সাহসী সিদ্ধান্ত কিংবা বোকামি
ওয়াকার ইউনুস পড়েছেন মহা ফ্যাসাদে। জাতীয় দলের কোচ হিসেবে অভিষেকের প্রহর গুনছেন। এমন সময়েই কিনা সাবেক এই পেসারকে শুনতে হলো, দলের নিয়মিত একাদশের সাতজন খেলোয়াড়কে শাস্তি দিয়েছে বোর্ড! যাঁদের চারজনকে আবার নিষেধাজ্ঞার কারণে আপাতত দলেই পাবেন না তিনি। ‘যা হয়েছে সেটা আমার কাছে চমক এবং বিস্ময়ের’—ওয়াকারের তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়া।
ওয়াকারের মতোই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) এই সিদ্ধান্তে বিস্মিত অনেকেই। যে অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য এই ‘দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি’, ওই সফরে দলের ম্যানেজার আবদুল রাকিব তো বুঝেই উঠতে পারছেন না ইউনুস খানকে কেন এর মধ্যে টেনে আনা হলো, ‘ইউনুস শুধু ওয়ানডে সিরিজে খেলেছে। তাঁকে আজীবন নিষিদ্ধ করার মতো কী ঘটনা ঘটল, এই ভেবে আমি বিস্মিত। ইউনুস আসলে ষড়যন্ত্রের শিকার।’
ইউসুফ আর ইউনুসের ওপর অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে পিসিবি যে অন্যায় করেছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই ইনজামাম-উল হকের মনে। সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, ‘ইউনুস আর ইউসুফের উচিত আদালতে এ সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করা। পাকিস্তানের ক্রিকেটের জন্য এটা মোটেও ভালো সিদ্ধান্ত নয়। তরুণ ক্রিকেটারদের সামনে বোর্ড ভালো কোনো দৃষ্টান্ত রাখল না। যাদের নিয়ে পিসিবি গঠিত, সেখানে কোনো নিরপেক্ষ ব্যক্তিই নেই।’
আরেক সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফও ক্রিকেটারদের আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। বিশেষ করে ইউনুস সব সময়ই অন্যায়ের শিকার হয়েছেন বলে মত তাঁর। সরষের মধ্যেই ভূত আছে বলে মনে করেন তিনি। আর তাই বড় ধরনের রদবদল করতে হলে সেটি পাকিস্তানের ক্রিকেট প্রশাসনেই করা উচিত বলে লতিফের মত।
তবে কেউ কেউ এ সিদ্ধান্তকে সমর্থনও করছেন। পাকিস্তানের ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের দাপট ক্রমেই বাড়ছিল, অসির চেয়ে মসি বড় হয়ে উঠছিল—এমন ধারণায় বিশ্বাসীরা মনে করেন, পিসিবির এই কঠোর সিদ্ধান্ত ঠিকই আছে। জহির আব্বাস তাঁদের একজন, ‘খেলোয়াড়দের ক্ষমতা দলের পারফরম্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছিল। দলে শৃঙ্খলা বলতে কিছুই ছিল না। খেলোয়াড়দের সামলানো বোর্ডের পক্ষে দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আমরা যদি আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হেরেও যাই, তারপরও এই সিদ্ধান্তের সুফল আমরা পাবই।’
শৃঙ্খলা একটা বড় সমস্যা ছিল মানছেন রমিজ রাজা। এটাও মানছেন, খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়াও জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ‘কিন্তু একেবারে তাদের নিষিদ্ধ করা, আমি ঠিক নিশ্চিত নই, এটা উচিত হয়েছে কি না। এ ধরনের প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দেওয়া মোটেও ভালো কিছু হলো না’—বলেছেন রমিজ।
