প্রতিরোধের ভিত গড়ে দেয় যে ধর্মঘট এম আর মাহবুব
বাংলাদেশ এখন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূলতার মুখোমুখি। সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে এ দেশের উপকূলের কাছাকাছি কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। একই সঙ্গে জানা গিয়েছে যে, দেশের ভূগর্ভস্থ পানি দিয়ে সেচ দেওয়ার ফলে সেই পানিস্তর নেমে যাচ্ছে এবং সেটা এখন এমন পর্যায়ে যে আর্সেনিক দূষণযুক্ত এলাকাতে সেচের পানি বাহিত হয়ে আর্সেনিক সেখানে উৎপাদিত ধানের মধ্যেও প্রবেশ করেছে। প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার অশনি সংকেতটিকে বিবেচনা করে কৃষি উন্নয়নের নতুন পথ, নতুনতর কৌশল এখন থেকেই বেছে নিতে হবে।
প্রত্যাশিতভাবেই সরকার এখন ধান বা খাদ্যশস্য উৎপাদনের নতুন পন্থার ওপর জোর দিচ্ছে। শীতকালীন, ভূগর্ভস্থ পানি বা সেচনির্ভর ধানের চেয়ে আমন মৌসুমে উপরিস্তরের পানির ওপর নির্ভরশীল ধানের চাষ বাড়ানোর ধারণাটি এখন সামনে এসেছে। কৌশল পরিবর্তনের এই ধারাটি অবশ্যই সুফল আনতে পারে। তবে শুধু আমন মৌসুমের ধান বা উপরিস্তরের পানির দ্বারা সেচ দিয়ে শস্য উৎপাদন করে এই দেশের খাদ্যশস্যের চাহিদা ৮০-৯০ শতাংশ মেটানো সম্ভব হবে কি না সন্দেহজনক। কাজেই এ দেশের ১৬ কোটি মানুষের (যা কিনা বেড়ে দ্রুত দাঁড়াবে ২০ বা ২৫ কোটিতে) জন্য খাদ্য সংস্থান কীভাবে করা হবে সেই দুশ্চিন্তাটি এখন থেকেই করা দরকার।
বর্তমান খাদ্যনিরাপত্তা কিন্তু বিশেষভাবে ‘খাদ্যশস্য নিরাপত্তা’ হিসেবে আলোচিত হয়। কিন্তু এ পর্যায়ে এই সত্যটিকে মেনে নিতেই হবে যে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে কৃষিজমির সংকোচন ঘটতে থাকবে এবং এ রকম ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশের নিজস্ব উৎপাদনের মাধ্যমে খাদ্যশস্যের সম্পূর্ণ চাহিদা মেটানো দুরূহ হবে। সে ক্ষেত্রে শুধু খাদ্যশস্যভিত্তিক কৃষি উন্নয়নের পরিবর্তে বহুমুখী উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে কৃষি উন্নয়ন কৌশল গ্রহণ করতে হবে। এই পন্থা গ্রহণ করার বা সেটা প্রকাশ্যে আলোচনা করার জন্য একটু সাহসিকতার প্রয়োজন। এ ধরনের পরিবর্তন অবশ্যই সময়সাপেক্ষ এবং প্রথম দিকে ধীরগতিতেই এগোতে হবে। তবে এখনই কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে, দোদুল্যমানতায় থাকলে বা কালক্ষেপণ করলে সমস্যা ক্রমশ আরও জটিল হয়ে উঠবে।
কৌশল পরিবর্তনের বিষয়টিতে অবশ্যই সতর্কভাবে অগ্রসর হতে হবে। কারণ এখানে জড়িয়ে আছে দেশের বিপুল নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠীর খাদ্যনিরাপত্তার প্রশ্নটি। আর যেসব অঞ্চলে আর্সেনিক সমস্যাটি গুরুতর সেগুলো দেশের দরিদ্রতর অংশ। সেখানে উৎপাদন বাড়ানোর সব ধরনের প্রচেষ্টা নেওয়া একটি জরুরি প্রয়োজন। অথচ সেসব এলাকাতেই নতুন সমস্যার উদ্ভব হলে নিম্নআয়ের পরিবারগুলো বিশেষভাবে সংকটের মুখোমুখি হতে পারে। সুতরাং যেকোনো পরিবর্তনের শুরুতে তাদের জন্য নিরাপত্তা বেষ্টনী দৃঢ়তর করতে হবে।
