মোহামেডানে ক্ষোভের আগুন
পরশু সিলেট স্টেডিয়ামে স্থানীয় দর্শক, সংগঠকদের হাতে দলের খেলোয়াড়-কর্মকর্তাদের মারধরের শিকার হওয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ মোহামেডান।
ওই দিন মোহামেডানের বিপক্ষে ম্যাচের আয়োজক বিয়ানীবাজারকে বাংলাদেশ লিগ থেকে বহিষ্কারের দাবি তোলা হয়েছে কাল সংবাদ সম্মেলন ডেকে। পাশাপাশি খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা, ভালো মাঠ, লিগ কমিটির পদত্যাগ এবং সুষ্ঠুভাবে লিগ পরিচালনার নিশ্চয়তা না পেলে বাংলাদেশ লিগে মোহামেডান আর খেলবে কি না, সেটাও তারা ভেবে দেখবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, নিরাপত্তা চেয়ে বাফুফেকে চিঠি দিয়েছেন মোহামেডানের খেলোয়াড়েরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মোহামেডান অধিনায়ক আরমান আজিজ, আমিনুল, জাহিদ হাসান (এমিলি), ওয়ালি ফয়সাল, জাহিদ, আবদুল বাতেন (কমল), শাকিল, সৈকত, মামুনুলকে দেখেই মনে হচ্ছিল, মারধরের শিকার হয়েছেন তাঁরা। কারও পায়ে ব্যান্ডেজ, কারও হাতে।
ব্যথিত ও হতাশ গোলরক্ষক আমিনুল বললেন, ‘সিলেট থেকে আমরা কোনো রকমে জীবন নিয়ে বেঁচে এসেছি। খেলোয়াড়দের বিন্দুমাত্র নিরাপত্তা ছিল না ওখানে। লাঠিসোঁটা নিয়ে দর্শক, সংগঠকেরা জাতীয় খেলোয়াড়দের ওপর যেভাবে আক্রমণ চালাল, তা এ দেশের ফুটবলে এক কালো অধ্যায়।’
ম্যাচের শেষ মিনিটে বিয়ানীবাজার স্কোরলাইন ১-১ করার পর ঘটনার সূত্রপাত। মোহামেডানের দাবি, বিয়ানীবাজারের ৪-৫ জন খেলোয়াড় অফসাইডে ছিলেন। রেফারি তৈয়ব হাসান ভুল সিদ্ধান্ত দিয়ে আমাদের সর্বনাশ করেছেন। অভিযোগ আছে, মোহামেডান খেলোয়াড়েরা রেফারিকে লাঞ্ছিত করেছেন। তবে আমিনুল বললেন, ‘অফসাইড গোল কেন দিলেন, সেটা জানতে চাইলে তিনি (রেফারি) বলেন, সহকারী রেফারি অফসাইড ধরেননি, তাঁর নাকি কিছু করার নেই। তবে তাঁকে লাঞ্ছিত করা হয়নি।’
কী ঘটেছিল আসলে? মোহামেডান ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘মাঠে গর্ত ছিল, হেঁটে গেলেও ধুলা ওড়ে। পরিচর্যা করা হয়নি। আগের বিকেলে মাঠে অনুশীলন করতে গিয়ে দেখলাম, গোলপোস্ট নেই। আছে দুটি ক্রিকেট পিচ, শত শত ছেলে ওখানে খেলছে। আপত্তির পরও শেষ পর্যন্ত খেললাম আমরা, কিন্তু মাঠে ডাক্তার-অ্যাম্বুলেন্স কিছুই ছিল না। পুলিশ ছিল অপর্যাপ্ত। মারধরের শিকার হয়ে পরে বাথরুমে লুকিয়ে আমাদের খেলোয়াড়েরা আত্মরক্ষা করেছে। রাতে পুলিশের সহায়তায় কোনোরকমে ঢাকার পথে রওনা হই আমরা।’
ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব ক্লাবগুলোর। তবে বাফুফের একটা ভূমিকা এতে থাকেই, কেননা মূল আয়োজনটা তাদেরই। সিলেটে ওই ম্যাচ দেখতে যাওয়া বাংলাদেশ লিগ কমিটির সদস্য আবু হাসান চৌধুরী (প্রিন্স) সংবাদ সম্মেলনে স্বীকার করেছেন, ‘মাঠ ভালো ছিল না। বাফুফের সাধারণ সম্পাদককে ফোনে বিষয়টা জানানো হলে তিনি ‘ম্যানেজ’ করতে বলেন। লিগ কমিটি, রেফারি এবং স্থানীয় আয়োজকদের দায়িত্বহীনতা ও নিরাপত্তার অভাব ছিল। এভাবে একটা ভেন্যুতে পেশাদার লিগ চলতে পারে না। প্রয়োজনে কমিটি থেকে পদত্যাগ করব!’
