এবার ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্রোকারেজ বিভাগ পৃথক করা হবে by হাসান ইমাম
ব্যাংক, বীমা ও অ-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্রোকারেজ বিভাগকে পৃথক সাবসিডিয়ারি বা সহযোগী কোম্পানিতে রূপান্তর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) এবার এ উদ্যোগ নিয়েছে।
এসইসির শীর্ষস্থানীয় এক কর্মকর্তা জানান, আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যে এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
এর আগে গত ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মার্চেন্ট ব্যাংকিং বিভাগকে সাবসিডিয়ারি কোম্পানি হিসেবে রূপান্তরের নির্দেশ দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই সার্কুলারে বলা হয়েছে, পৃথক সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন ছাড়া ব্যাংকগুলো মার্চেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম চালাতে পারবে না। আর মার্চেন্ট ব্যাংক হিসেবে সহযোগী প্রতিষ্ঠান গঠনের আগেই বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে। এ জন্য বর্তমানে যেসব ব্যাংকের মার্চেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম রয়েছে, তাদের ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যেই এই বিভাগকে পৃথক সহযোগী প্রতিষ্ঠান গঠন করার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সিদ্ধান্ত নিয়ে মার্চেন্ট ব্যাংক পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তাঁদের কেউ কেউ এ উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও অনেকেই সন্তুষ্ট হতে পারেননি।
মার্চেন্ট ব্যাংকিং বিভাগের এমন একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বলেন, ব্যাংকের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমানোর জন্য মার্চেন্ট ব্যাংকিং বিভাগকে সাবসিডিয়ারি করার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু শতভাগ সাবসিডিয়ারি হিসেবে মার্চেন্ট ব্যাংক যখন ঝুঁকির মধ্যে পড়বে, তখন তা মূল প্রতিষ্ঠানকেও প্রভাবিত করার কথা।
ওই শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা আরও বলেন, ব্যাংকগুলোর ব্রোকারেজ বিভাগকে আলাদা না করে কেবল মার্চেন্ট ব্যাংকিং বিভাগকে পৃথক করা হবে বৈষম্যমূলক। কারণ মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের ঋণ দিতে পারে ১:১.৫ হারে। ব্রোকারেজ হাউসগুলো দিতে পারে ১:২ অনুপাতে। তাই ব্রোকারেজ বিভাগকে আলাদা না করে মার্চেন্ট ব্যাংকিং বিভাগকে আলাদা করা হলে প্রতিযোগিতার পরিবেশ নষ্ট হবে।
জানা গেছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্রোকারেজ বিভাগকে আলাদা করার ক্ষেত্রে এসইসি এসব বিষয়কেও আমলে এনেছে।
যোগাযোগ করা হলে আইডিএলসি ফাইন্যান্সের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ খান বলেন, এসইসি এ ধরনের উদ্যোগ নিলে তা নিঃসন্দেহে ভালো খবর। কারণ আর্থিক খাতের কার্যক্রম ও ব্রোকারেজ কার্যক্রমের ধরন সম্পূর্ণ আলাদা। তাই এ দুই ধরনের প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনাও আলাদা হওয়া উচিত। এতে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখাও সুবিধা হবে।
বর্তমানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সক্রিয় ব্রোকারেজ হাউসের সংখ্যা রয়েছে প্রায় ২০০। এর মধ্যে ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকানাধীন ব্রোকারেজ হাউসের সংখ্যা ৩২টির মতো। এই ৩২টির মধ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংকের মালিকানায় রয়েছে ১৬টি। বাকি প্রায় ১৬টি অ-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বীমা কোম্পানির মালিকানাধীন।
যেসব ব্যাংকের ব্রোকারেজ বিভাগ আছে, সেগুলো হলো ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক (বিএসবি), বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, প্রিমিয়ার ব্যাংক ও এবি ব্যাংক।
এর মধ্যে এবি ব্যাংক ব্রোকারেজ বিভাগকে সাবসিডিয়ারি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর প্রিমিয়ার ব্যাংকের ব্রোকারেজ লাইসেন্স এখনো প্রক্রিয়াধীন।
তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ফিনিক্স সিকিউরিটিজ, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড, ইক্যুইটি পার্টনারস সিকিউরিটিজ, আইডিএলসি সিকিউরিটিজ, গ্রিন ডেল্টা ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড, আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানি, লংকা-বাংলা সিকিউরিটিজ, এসইএস কোম্পানি ও বিএলআই সিকিউরিটিজ ইতিমধ্যে সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে।