২০০৭-০৮ সময়ে চালের মূল্যের দ্রুত ঊর্ধ্বগতি এবং খাদ্যশস্য সরবরাহ পরিস্থিতিতে অনিশ্চয়তার অভিজ্ঞতা থেকে খাদ্যনিরাপত্তা বিষয়ে কিছু অন্তর্দৃষ্টি পাওয়া গিয়েছে। তখন অনুধাবন করা গিয়েছে যে আমদানির ভিত্তিতে দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে জটিলতা ঘটতে পারে। আংশিক আমদানি-সম্পৃক্ত খাদ্যনিরাপত্তার জন্য যে ধরনের কার্যকর ব্যবস্থাপনা, খাদ্য কূটনীতি এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ দরকার, সেখানে আমাদের দক্ষতা ও পারদর্শিতা এখনো বোধ হয় যথেষ্ট নয়।
কৃষি উন্নয়নের নতুন পথ ও কৌশল গ্রহণ করার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে।
১. ধান চাষ এবং অন্য ফসল বা প্রাণী-সম্পদ উন্নয়নে আর্থিক বিনিয়োগে যথেষ্ট পার্থক্য থাকবে। ক্ষুদ্র মাত্রায় অন্য খাদ্য উৎপাদনের কাজ হাতে নিতে যে আর্থিক বিনিয়োগ প্রয়োজন, সেটা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ধান চাষের চেয়ে বেশি হবে। আর জমির অনুপাত ধানের ক্ষেত্রে বেশি হবে।
২. প্রাণীজাত খাদ্য উৎপাদনের জন্য কৃষকের নিজস্ব জ্ঞানই যথেষ্ট নয়। এই বিষয়ে ন্যূনতম কিছু প্রশিক্ষণ প্রয়োজন হবে। তার জন্য কিছু স্কুলশিক্ষা বা অন্তত হিসাবজ্ঞানের ভিত্তিও লাগবে।
৩. এসব উৎপাদন প্রক্রিয়াতে নতুন উপকরণ সবরাহ ও তার ব্যবস্থাপনার নিরবচ্ছিন্ন জাল পাতা থাকতে হবে।
৪. ধান চাষের চেয়ে প্রাণীজ খাদ্য উৎপাদনে ঝুঁকি বেশি হবে। সুতরাং ঝুঁকি কমানোর পন্থা নিতে হবে।
আজকাল নানাবিধ সবজি-ফল ইত্যাদি চাষের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় কৃষকদের সাফল্যের খবর আসছে। এসব সাফল্যকে আরও বিস্তৃত এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন।
সবজি ও ফল টিনজাতকরণ শিল্পকে উত্সাহিত করতে হবে। তাতে কৃষিভিত্তিক শিল্পের প্রবৃদ্ধি ঘটতে পারে। শুরুতেই বলা হয়েছে যে ধান চাষের তুলনায় অন্য খাদ্য উৎপাদনে আর্থিক বিনিয়োগ বেশি হতে হবে। সুতরাং ঋণ দেওয়ার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে। দেশের বহুসংখ্যক ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান নিশ্চয় এদিকটিতে লক্ষ রাখবে।
শস্য বাদে অন্য খাদ্যপণ্যের উৎপাদন বাড়াতে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। তা হচ্ছে, সেসব খাদ্যের মান ও নিরাপদ সংরক্ষণপদ্ধতি। অতিতে বিভিন্ন খাদ্যে ভেজাল ও অস্বাস্থ্যকর উৎপাদনের ঘটনা ঘটেছে। দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদন করতে হলে দেখতে হবে যে এগুলো সংরক্ষণ যেভাবে হচ্ছে তাতে সঠিক পুষ্টিগুণ বজায় থাকে কি না, বিপজ্জনক কোনো উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে কি না। পশুখাদ্যের মান ও ব্যবহূত বিভিন্ন প্রতিষেধক ও পশু চিকিত্সাপদ্ধতি সঠিক কি না সেটাই বা কে দেখবে। চিংড়ি চাষে যেসব ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহার হয়েছে তাতে চিংড়ি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে সেগুলোই সুখাদ্য হিসেবে চলছে। এগুলো থেকে ক্ষতি হয়তো অল্পদিনে হবে না। কিন্তু এসব বিষক্রিয়া যখন পরস্ফুিট হবে, তখন বিপরীত দিকে যাওয়া কঠিনতর হবে।