লিগ কমিটির সভা আজ এবং এ সভার আগে বাফুফের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক আল মুসাব্বির সাদী কিছু বলতে চাননি। তবে তাঁকে ‘মাঠ খারাপ’ জানানোর বিষয়টা সম্পর্কে বললেন, ‘ওটা লিগ কমিটি দেখছে।’ অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এখন উল্টো সুর তুললেও আবু হাসানই সিলেটের মাঠে খেলা চালানোর সার্টিফিকেট দিয়েছেন!’
মোহামেডান ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান এম এ সালামের ভাষায়, ‘মোহামেডানকে শিরোপা লড়াই থেকে দূরে রাখতে (এক ম্যাচ কম খেলে আবাহনীর চেয়ে ৭ পয়েন্ট পিছিয়ে) এটা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।’ কর্মকর্তা মোস্তাকুর রহমানের ভাষায়, ‘ফুটবল এখন আল্লাহর ওয়াস্তে’ চলছে। রুম্মন বিন ওয়ালি সাব্বিরের কথা, মোহামেডান খেলোয়াড়েরা এভাবে মার খাবে, এমন ন্যক্কারজনক কাজ ভাবাই যায় না। ছাইদ হাসান বললেন, ‘লিগ কমিটির পদত্যাগ করা উচিত।’ জাকারিয়া পিন্টুর কথা, ‘এটা সহ্য করা যায় না, সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে। পাশে বসে এসব শোনার পর সিলেটের ছেলে কায়সার হামিদের প্রতিক্রিয়া, ‘আমি লজ্জিত, ক্ষমা চাই।’
ম্যাচ কমিশনার ইব্রাহিম নেসার বলেছেন, ‘সর্বত্রই অব্যবস্থাপনা ছিল।
ওই দিন মোহামেডানের বিপক্ষে ম্যাচের আয়োজক বিয়ানীবাজারকে বাংলাদেশ লিগ থেকে বহিষ্কারের দাবি তোলা হয়েছে কাল সংবাদ সম্মেলন ডেকে। পাশাপাশি খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা, ভালো মাঠ, লিগ কমিটির পদত্যাগ এবং সুষ্ঠুভাবে লিগ পরিচালনার নিশ্চয়তা না পেলে বাংলাদেশ লিগে মোহামেডান আর খেলবে কি না, সেটাও তারা ভেবে দেখবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, নিরাপত্তা চেয়ে বাফুফেকে চিঠি দিয়েছেন মোহামেডানের খেলোয়াড়েরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মোহামেডান অধিনায়ক আরমান আজিজ, আমিনুল, জাহিদ হাসান (এমিলি), ওয়ালি ফয়সাল, জাহিদ, আবদুল বাতেন (কমল), শাকিল, সৈকত, মামুনুলকে দেখেই মনে হচ্ছিল, মারধরের শিকার হয়েছেন তাঁরা। কারও পায়ে ব্যান্ডেজ, কারও হাতে।
ব্যথিত ও হতাশ গোলরক্ষক আমিনুল বললেন, ‘সিলেট থেকে আমরা কোনো রকমে জীবন নিয়ে বেঁচে এসেছি। খেলোয়াড়দের বিন্দুমাত্র নিরাপত্তা ছিল না ওখানে। লাঠিসোঁটা নিয়ে দর্শক, সংগঠকেরা জাতীয় খেলোয়াড়দের ওপর যেভাবে আক্রমণ চালাল, তা এ দেশের ফুটবলে এক কালো অধ্যায়।’
ম্যাচের শেষ মিনিটে বিয়ানীবাজার স্কোরলাইন ১-১ করার পর ঘটনার সূত্রপাত। মোহামেডানের দাবি, বিয়ানীবাজারের ৪-৫ জন খেলোয়াড় অফসাইডে ছিলেন। রেফারি তৈয়ব হাসান ভুল সিদ্ধান্ত দিয়ে আমাদের সর্বনাশ করেছেন। অভিযোগ আছে, মোহামেডান খেলোয়াড়েরা রেফারিকে লাঞ্ছিত করেছেন। তবে আমিনুল বললেন, ‘অফসাইড গোল কেন দিলেন, সেটা জানতে চাইলে তিনি (রেফারি) বলেন, সহকারী রেফারি অফসাইড ধরেননি, তাঁর নাকি কিছু করার নেই। তবে তাঁকে লাঞ্ছিত করা হয়নি।’
