জাকুমিকে নিয়ে রাজনীতি
সবুজ চুল। এক হাতে ধরা ফুটবল। অন্য হাত কোমরে দিয়ে গর্বিত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে। মুখে এক চিলতে দুষ্টু-মিষ্টি হাসি। এই হলো জাকুমি। আগামী বিশ্বকাপের মাসকট। চিতাবাঘ হলেও জাকুমিকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ ভয় নয়, জাকুমি বন্ধু হতে চায় আপনার।
নিরীহ-নির্দোষ সেই জাকুমিকে ঘিরে শুরু হয়েছে ‘রাজনৈতিক’ বিতর্ক। অন্তত চীনের সাংহাই ফ্যাশন প্লাস্টিক প্রোডাক্টস কোম্পানিটির (এসএফপিপিসি) দাবি সে রকমই। এই প্রতিষ্ঠানের ওপরই দায়িত্ব ছিল আগামী বিশ্বকাপে বাণিজ্যিকভাবে বিক্রির জন্য জাকুমির পুতুল বানানো। কিন্তু ফিফার ব্র্যান্ডিং প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ব্র্যান্ড গ্রুপ (জিবিজি) সম্প্রতি এসএফপিপিসিকে উত্পাদন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।
কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, কারখানাটির পরিবেশ স্বাস্থ্যকর নয়। ৮ ঘণ্টার বদলে কর্মীদের ১৩ ঘণ্টা করে কাজ করতে হচ্ছে। শিশুদের ব্যবহার করা হচ্ছে শ্রমিক হিসেবে। এবং বেতন হিসেবে দিনে দেওয়া হচ্ছে মাত্র তিন ডলার।
‘নিরীক্ষায় বেশ কিছু অসংগতিপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে, যেগুলো গ্লোবাল ব্র্যান্ডস সিএসআরের (করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা) নীতিবিরুদ্ধ। তাই এই ফ্যাক্টরির উত্পাদন সাময়িকভাবে স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেসব বিষয় নিয়ে আপত্তি আছে সেগুলোর সুরাহা করতে তাদের সুযোগও দেওয়া হয়েছে’—গ্লোবাল ব্র্যান্ডস গ্রুপের বিবৃতি।
এদিকে চীনা ওই প্রতিষ্ঠানটি এই পদক্ষেপকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ হিসেবেই দেখছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসএফপিপিসির একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে শিশুশ্রম, স্বল্প মজুরি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ...ইত্যাদি যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সবই বানোয়াট। আসলে এর পেছনে আছে রাজনীতি। দক্ষিণ আফ্রিকায় এখন বেকারত্বের হার অনেক বেশি। কিছু কিছু রাজনীতিবিদ কর্মপরিবেশকে স্রেফ একটা অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাচ্ছেন।’
এক মাস আগে জিবিজি কারখানা পরিদর্শন করে যাওয়ার পর তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। পরিবর্তনগুলো ঠিকঠাক হলো কি না, তা নিয়ে আরেক দফা পরিদর্শনে আসার কথা জিবিজির। এরই মধ্যে হুট করে এই স্থগিতাদেশ পেয়ে চীনা প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের বিস্ময় প্রকাশ করেছে। ওই মুখপাত্র যেমন বলেছেন, ‘আমাদের কারখানার পরিবেশ হয়তো সর্বোত্কৃষ্ট নয়, কিন্তু চীনের বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করলে বেশ ভালো বলতে হবে অবশ্যই। কাজের পরিবেশ, বেতন পরিশোধ, আইন মেনে চলা—এসব বিবেচনায় আমরা চীনের সেরা কোম্পানিগুলোর একটি। পরিবেশ আরও উন্নত করতে কী করা দরকার এ নিয়ে জিবিজির পরামর্শও আমরা আনন্দের সঙ্গেই মেনে নিয়েছি। চেষ্টা করছি, প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যাওয়ার। তবে বাস্তবতা হলো, চীনের বেতন আর কর্মপরিবেশের সঙ্গে ব্রিটেন বা সিঙ্গাপুরের তুলনা করে লাভ নেই।’
এর পেছনে যে একটা রাজনীতি কাজ করছে সেটাও গোপন কিছু নয়। চীনা ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষমতাসীন দলের একজন সাংসদ। দেশটির সর্ববৃহত্ শ্রমিক ফেডারেশন কসাটু এই বলে সমালোচনা করেছে, বিশ্বকাপ দক্ষিণ আফ্রিকার অনেক বেকারের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দিত। সেখানে উল্টো তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে
নিরীহ-নির্দোষ সেই জাকুমিকে ঘিরে শুরু হয়েছে ‘রাজনৈতিক’ বিতর্ক। অন্তত চীনের সাংহাই ফ্যাশন প্লাস্টিক প্রোডাক্টস কোম্পানিটির (এসএফপিপিসি) দাবি সে রকমই। এই প্রতিষ্ঠানের ওপরই দায়িত্ব ছিল আগামী বিশ্বকাপে বাণিজ্যিকভাবে বিক্রির জন্য জাকুমির পুতুল বানানো। কিন্তু ফিফার ব্র্যান্ডিং প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ব্র্যান্ড গ্রুপ (জিবিজি) সম্প্রতি এসএফপিপিসিকে উত্পাদন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।
কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, কারখানাটির পরিবেশ স্বাস্থ্যকর নয়। ৮ ঘণ্টার বদলে কর্মীদের ১৩ ঘণ্টা করে কাজ করতে হচ্ছে। শিশুদের ব্যবহার করা হচ্ছে শ্রমিক হিসেবে। এবং বেতন হিসেবে দিনে দেওয়া হচ্ছে মাত্র তিন ডলার।
‘নিরীক্ষায় বেশ কিছু অসংগতিপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে, যেগুলো গ্লোবাল ব্র্যান্ডস সিএসআরের (করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা) নীতিবিরুদ্ধ। তাই এই ফ্যাক্টরির উত্পাদন সাময়িকভাবে স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেসব বিষয় নিয়ে আপত্তি আছে সেগুলোর সুরাহা করতে তাদের সুযোগও দেওয়া হয়েছে’—গ্লোবাল ব্র্যান্ডস গ্রুপের বিবৃতি।
এদিকে চীনা ওই প্রতিষ্ঠানটি এই পদক্ষেপকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ হিসেবেই দেখছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসএফপিপিসির একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে শিশুশ্রম, স্বল্প মজুরি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ...ইত্যাদি যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সবই বানোয়াট। আসলে এর পেছনে আছে রাজনীতি। দক্ষিণ আফ্রিকায় এখন বেকারত্বের হার অনেক বেশি। কিছু কিছু রাজনীতিবিদ কর্মপরিবেশকে স্রেফ একটা অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাচ্ছেন।’
এক মাস আগে জিবিজি কারখানা পরিদর্শন করে যাওয়ার পর তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। পরিবর্তনগুলো ঠিকঠাক হলো কি না, তা নিয়ে আরেক দফা পরিদর্শনে আসার কথা জিবিজির। এরই মধ্যে হুট করে এই স্থগিতাদেশ পেয়ে চীনা প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের বিস্ময় প্রকাশ করেছে। ওই মুখপাত্র যেমন বলেছেন, ‘আমাদের কারখানার পরিবেশ হয়তো সর্বোত্কৃষ্ট নয়, কিন্তু চীনের বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করলে বেশ ভালো বলতে হবে অবশ্যই। কাজের পরিবেশ, বেতন পরিশোধ, আইন মেনে চলা—এসব বিবেচনায় আমরা চীনের সেরা কোম্পানিগুলোর একটি। পরিবেশ আরও উন্নত করতে কী করা দরকার এ নিয়ে জিবিজির পরামর্শও আমরা আনন্দের সঙ্গেই মেনে নিয়েছি। চেষ্টা করছি, প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যাওয়ার। তবে বাস্তবতা হলো, চীনের বেতন আর কর্মপরিবেশের সঙ্গে ব্রিটেন বা সিঙ্গাপুরের তুলনা করে লাভ নেই।’
এর পেছনে যে একটা রাজনীতি কাজ করছে সেটাও গোপন কিছু নয়। চীনা ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষমতাসীন দলের একজন সাংসদ। দেশটির সর্ববৃহত্ শ্রমিক ফেডারেশন কসাটু এই বলে সমালোচনা করেছে, বিশ্বকাপ দক্ষিণ আফ্রিকার অনেক বেকারের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দিত। সেখানে উল্টো তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে
No comments