আসলে এ দেশের ধনীশ্রেণীর পরিবারগুলো এসব বিপদ নানাভাবে পাশ কাটিয়ে চলে। যেমন, বিভিন্ন প্যাকেটকৃত তরল দুধে যখন ভেজাল ও মেলামিনযুক্ত গুঁড়ো দুধ মেশানোর অভিযোগ পাওয়া গেল, তার পর থেকে অনেক ধনী ব্যক্তি বিদেশ থেকে আমদানিকৃত প্যাকেটের তরল দুধ বেছে নিলেন। এসব কারণে নীতিনির্ধারকদের মধ্যে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার উত্সাহ কমে যেতে পরে (যেমনটি ঘটেছে সরকারি স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে চেষ্টার অভাবের ক্ষেত্রে, কারণ যাদের সংগতি আছে তারা তো সেখানে না গিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে বা বিদেশে যাচ্ছে এবং নীতিনির্ধারকও সেই শ্রেণীরই অন্তর্ভুক্ত)।
ধান বাদে অন্য খাদ্য উৎপাদন, শস্য বা অ-শস্য, যা-ই হোক, বাড়ানোর পদক্ষেপ হিসেবে শুরুতেই এসবের ভ্যারাইটি উন্নয়ন, মান উন্নয়ন, চিকিত্সাব্যবস্থা ও উপকরণের মান নিয়ন্ত্রণ—এসব বিষয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন হবে। এ দেশের কৃষি গবেষণার সিস্টেমে যেসব প্রতিষ্ঠান, তাদের ভূমিকা সুস্পষ্ট করতে হবে এবং দায়বদ্ধতা ও সামাজিক দায়িত্ববোধ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। উৎপাদনকারীদের সচেতন করতে হবে, যেন তারা দ্রুত উৎপাদন বাড়ানোর জন্য বা উৎপাদন ব্যয় কমানোর জন্য ক্ষতিকর উপকরণ বা ক্ষতিকর পদ্ধতি ব্যবহার না করে। ভোক্তাদেরও এসব বিষয়ে সচেতন করতে হবে। নিয়মিতভাবে বাজারে চালু পণ্যের মান পরীক্ষা করার প্রথা থাকতে হবে।
এখানে আরও একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রাসঙ্গিক হবে। এ দেশে মানুষ ও জমির অনুপাত খুব বেশি এবং কৃষিজমি যে হারে কমছে তা আশঙ্কাজনক। অকৃষি বা শিল্প উন্নয়নে কিছু না কিছু জমি লাগছে। তা ছাড়া প্রতিবছর নতুন পরিবারের জন্য বাসস্থান নির্মাণ হচ্ছে। এগুলো অবশ্যই চলবে। কিন্তু এ বিষয়ে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা নিতে হবে। কোন ধরনের জমি কী কাজে লাগানো যাবে তার নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন একটি জরুরি কাজ।
আরও একধরনের ব্যবহারের জন্য জমির মালিকানা বদল হচ্ছে। যেসব অঞ্চলে ভালো সড়কপথ হচ্ছে, তার আশপাশের অধিকাংশ জমি এখন অ-কৃষকের হাতে। এসব জমি এখন আক্ষরিক অর্থেই সোনার চেয়ে দামি। সেগুলো বিলাস ও বিনোদনের জন্য ব্যবহূত ব্যক্তিগত সম্পত্তি হয়ে শোভা পাচ্ছে। এর ফলে কত যে কর্ম নিয়োজনের সুযোগ হাতছাড়া হচ্ছে, কত শস্য আলোর মুখ দেখল না, সেসব কথা কি কেউ ভাবছেন? এসব জমি অন্তত যদি শিল্প স্থাপনার জন্য ব্যবহূত হতো তাহলেও কিছু সুফল আনত। এই বিষয়টি বিবেচনা করে দ্রুত সামগ্রিক ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনায় হাত দেওয়া প্রয়োজন।