সাবেক নির্বাচক আবদুল কাদির আবার বলছেন, ‘এটি সাহসী সিদ্ধান্ত। ক্রমান্বয়ে পতনের দিকে এগোতে থাকা পাকিস্তানের ক্রিকেটে এটি ইতিবাচক ফল আনবে।’ সরফরাজ নওয়াজও একমত, ‘এর মাধ্যমে জাতীয় দলের ওপর খেলোয়াড়দের প্রভাব শেষ হয়ে গেল। এটা শুভ লক্ষণ। এখন সব খেলোয়াড়ই সতর্ক থাকবে। ইউসুফ আর ইউনুস যা খেলার খেলে ফেলেছে। ওরা এখন বুড়ো। নাভেদ আর আকমলকেও এক বছর নিষিদ্ধ করা উচিত ছিল।’
ওয়াকারের মতোই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) এই সিদ্ধান্তে বিস্মিত অনেকেই। যে অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য এই ‘দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি’, ওই সফরে দলের ম্যানেজার আবদুল রাকিব তো বুঝেই উঠতে পারছেন না ইউনুস খানকে কেন এর মধ্যে টেনে আনা হলো, ‘ইউনুস শুধু ওয়ানডে সিরিজে খেলেছে। তাঁকে আজীবন নিষিদ্ধ করার মতো কী ঘটনা ঘটল, এই ভেবে আমি বিস্মিত। ইউনুস আসলে ষড়যন্ত্রের শিকার।’
ইউসুফ আর ইউনুসের ওপর অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে পিসিবি যে অন্যায় করেছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই ইনজামাম-উল হকের মনে। সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, ‘ইউনুস আর ইউসুফের উচিত আদালতে এ সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করা। পাকিস্তানের ক্রিকেটের জন্য এটা মোটেও ভালো সিদ্ধান্ত নয়। তরুণ ক্রিকেটারদের সামনে বোর্ড ভালো কোনো দৃষ্টান্ত রাখল না। যাদের নিয়ে পিসিবি গঠিত, সেখানে কোনো নিরপেক্ষ ব্যক্তিই নেই।’
আরেক সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফও ক্রিকেটারদের আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। বিশেষ করে ইউনুস সব সময়ই অন্যায়ের শিকার হয়েছেন বলে মত তাঁর। সরষের মধ্যেই ভূত আছে বলে মনে করেন তিনি। আর তাই বড় ধরনের রদবদল করতে হলে সেটি পাকিস্তানের ক্রিকেট প্রশাসনেই করা উচিত বলে লতিফের মত।
তবে কেউ কেউ এ সিদ্ধান্তকে সমর্থনও করছেন। পাকিস্তানের ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের দাপট ক্রমেই বাড়ছিল, অসির চেয়ে মসি বড় হয়ে উঠছিল—এমন ধারণায় বিশ্বাসীরা মনে করেন, পিসিবির এই কঠোর সিদ্ধান্ত ঠিকই আছে। জহির আব্বাস তাঁদের একজন, ‘খেলোয়াড়দের ক্ষমতা দলের পারফরম্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছিল। দলে শৃঙ্খলা বলতে কিছুই ছিল না। খেলোয়াড়দের সামলানো বোর্ডের পক্ষে দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আমরা যদি আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হেরেও যাই, তারপরও এই সিদ্ধান্তের সুফল আমরা পাবই।’
শৃঙ্খলা একটা বড় সমস্যা ছিল মানছেন রমিজ রাজা। এটাও মানছেন, খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়াও জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ‘কিন্তু একেবারে তাদের নিষিদ্ধ করা, আমি ঠিক নিশ্চিত নই, এটা উচিত হয়েছে কি না। এ ধরনের প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দেওয়া মোটেও ভালো কিছু হলো না’—বলেছেন রমিজ।
সাবেক নির্বাচক আবদুল কাদির আবার বলছেন, ‘এটি সাহসী সিদ্ধান্ত। ক্রমান্বয়ে পতনের দিকে এগোতে থাকা পাকিস্তানের ক্রিকেটে এটি ইতিবাচক ফল আনবে।’ সরফরাজ নওয়াজও একমত, ‘এর মাধ্যমে জাতীয় দলের ওপর খেলোয়াড়দের প্রভাব শেষ হয়ে গেল। এটা শুভ লক্ষণ। এখন সব খেলোয়াড়ই সতর্ক থাকবে। ইউসুফ আর ইউনুস যা খেলার খেলে ফেলেছে। ওরা এখন বুড়ো। নাভেদ আর আকমলকেও এক বছর নিষিদ্ধ করা উচিত ছিল।’
No comments