিসিআইয়ের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ‘এফবিসিসিআই ফাউন্ডেশন’ গঠন করে। এই ফাউন্ডেশন ‘এক ব্যবসায়ী এক পরিবার’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। এতে প্রতিবছর সাত থেকে ১০ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। প্রাথমিক অবস্থায় এ প্রকল্পের আওতার অংশ হিসেবে বিভিন্ন জেলার ৪৮৭ জনকে কম্পিউটার, সেলাই মেশিন সেচপাম্প, ভ্যানগাড়ি প্রভৃতি প্রদান করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান বলেন, নিজের পকেটের টাকা খরচ করে এফবিসিসিআই দেশের মানুষের জন্য কাজ করছে—এটা অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ। দেশ ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই এ ধরনের কাজ ব্যবসায়ীদের করা উচিত। এতে ব্যবসায়ীদের ভাবমূর্তি অনেক বাড়িয়ে দেয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, মুষ্টিমেয় কিছু ব্যবসায়ী কালো চেহারার ও বিষদাঁত বের করা, যাঁরা কৃত্রিম সংকট ও মজুদ করে চিনি ও ভোজ্যতেলের দর বাড়িয়ে দেন। যাঁদের কারণে সবার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। তিনি ব্যবসায়ীদের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আরও বলেন, এফবিসিসিআইয়ের বর্তমান পর্ষদ গত দুই বছরে যত কাজ করেছে, এটি তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ। এফবিসিসিআইয়ের এ কাজ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে অন্যান্য সংগঠনও এ ধরনের সাহায্য দেওয়ার জন্য প্রতিযোগিতায় নামবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এইচ টি ইমাম বলেন, প্রতিটি পরিবার থেকে একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে বলে অনেকেই ভুল প্রচারণা করছেন। সরকারকে দেশের বেসরকারি খাতকে সহায়তা করে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা দেবে। এফবিসিসিআই এ ধরনের উদ্যোগ নিয়ে সরকারের কাজের সহায়তা করছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরও সহায়তা করতে হবে। তিনি দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পণ্য ঘাটতি মেটাতে সরবরাহ বাড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, এফবিসিসিআই ফাউন্ডেশন প্রাথমিক অবস্থায় বছরে সাত থেকে ১০ হাজার অর্ধশিক্ষিত ও স্বল্পশিক্ষিত লোকের চাকরি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু প্রথম বছর প্রয়োজনের তুলনায় সাড়া কম পড়েছে। তবে এফবিসিসিআই থেকে উদ্যোগ নিলে বছরে ৫০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান করা সম্ভব।
আনিসুল হক আরও বলেন, এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৪৮৭ জনকে কম্পিউটার, সেলাই মেশিন, সেচপাম্প, ভ্যানগাড়ি প্রভৃতি প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৬১ জন প্রতিবন্ধী রয়েছে। এ ছাড়া ২০৫ জন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ নিয়েছে।
আনিসুল হক আরও বলেন, দেশের প্রায় ৫০ লাখ ব্যবসায়ী রয়েছেন। প্রত্যেক ব্যবসায়ী যদি একটি পরিবারকে স্বাবলম্বী করার দায়িত্ব নেন, তাহলে আগামী পাঁচ বছরে দেশের অর্থনৈতিক চেহারার আমূল পরিবর্তন হয়ে যাবে।
পরে অতিথিরা আনুষ্ঠানিকভাবে টাঙ্গাইলের পাপিয়া বেগম ও বরিশালের ইশরাত জাহানের হাতে সেলাই মেশিন এবং প্রতিবন্ধী যুবক নওশের আলীর হাতে একটি কম্পিউটার তুলে দেন। এফবিসিসিআই ফাউন্ডেশন থেকে অনুষ্ঠানে আগতদের দুপুরে আপ্যায়ন করা ছাড়াও দূরত্ব ও স্থান অনুসারে আসা-যাওয়া ও পণ্য পরিবহনের প্রয়োজনীয় ভাড়া প্রদান করা হয়েছে।
No comments