শুরুতে যে কথাটি উল্লেখ করা হয়েছে, সে বক্তব্যে ফিরে আসি। এ দেশের খাদ্যচাহিদা মেটাতে চালের পরিমাণ কমিয়ে অন্যান্য খাদ্য প্রাত্যহিক তালিকাতে ঢোকানোর চিন্তা করতে হবে। এটা শুধু চালের সাশ্রয়ের জন্য ও চাহিদা বৃদ্ধির গতি কমানোর জন্য নয়। এতে পুষ্টি সমস্যারও সমাধান হবে, বিশেষত শিশু ও মাতৃত্বকালীন পুষ্টি বাড়বে। তবে এই পথে দুটি বাধা: প্রথমত, এটা যে অধিকতর পুষ্টিকর সেই বিষয়টিতে জনগণের মধ্যে বিশ্বাস তৈরি করা কঠিন এবং দ্বিতীয়ত, সর্বসাধারণের আয় বাড়ানো দরকার হবে, যাতে তারা অন্যান্য খাদ্য, বিশেষত প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য কেনার কথা ভাবতে পারে। আসলে দ্বিতীয়টি ছাড়া প্রথম পদক্ষেপ কার্যকর হবে না (বরং সেই রানির গল্পটিই সবার মনে পড়বে, যিনি সবাইকে রুটির পরিবর্তে কেক খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন)।
চালপ্রধান খাদ্য বিন্যাস এ দেশে চালু এ জন্য যে এটাই উদরপূর্তির সবচেয়ে কম ব্যয়সাধ্য উপায়। ‘ভেতো বাঙালি’ হয়ে ওঠা শুধু স্বভাবজাত কারণে হয়তো হয়নি। কাজেই অন্য খাদ্যের দিকে ঝুঁকতে বললে প্রশ্ন উঠবে, কেন আমরা ওগুলো কিনব অর্থাত্ ‘ভাত পাই না, আর বলে কিনা মাছ-মাংস কেনো—এ কী প্রহসন!’ সুতরাং অ-শস্য খাদ্য উৎপাদনের কৌশল হবে নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠীকে এই কাজে সম্পৃক্ত করা। তাতে তারা নিজেদের আয় বৃদ্ধি করবে এবং এসব পণ্যের উৎপাদনকারী হিসেবে এগুলো দৈনন্দিন খাদ্য তালিকাতে গ্রহণ করতে উত্সাহী হবে।
সাম্প্রতিক একটি গবেষণাতে দেখেছি, আয় একই রকম হলেও যেসব পরিবার চাল বেশি উৎপাদন করে, তাদের খাদ্যে চালের পরিমাণ বা ক্যালোরির পরিমাণ বেশি। অন্য খাদ্যের বেলায়ও একই বিষয় প্রযোজ্য হতে পারে।
এই প্রসঙ্গে একই গবেষণাতে অন্য একটি বিষয় বোঝা গিয়েছে। স্কুল পাঠ্য বইতে, বা স্কুলের শিক্ষাতে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সম্পর্কে জ্ঞান দেওয়া হয় খুব কম। স্কুল প্রায় শেষ হয়েছে এমন শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞেস করে দেখা গিয়েছে, কোন খাদ্যে কী ধরনের পুষ্টিগুণ আছে, সেগুলো কেন খেতে হবে এসব সম্পর্কে তেমন কোনো জ্ঞান তারা অর্জন করেনি। সুতরাং স্কুল শিক্ষায় যেন এসব জ্ঞান বাড়ানোর বাস্তব বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয় সেদিকেও দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।
দেশ ও জাতির ক্রম অগ্রগতির জন্য প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়েই যেতে হবে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে গেলে শীতকালীন সেচনির্ভর ধানের পরিবর্তে অন্যান্য শস্য ও প্রাণী-সম্পদ উন্নয়ন, উপরিস্তরের পানি দিয়ে সেচ ইত্যাদি পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। তবে এই কারণে যেন নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে দৃষ্টি রেখে দীর্ঘমেয়াদের উন্নয়নকৌশল নির্ধারণ করতে হবে। আসলে এই ঘনবসতিপূর্ণ দেশে, যেখানে কৃষিজমি ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে, সেখানে একযুগ পরে শিল্প ও প্রশস্ত সেবা খাতনির্ভর একটি অর্থনীতি এবং সেই সঙ্গে শস্য ও অন্য খাদ্য উৎপাদনের একটি সমন্বিত পন্থাই হওয়া দরকার আমাদের লক্ষ্য।
ড. রুশিদান ইসলাম রহমান: অর্থনীতিবিদ। গবেষণা পরিচালক, বিআইডিএস।
No comments