ওয়ানডেতে ‘মঙ্গুজ ব্যাটিংয়ের’ ভয়
মঙ্গুজ ব্যাটের নাম শুনেছেন নিশ্চই। গ্রিপটা স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশিই লম্বা, সে তুলনায় ব্যাটের ব্লেড বেশ ছোট। বলা হচ্ছে বড় ব্লেডের ব্যাটের চেয়ে মঙ্গুজ ব্যাটের শক্তি ২০ শতাংশ বেশি, একজন ব্যাটসম্যান আগের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি জোরে চালাতে পারবেন এই ব্যাট। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দাবির কথা চিন্তা করেই বিশেষভাবে তৈরি হচ্ছে মঙ্গুজ ব্যাট। এসবই পুরোনো খবর। নতুন খবর হলো, বাংলাদেশের মোহাম্মদ আশরাফুল চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন মঙ্গুজের সঙ্গে।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য এর মধ্যেই মঙ্গুজ ব্যাট হাতে পেয়ে গেছেন আশরাফুল। অভ্যস্ত হতে এই ব্যাট দিয়ে প্র্যাকটিসও শুরু করে দিয়েছেন। ওয়ানডেতে মঙ্গুজ ব্যাটের ব্যবহার স্বীকৃত না হলেও রিবকের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় আগামী দুই বছর আশরাফুলের ব্যাটে দেখা যাবে মঙ্গুজের স্টিকার।
মঙ্গুজের সঙ্গে আশরাফুলের চুক্তিতে সবচেয়ে লোভনীয় শর্তটা হলো—এই ব্যাট দিয়ে ছয় বলে ছয় ছক্কা মারতে পারলে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার পুরস্কার পাবেন সাবেক বাংলাদেশ অধিনায়ক। আশরাফুল নিজেই বুঝছেন, শর্তটা শর্ত হিসেবেই থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা, ‘ছয় বলে ছয় ছক্কা! ইংল্যান্ডের উইকেটে হয়তো সম্ভব...।’
কারও হাতে মঙ্গুজ ব্যাট থাকবে না, তবে ২৭ অক্টোবর থেকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শুরু পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের কেউ যদি এখনকার ব্যাট দিয়েই ছয় বলে ছক্কা হাঁকাতে যান, অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। জিম্বাবুয়ে সফর শেষে কালকের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা যত ম্যাচ খেলেছেন, সবই টি-টোয়েন্টি। জিম্বাবুয়ে সিরিজের অনুশীলনের প্রথম ভাগটা মূলত চারটা ২০ ওভারের ম্যাচ দিয়েই হয়েছিল। এরপর হলো টি-টোয়েন্টি প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ। ওয়ানডেতে ফিরেও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ধুম ধাড়াক্কা ক্রিকেটের জ্বর তো একটু থাকতেই পারে।
জাতীয় দলের কোচ জেমি সিডন্সের মধ্যে এই শঙ্কাটা আছেই। একটি ওয়ানডে সিরিজের আগে এত টি-টোয়েন্টি ম্যাচ না খেলে ওয়ানডে ম্যাচই খেলা উচিত ছিল বলে মনে করেন এই অস্ট্রেলিয়ান। কাল প্রস্তুতি ম্যাচের সময় মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘আসলেই... জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বেশি খেলা হয়ে গেছে। এই সময়ে প্রিমিয়ার লিগ হলেই ভালো হতো। তবে এসব তো আর আমার হাতে নেই। এই প্র্যাকটিস ম্যাচ দিয়েই এখন ক্রিকেটারদের ওয়ানডের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।’
কিন্তু মানিয়ে নেওয়ার কাজ তো আর একবারে হয় না। হয়তো সে কারণেই প্রস্তুতি ম্যাচে ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিয়ে দিয়ে ফিল্ডিং করানোর ‘গেম প্ল্যান’। কাল একাডেমি দলের বিপক্ষে কাউকেই একটানা ফিল্ডিং করালেন না জেমি সিডন্স। মাহমুদউল্লাহকে মাঠ থেকে উঠিয়ে নিচ্ছেন তো বিশ্রাম থেকে আবার মাঠে পাঠাচ্ছেন তামিম ইকবালকে। সাকিব আল হাসান উঠে আসছেন তো নামছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। তবে টি-টোয়েন্টি লিগে সর্বোচ্চ ৩৩৯ রান করা তামিম ইকবাল মনে করছেন, টি-টোয়েন্টির অভ্যাস ওয়ানডেতে ফেরার কাজকে খুব কঠিন করবে না, ‘একটা প্রস্তুতি ম্যাচ তো খেলছি। তা ছাড়া প্র্যাকটিসেও অনেক লম্বা সময় ধরে ব্যাটিং করছে সবাই। আমার মনে হয় না সমস্যা হবে।’
তামিমের চাচা সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমানে জাতীয় দলের নির্বাচক আকরাম খানেরও একই কথা। টি-টোয়েন্টি লিগ তো শেষ, ওয়ানডেতে গিয়ে কেউ সেই ব্যাটিং কেন করবে! কাল প্রস্তুতি ম্যাচ দেখতে দেখতেই বললেন, ‘পেশাদার ক্রিকেটটাই তো এখন এ রকম। একটা পূর্ণাঙ্গ সিরিজে টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি—সব ধরনের ক্রিকেটই থাকে। পেশাদার ক্রিকেটারদের এর সঙ্গে মানিয়ে নিতেই হবে।’
