ওয়ানডের পরীক্ষা, ধোনিদের চ্যালেঞ্জ
ইদানীং প্রায়ই শোনা যাচ্ছে কথাটা—অস্তিত্ব রক্ষার পরীক্ষা চলছে ওয়ানডে ক্রিকেটের। টি-টোয়েন্টির জনপ্রিয়তা যে গতিতে বাড়ছে, সেই গতিতেই নাকি কমছে ওয়ানডের জনপ্রিয়তা। গত চ্যাম্পিয়নস ট্রফিটাকে ধরা হয়েছিল ৫০ ওভারের ক্রিকেটের ‘এসিড টেস্ট’। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও ‘এ প্লাস’ পাওয়া হয়নি। এবার তাই সবাই তাকিয়ে আছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া সাত ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দিকে। আজ ভদোদরায় আরেকটা পরীক্ষা দিতে নামছে রিকি পন্টিং আর মহেন্দ্র সিং ধোনির দল।
ধোনিদের পরীক্ষাটা দিতে হবে আরও এক জায়গায়। পুরোনো অনেক ব্যর্থতা তারা মুছে দিয়েছে ঠিকই, ওয়ানডের সেরা দলগুলোর একটি হয়ে উঠেছে, দুই দিন র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষেও উঠেছিল; কিন্তু একটি ক্ষেত্রে এখনো কোনো পরিবর্তন আসেনি। নিজেদের ঘরে ওয়ানডে সিরিজ ভারত জিততে পারে না অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজেদের মাঠে জেতা তাদের সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজটা সেই ১৯৮৬ সালের!
অন্যদিকে ভারতের মাটি অস্ট্রেলিয়ার জন্য পয়মন্ত। এখানে সর্বশেষ টানা পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় কিংবা বহুজাতিক ওয়ানডে সিরিজ বা টুর্নামেন্ট জিতেছে তারা। এর মধ্যে আছে ২০০৬ সালে প্রথমবারের মতো জেতা চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপাটিও। ২০০৭ সালে সর্বশেষ সাত ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও অস্ট্রেলিয়া জয়ী ৪-২ ব্যবধানে।
গত মাসেই দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতে আসা অস্ট্রেলিয়া এবারও আত্মবিশ্বাসী—ভারতমাতা তাদের নিরাশ করবে না। কোচ টিম নিলসেনের কেবল একটাই ভয়, গত অ্যাশেজ থেকেই ঠাসা সূচির মধ্যে থাকা খেলোয়াড়েরা না ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবার। অ্যাশেজের ৫ টেস্টের পর সাত ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে অস্ট্রেলিয়া। এরপর দিন কয়েকের বিশ্রাম নিতে না নিতেই ছুটতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায় চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে।
এর পরও বিশ্রাম নেই। অস্ট্রেলিয়ার এই দলের ছয় ক্রিকেটার দুই সপ্তাহ আগেই ভারতে এসেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ টি-টোয়েন্টি খেলতে। এঁদের মধ্যে নিউ সাউথ ওয়েলসের তিনজন—ব্রেট লি, ডগ বলিংগার আর নাথান হরিজ পরশু রাত পর্যন্ত ব্যস্ত ছিলেন ফাইনালে। হায়দরাবাদে শিরোপা জয়ের আনন্দ উদ্যাপন করতে না করতেই তাঁদের ছুটতে হয়েছে ১১০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। ভদোদরার আজকের ম্যাচটিও আবার স্থানীয় সময় সকাল নয়টায়।
একটানা এত খেলে যাওয়ার ক্লান্তি কিন্তু অস্ট্রেলীয় পেশাদারির খোলসে চাপা পড়ে আছে। মাঠে ব্রেট লিদের খেলা দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই। লি তো নিজে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যান অব দ্য ফাইনাল আর সিরিজ দুটোই হলেন। ব্যাট হাতেও ঝলসে উঠেছিলেন দলের দুঃসময়ে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে নিজেকে ফিরে পাওয়া লির দিকে তাকিয়ে থাকবে অস্ট্রেলিয়া। ব্যাটিংয়ে ভারতে বরাবরই সফল মাইকেল ক্লার্কের অনুপস্থিতিতে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে পন্টিং আর মাইক হাসিকে।
ভারত আজ এমন একটা দলের মুখোমুখি হচ্ছে, সর্বশেষ ১৭টি ওয়ানডের ১৪টি যারা জিতেছে। দলের একগাদা তারকা খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতি ভালোমতো সামাল দিয়ে এখন তারা সেই আগের অপরাজেয় চেহারায়। তার পরও পন্টিংয়ের কণ্ঠে সতর্কতা, ‘আমরা ভালো করেই জানি, নিজেদের কন্ডিশনে ভারত অনেক ভালো খেলবে।’
ভারতের জন্য সুখবর হলো, ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরছেন বীরেন্দর শেবাগ। এই সিরিজেই ফেরার কথা যুবরাজ সিংয়েরও। যদিও প্রথম ম্যাচে তাঁর খেলা নিয়ে সংশয় আছে। সংশয় আছে পরশু অনুশীলনে হালকা চোট পাওয়া ধোনিকে নিয়েও। তবে দলে কোনো রিজার্ভ উইকেটকিপার রাখা হয়নি। গতকাল পর্যন্ত কোনো উইকেটকিপারকে ডাকাও হয়নি। তার মানে, ধোনির আজ না খেলার কোনো কারণ নেই।
তা ছাড়া হালকা চোট নিয়েও ধোনি নিশ্চয়ই খেলবেন। ভারত অধিনায়ক চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসেন। ১৯৮৬ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজেদের মাটিতে প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জেতাটা তো বড় চ্যালেঞ্জই!