এর বাইরে যাদের ব্রোকারেজ বিভাগ আছে, সেগুলো হলো বাংলাদেশ শিল্পঋণ সংস্থা, সাধারণ বীমা করপোরেশন, আইআইডিএফসি ও পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। এর মধ্যে অবশ্য পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্রোকারেজ লাইসেন্সের জন্য আবেদন জমা দিয়েছে।
এসইসির শীর্ষস্থানীয় এক কর্মকর্তা জানান, আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যে এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
এর আগে গত ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মার্চেন্ট ব্যাংকিং বিভাগকে সাবসিডিয়ারি কোম্পানি হিসেবে রূপান্তরের নির্দেশ দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই সার্কুলারে বলা হয়েছে, পৃথক সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন ছাড়া ব্যাংকগুলো মার্চেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম চালাতে পারবে না। আর মার্চেন্ট ব্যাংক হিসেবে সহযোগী প্রতিষ্ঠান গঠনের আগেই বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে। এ জন্য বর্তমানে যেসব ব্যাংকের মার্চেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম রয়েছে, তাদের ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যেই এই বিভাগকে পৃথক সহযোগী প্রতিষ্ঠান গঠন করার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সিদ্ধান্ত নিয়ে মার্চেন্ট ব্যাংক পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তাঁদের কেউ কেউ এ উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও অনেকেই সন্তুষ্ট হতে পারেননি।
মার্চেন্ট ব্যাংকিং বিভাগের এমন একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বলেন, ব্যাংকের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমানোর জন্য মার্চেন্ট ব্যাংকিং বিভাগকে সাবসিডিয়ারি করার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু শতভাগ সাবসিডিয়ারি হিসেবে মার্চেন্ট ব্যাংক যখন ঝুঁকির মধ্যে পড়বে, তখন তা মূল প্রতিষ্ঠানকেও প্রভাবিত করার কথা।
ওই শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা আরও বলেন, ব্যাংকগুলোর ব্রোকারেজ বিভাগকে আলাদা না করে কেবল মার্চেন্ট ব্যাংকিং বিভাগকে পৃথক করা হবে বৈষম্যমূলক। কারণ মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের ঋণ দিতে পারে ১:১.৫ হারে। ব্রোকারেজ হাউসগুলো দিতে পারে ১:২ অনুপাতে। তাই ব্রোকারেজ বিভাগকে আলাদা না করে মার্চেন্ট ব্যাংকিং বিভাগকে আলাদা করা হলে প্রতিযোগিতার পরিবেশ নষ্ট হবে।
জানা গেছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্রোকারেজ বিভাগকে আলাদা করার ক্ষেত্রে এসইসি এসব বিষয়কেও আমলে এনেছে।
যোগাযোগ করা হলে আইডিএলসি ফাইন্যান্সের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ খান বলেন, এসইসি এ ধরনের উদ্যোগ নিলে তা নিঃসন্দেহে ভালো খবর। কারণ আর্থিক খাতের কার্যক্রম ও ব্রোকারেজ কার্যক্রমের ধরন সম্পূর্ণ আলাদা। তাই এ দুই ধরনের প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনাও আলাদা হওয়া উচিত। এতে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখাও সুবিধা হবে।
বর্তমানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সক্রিয় ব্রোকারেজ হাউসের সংখ্যা রয়েছে প্রায় ২০০। এর মধ্যে ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকানাধীন ব্রোকারেজ হাউসের সংখ্যা ৩২টির মতো। এই ৩২টির মধ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংকের মালিকানায় রয়েছে ১৬টি। বাকি প্রায় ১৬টি অ-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বীমা কোম্পানির মালিকানাধীন।
যেসব ব্যাংকের ব্রোকারেজ বিভাগ আছে, সেগুলো হলো ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক (বিএসবি), বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, প্রিমিয়ার ব্যাংক ও এবি ব্যাংক।
এর মধ্যে এবি ব্যাংক ব্রোকারেজ বিভাগকে সাবসিডিয়ারি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর প্রিমিয়ার ব্যাংকের ব্রোকারেজ লাইসেন্স এখনো প্রক্রিয়াধীন।
তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ফিনিক্স সিকিউরিটিজ, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড, ইক্যুইটি পার্টনারস সিকিউরিটিজ, আইডিএলসি সিকিউরিটিজ, গ্রিন ডেল্টা ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড, আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানি, লংকা-বাংলা সিকিউরিটিজ, এসইএস কোম্পানি ও বিএলআই সিকিউরিটিজ ইতিমধ্যে সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে।
এর বাইরে যাদের ব্রোকারেজ বিভাগ আছে, সেগুলো হলো বাংলাদেশ শিল্পঋণ সংস্থা, সাধারণ বীমা করপোরেশন, আইআইডিএফসি ও পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। এর মধ্যে অবশ্য পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্রোকারেজ লাইসেন্সের জন্য আবেদন জমা দিয়েছে।
No comments