আকরামের কথাটা সত্যি হলে ভালো। তাহলে ওয়ানডেতে আর ‘মঙ্গুজ ব্যাটিং’ কামড়ে ধরতে পারবে না বাংলাদেশকে।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য এর মধ্যেই মঙ্গুজ ব্যাট হাতে পেয়ে গেছেন আশরাফুল। অভ্যস্ত হতে এই ব্যাট দিয়ে প্র্যাকটিসও শুরু করে দিয়েছেন। ওয়ানডেতে মঙ্গুজ ব্যাটের ব্যবহার স্বীকৃত না হলেও রিবকের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় আগামী দুই বছর আশরাফুলের ব্যাটে দেখা যাবে মঙ্গুজের স্টিকার।
মঙ্গুজের সঙ্গে আশরাফুলের চুক্তিতে সবচেয়ে লোভনীয় শর্তটা হলো—এই ব্যাট দিয়ে ছয় বলে ছয় ছক্কা মারতে পারলে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার পুরস্কার পাবেন সাবেক বাংলাদেশ অধিনায়ক। আশরাফুল নিজেই বুঝছেন, শর্তটা শর্ত হিসেবেই থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা, ‘ছয় বলে ছয় ছক্কা! ইংল্যান্ডের উইকেটে হয়তো সম্ভব...।’
কারও হাতে মঙ্গুজ ব্যাট থাকবে না, তবে ২৭ অক্টোবর থেকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শুরু পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের কেউ যদি এখনকার ব্যাট দিয়েই ছয় বলে ছক্কা হাঁকাতে যান, অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। জিম্বাবুয়ে সফর শেষে কালকের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা যত ম্যাচ খেলেছেন, সবই টি-টোয়েন্টি। জিম্বাবুয়ে সিরিজের অনুশীলনের প্রথম ভাগটা মূলত চারটা ২০ ওভারের ম্যাচ দিয়েই হয়েছিল। এরপর হলো টি-টোয়েন্টি প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ। ওয়ানডেতে ফিরেও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ধুম ধাড়াক্কা ক্রিকেটের জ্বর তো একটু থাকতেই পারে।
জাতীয় দলের কোচ জেমি সিডন্সের মধ্যে এই শঙ্কাটা আছেই। একটি ওয়ানডে সিরিজের আগে এত টি-টোয়েন্টি ম্যাচ না খেলে ওয়ানডে ম্যাচই খেলা উচিত ছিল বলে মনে করেন এই অস্ট্রেলিয়ান। কাল প্রস্তুতি ম্যাচের সময় মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘আসলেই... জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বেশি খেলা হয়ে গেছে। এই সময়ে প্রিমিয়ার লিগ হলেই ভালো হতো। তবে এসব তো আর আমার হাতে নেই। এই প্র্যাকটিস ম্যাচ দিয়েই এখন ক্রিকেটারদের ওয়ানডের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।’
কিন্তু মানিয়ে নেওয়ার কাজ তো আর একবারে হয় না। হয়তো সে কারণেই প্রস্তুতি ম্যাচে ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিয়ে দিয়ে ফিল্ডিং করানোর ‘গেম প্ল্যান’। কাল একাডেমি দলের বিপক্ষে কাউকেই একটানা ফিল্ডিং করালেন না জেমি সিডন্স। মাহমুদউল্লাহকে মাঠ থেকে উঠিয়ে নিচ্ছেন তো বিশ্রাম থেকে আবার মাঠে পাঠাচ্ছেন তামিম ইকবালকে। সাকিব আল হাসান উঠে আসছেন তো নামছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। তবে টি-টোয়েন্টি লিগে সর্বোচ্চ ৩৩৯ রান করা তামিম ইকবাল মনে করছেন, টি-টোয়েন্টির অভ্যাস ওয়ানডেতে ফেরার কাজকে খুব কঠিন করবে না, ‘একটা প্রস্তুতি ম্যাচ তো খেলছি। তা ছাড়া প্র্যাকটিসেও অনেক লম্বা সময় ধরে ব্যাটিং করছে সবাই। আমার মনে হয় না সমস্যা হবে।’
তামিমের চাচা সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমানে জাতীয় দলের নির্বাচক আকরাম খানেরও একই কথা। টি-টোয়েন্টি লিগ তো শেষ, ওয়ানডেতে গিয়ে কেউ সেই ব্যাটিং কেন করবে! কাল প্রস্তুতি ম্যাচ দেখতে দেখতেই বললেন, ‘পেশাদার ক্রিকেটটাই তো এখন এ রকম। একটা পূর্ণাঙ্গ সিরিজে টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি—সব ধরনের ক্রিকেটই থাকে। পেশাদার ক্রিকেটারদের এর সঙ্গে মানিয়ে নিতেই হবে।’
আকরামের কথাটা সত্যি হলে ভালো। তাহলে ওয়ানডেতে আর ‘মঙ্গুজ ব্যাটিং’ কামড়ে ধরতে পারবে না বাংলাদেশকে।
No comments