ধোনিদের পরীক্ষাটা দিতে হবে আরও এক জায়গায়। পুরোনো অনেক ব্যর্থতা তারা মুছে দিয়েছে ঠিকই, ওয়ানডের সেরা দলগুলোর একটি হয়ে উঠেছে, দুই দিন র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষেও উঠেছিল; কিন্তু একটি ক্ষেত্রে এখনো কোনো পরিবর্তন আসেনি। নিজেদের ঘরে ওয়ানডে সিরিজ ভারত জিততে পারে না অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজেদের মাঠে জেতা তাদের সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজটা সেই ১৯৮৬ সালের!
অন্যদিকে ভারতের মাটি অস্ট্রেলিয়ার জন্য পয়মন্ত। এখানে সর্বশেষ টানা পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় কিংবা বহুজাতিক ওয়ানডে সিরিজ বা টুর্নামেন্ট জিতেছে তারা। এর মধ্যে আছে ২০০৬ সালে প্রথমবারের মতো জেতা চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপাটিও। ২০০৭ সালে সর্বশেষ সাত ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও অস্ট্রেলিয়া জয়ী ৪-২ ব্যবধানে।
গত মাসেই দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতে আসা অস্ট্রেলিয়া এবারও আত্মবিশ্বাসী—ভারতমাতা তাদের নিরাশ করবে না। কোচ টিম নিলসেনের কেবল একটাই ভয়, গত অ্যাশেজ থেকেই ঠাসা সূচির মধ্যে থাকা খেলোয়াড়েরা না ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবার। অ্যাশেজের ৫ টেস্টের পর সাত ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে অস্ট্রেলিয়া। এরপর দিন কয়েকের বিশ্রাম নিতে না নিতেই ছুটতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায় চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে।
এর পরও বিশ্রাম নেই। অস্ট্রেলিয়ার এই দলের ছয় ক্রিকেটার দুই সপ্তাহ আগেই ভারতে এসেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ টি-টোয়েন্টি খেলতে। এঁদের মধ্যে নিউ সাউথ ওয়েলসের তিনজন—ব্রেট লি, ডগ বলিংগার আর নাথান হরিজ পরশু রাত পর্যন্ত ব্যস্ত ছিলেন ফাইনালে। হায়দরাবাদে শিরোপা জয়ের আনন্দ উদ্যাপন করতে না করতেই তাঁদের ছুটতে হয়েছে ১১০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। ভদোদরার আজকের ম্যাচটিও আবার স্থানীয় সময় সকাল নয়টায়।
একটানা এত খেলে যাওয়ার ক্লান্তি কিন্তু অস্ট্রেলীয় পেশাদারির খোলসে চাপা পড়ে আছে। মাঠে ব্রেট লিদের খেলা দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই। লি তো নিজে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যান অব দ্য ফাইনাল আর সিরিজ দুটোই হলেন। ব্যাট হাতেও ঝলসে উঠেছিলেন দলের দুঃসময়ে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে নিজেকে ফিরে পাওয়া লির দিকে তাকিয়ে থাকবে অস্ট্রেলিয়া। ব্যাটিংয়ে ভারতে বরাবরই সফল মাইকেল ক্লার্কের অনুপস্থিতিতে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে পন্টিং আর মাইক হাসিকে।
ভারত আজ এমন একটা দলের মুখোমুখি হচ্ছে, সর্বশেষ ১৭টি ওয়ানডের ১৪টি যারা জিতেছে। দলের একগাদা তারকা খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতি ভালোমতো সামাল দিয়ে এখন তারা সেই আগের অপরাজেয় চেহারায়। তার পরও পন্টিংয়ের কণ্ঠে সতর্কতা, ‘আমরা ভালো করেই জানি, নিজেদের কন্ডিশনে ভারত অনেক ভালো খেলবে।’
ভারতের জন্য সুখবর হলো, ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরছেন বীরেন্দর শেবাগ। এই সিরিজেই ফেরার কথা যুবরাজ সিংয়েরও। যদিও প্রথম ম্যাচে তাঁর খেলা নিয়ে সংশয় আছে। সংশয় আছে পরশু অনুশীলনে হালকা চোট পাওয়া ধোনিকে নিয়েও। তবে দলে কোনো রিজার্ভ উইকেটকিপার রাখা হয়নি। গতকাল পর্যন্ত কোনো উইকেটকিপারকে ডাকাও হয়নি। তার মানে, ধোনির আজ না খেলার কোনো কারণ নেই।
তা ছাড়া হালকা চোট নিয়েও ধোনি নিশ্চয়ই খেলবেন। ভারত অধিনায়ক চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসেন। ১৯৮৬ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজেদের মাটিতে প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জেতাটা তো বড় চ্যালেঞ্জই!
No comments