পাকশী কাগজ কল আবার চালু করার উদ্যোগ by মাহাবুবুল হক, ঈশ্বরদী (পাবনা)
ঈশ্বরদীতে অবস্থিত উত্তরবঙ্গের অন্যতম বড় শিল্পকারখানা পাকশী নর্থ বেঙ্গল পেপার মিল আবার চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গত মঙ্গলবার শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া পাবনায় এসে পাকশী পেপার মিল পরিদর্শনের পর মিলটি আবার চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন। তিনি ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক মিলের কারখানা পরিদর্শন শেষে এক সংবর্ধনা সভায় যোগ দেন। সেখানেই এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সভায় চাকরি হারানো শ্রমিক-কর্মচারী, তাঁদের পরিবার ও এলাকাবাসী এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা পেপার মিল চালুর দাবি জানায়।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী ইশতেহারে যে কথা দিয়েছিলেন, সে কথা রাখা হবে। এ জন্যই পাকশী পেপার মিল চালু করা হবে।
উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় গেলে পাকশী পেপার মিল চালু করবেন বলে পাবনায় টেলিকনফারেন্সে ঘোষণা দিয়েছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পাকশী পেপার মিল পরিদর্শনকালে রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে শত শত মানুষ পেপার মিল চালুর দাবিতে স্লোগান দেয় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের দাবি জানায়।
জানা গেছে, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর পাকশী পেপার মিল চালুর বিষয়ে নাড়াচাড়া শুরু হয়। এরই অংশ হিসেবে বিসিআইসি থেকে চার সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি পাকশী মিলের বিভিন্ন অবস্থা পর্যালোচনা করে।
মিলের সূত্র জানিয়েছে, পাকশী পেপার মিল গ্যাস ভিত্তিতে চালাতে গেলে ৪৫ কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে। উল্লেখ্য, মিল বন্ধের ছয় মাস আগে পাকশী পেপার মিলে গ্যাস সংযোগ স্থাপন করা হয়েছিল।
বিগত জোট সরকারের আমলে ২০০২ সালের ১২ নভেম্বর পাকশী পেপার মিল বন্ধ করে দেওয়া হয়। চাকরি হারান মিলের এক হাজার ২০০ শ্রমিক-কর্মচারী। এরপর সরকার মিলটি যৌথ মালিকানায় চালানো এবং বিক্রির জন্য ২০০৫ সালের ১০ এপ্রিল প্রথম টেন্ডার আহ্বান করে। কিন্তু সেখানে একটি মাত্র দরপত্র জমা পড়ায় ১৫ জুন টেন্ডারটি বাতিল করা হয়। এভাবে বেশ কয়েকবার দরপত্র আহ্বান করা হলেও পরে তা বাতিল হয়ে যায়।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের বিভিন্ন বন্ধ শিল্প কলকারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নেয়। মিলের জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) জাহাঙ্গীর হোসেন পেপার মিল চালু করার উদ্যোগের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
জানা গেছে, পেপার মিলের অধিকাংশ যন্ত্রপাতি অবহেলায় নষ্ট হয়ে গেছে। দখল হয়ে গেছে আবাসিক এলাকার বিভিন্ন অংশ। মিলের কর্মকর্তারা থাকছেন রেস্টহাউসে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে মিলের মোট লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭৫ কোটি টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পেপার মিল পরিদর্শনের খবর শুনে এলাকাবাসী, চাকরি হারানো শ্রমিক-কর্মচারী এবং পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ যৌথভাবে শিল্পমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে সংবর্ধনার আয়োজন করে।
মিল পরিদর্শন শেষে শিল্পমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে পাকশী পেপার মিলের আবাসিক কলোনির মাঠে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পাকশী পেপার মিল সিবিএর সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক জানান, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মিল চালুর জন্য জোর দাবি জানানো হয়। পাকশী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুল ইসলাম সভায় সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পাবনা সদরের সাংসদ গোলাম ফারুক, নাটোর-১ আসনের সাংসদ আবু তালহা, চাকরি হারানো শ্রমিক মো. রশিদুল্লাহ প্রমুখ।