কী ঘটেছিল আসলে? মোহামেডান ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘মাঠে গর্ত ছিল, হেঁটে গেলেও ধুলা ওড়ে। পরিচর্যা করা হয়নি। আগের বিকেলে মাঠে অনুশীলন করতে গিয়ে দেখলাম, গোলপোস্ট নেই। আছে দুটি ক্রিকেট পিচ, শত শত ছেলে ওখানে খেলছে। আপত্তির পরও শেষ পর্যন্ত খেললাম আমরা, কিন্তু মাঠে ডাক্তার-অ্যাম্বুলেন্স কিছুই ছিল না। পুলিশ ছিল অপর্যাপ্ত। মারধরের শিকার হয়ে পরে বাথরুমে লুকিয়ে আমাদের খেলোয়াড়েরা আত্মরক্ষা করেছে। রাতে পুলিশের সহায়তায় কোনোরকমে ঢাকার পথে রওনা হই আমরা।’
ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব ক্লাবগুলোর। তবে বাফুফের একটা ভূমিকা এতে থাকেই, কেননা মূল আয়োজনটা তাদেরই। সিলেটে ওই ম্যাচ দেখতে যাওয়া বাংলাদেশ লিগ কমিটির সদস্য আবু হাসান চৌধুরী (প্রিন্স) সংবাদ সম্মেলনে স্বীকার করেছেন, ‘মাঠ ভালো ছিল না। বাফুফের সাধারণ সম্পাদককে ফোনে বিষয়টা জানানো হলে তিনি ‘ম্যানেজ’ করতে বলেন। লিগ কমিটি, রেফারি এবং স্থানীয় আয়োজকদের দায়িত্বহীনতা ও নিরাপত্তার অভাব ছিল। এভাবে একটা ভেন্যুতে পেশাদার লিগ চলতে পারে না। প্রয়োজনে কমিটি থেকে পদত্যাগ করব!’
লিগ কমিটির সভা আজ এবং এ সভার আগে বাফুফের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক আল মুসাব্বির সাদী কিছু বলতে চাননি। তবে তাঁকে ‘মাঠ খারাপ’ জানানোর বিষয়টা সম্পর্কে বললেন, ‘ওটা লিগ কমিটি দেখছে।’ অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এখন উল্টো সুর তুললেও আবু হাসানই সিলেটের মাঠে খেলা চালানোর সার্টিফিকেট দিয়েছেন!’
মোহামেডান ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান এম এ সালামের ভাষায়, ‘মোহামেডানকে শিরোপা লড়াই থেকে দূরে রাখতে (এক ম্যাচ কম খেলে আবাহনীর চেয়ে ৭ পয়েন্ট পিছিয়ে) এটা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।’ কর্মকর্তা মোস্তাকুর রহমানের ভাষায়, ‘ফুটবল এখন আল্লাহর ওয়াস্তে’ চলছে। রুম্মন বিন ওয়ালি সাব্বিরের কথা, মোহামেডান খেলোয়াড়েরা এভাবে মার খাবে, এমন ন্যক্কারজনক কাজ ভাবাই যায় না। ছাইদ হাসান বললেন, ‘লিগ কমিটির পদত্যাগ করা উচিত।’ জাকারিয়া পিন্টুর কথা, ‘এটা সহ্য করা যায় না, সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে। পাশে বসে এসব শোনার পর সিলেটের ছেলে কায়সার হামিদের প্রতিক্রিয়া, ‘আমি লজ্জিত, ক্ষমা চাই।’
ম্যাচ কমিশনার ইব্রাহিম নেসার বলেছেন, ‘সর্বত্রই অব্যবস্থাপনা ছিল।
No comments