তবে কাগজ তৈরির জন্য পাকশী পেপার মিলটিই চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মণ্ড তৈরির পাল্প কারখানা প্রায় পুরোটাই ধ্বংস হয়ে গেছে। তাই সেটি আর চালু করার কোনো সুযোগ নেই।
গত মঙ্গলবার শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া পাবনায় এসে পাকশী পেপার মিল পরিদর্শনের পর মিলটি আবার চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন। তিনি ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক মিলের কারখানা পরিদর্শন শেষে এক সংবর্ধনা সভায় যোগ দেন। সেখানেই এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সভায় চাকরি হারানো শ্রমিক-কর্মচারী, তাঁদের পরিবার ও এলাকাবাসী এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা পেপার মিল চালুর দাবি জানায়।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী ইশতেহারে যে কথা দিয়েছিলেন, সে কথা রাখা হবে। এ জন্যই পাকশী পেপার মিল চালু করা হবে।
উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় গেলে পাকশী পেপার মিল চালু করবেন বলে পাবনায় টেলিকনফারেন্সে ঘোষণা দিয়েছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পাকশী পেপার মিল পরিদর্শনকালে রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে শত শত মানুষ পেপার মিল চালুর দাবিতে স্লোগান দেয় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের দাবি জানায়।
জানা গেছে, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর পাকশী পেপার মিল চালুর বিষয়ে নাড়াচাড়া শুরু হয়। এরই অংশ হিসেবে বিসিআইসি থেকে চার সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি পাকশী মিলের বিভিন্ন অবস্থা পর্যালোচনা করে।
মিলের সূত্র জানিয়েছে, পাকশী পেপার মিল গ্যাস ভিত্তিতে চালাতে গেলে ৪৫ কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে। উল্লেখ্য, মিল বন্ধের ছয় মাস আগে পাকশী পেপার মিলে গ্যাস সংযোগ স্থাপন করা হয়েছিল।
বিগত জোট সরকারের আমলে ২০০২ সালের ১২ নভেম্বর পাকশী পেপার মিল বন্ধ করে দেওয়া হয়। চাকরি হারান মিলের এক হাজার ২০০ শ্রমিক-কর্মচারী। এরপর সরকার মিলটি যৌথ মালিকানায় চালানো এবং বিক্রির জন্য ২০০৫ সালের ১০ এপ্রিল প্রথম টেন্ডার আহ্বান করে। কিন্তু সেখানে একটি মাত্র দরপত্র জমা পড়ায় ১৫ জুন টেন্ডারটি বাতিল করা হয়। এভাবে বেশ কয়েকবার দরপত্র আহ্বান করা হলেও পরে তা বাতিল হয়ে যায়।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের বিভিন্ন বন্ধ শিল্প কলকারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নেয়। মিলের জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) জাহাঙ্গীর হোসেন পেপার মিল চালু করার উদ্যোগের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
জানা গেছে, পেপার মিলের অধিকাংশ যন্ত্রপাতি অবহেলায় নষ্ট হয়ে গেছে। দখল হয়ে গেছে আবাসিক এলাকার বিভিন্ন অংশ। মিলের কর্মকর্তারা থাকছেন রেস্টহাউসে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে মিলের মোট লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭৫ কোটি টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পেপার মিল পরিদর্শনের খবর শুনে এলাকাবাসী, চাকরি হারানো শ্রমিক-কর্মচারী এবং পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ যৌথভাবে শিল্পমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে সংবর্ধনার আয়োজন করে।
মিল পরিদর্শন শেষে শিল্পমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে পাকশী পেপার মিলের আবাসিক কলোনির মাঠে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পাকশী পেপার মিল সিবিএর সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক জানান, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মিল চালুর জন্য জোর দাবি জানানো হয়। পাকশী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুল ইসলাম সভায় সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পাবনা সদরের সাংসদ গোলাম ফারুক, নাটোর-১ আসনের সাংসদ আবু তালহা, চাকরি হারানো শ্রমিক মো. রশিদুল্লাহ প্রমুখ।
তবে কাগজ তৈরির জন্য পাকশী পেপার মিলটিই চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মণ্ড তৈরির পাল্প কারখানা প্রায় পুরোটাই ধ্বংস হয়ে গেছে। তাই সেটি আর চালু করার কোনো সুযোগ নেই।
No comments