ভারতের এক ক্রমিক খুনি মোহন কুমার
দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের দক্ষিণ কন্নড় জেলার ভিট্টালা কানাইয়া গ্রামে ধরা পড়েছে মোহন কুমার নামের এক ক্রমিক খুনি। পুলিশের কাছে মোহন স্বীকার করেছেন, তিনি এ পর্যন্ত ১৮ জন নারীকে হত্যা করেছেন।
পুলিশ সুপার এ সুব্রহ্মনেশ্বর বলেছেন, মোহন যে ১৮ জনকে হত্যা করেছেন, তাঁদের মধ্যে ১৩ জন নারীই দক্ষিণ কন্নড় জেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। বাকিরা কাঁসারগড় এলাকার। ওই নারীদের বিয়ের প্রলোভন দিয়ে মোহন ফাঁদে ফেলতেন। এরপর ঠান্ডা মাথায় বিষ প্রয়োগে তাঁদের হত্যা করতেন। সাবেক শরীরবিদ্যার শিক্ষক মোহনের বয়স এখন ৪৬। তিনি ২৩ বছর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করেছেন।
নয় বছর ধরে মোহন কুমার দুষ্কর্ম করে গেলেও পুলিশ তাঁকে ধরতে পারেনি। গত জুন মাসে অনিতা নামের এক তরুণীর অপহরণ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে তাঁর কেলেঙ্কারির কথা। গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। বর্তমানে মোহনের দুই স্ত্রী ও চার সন্তান রয়েছে।
কর্ণাটকের পশ্চিমাঞ্চল পুলিশের আইজি গোপাল হোসুর বলেন, মোহন কুমার সাধারণত গরিব ঘরের মেয়েদের বিয়ের ফাঁদে ফেলতেন। প্রথমে তিনি তাঁদের নিয়ে তুলতেন কোনো হোটেল, বোর্ডিং কিংবা লজে। এরপর তাঁদের বিয়ের কথা বলে নিয়ে যেতেন কোনো মন্দিরে। তাঁদের সব অলংকার কৌশলে হাতিয়ে নিতেন মোহন। একপর্যায়ে সুযোগ বুঝে জন্মনিরোধক ট্যাবলেট খাওয়ানোর কথা বলে তাঁদের খাইয়ে দিতেন বিষের বড়ি। এরপর তিনি হোটেলের শৌচাগারে ঢুকিয়ে তালা দিয়ে পালিয়ে যেতেন।
জিজ্ঞাসাবাদে মোহন বলেছেন, ২০০০ সালে তিনি প্রথমে রত্না নামের এক তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে তিনি রত্নাকে নেত্রবতী নদীতে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যা করেন। এরপর তিনি একেক করে বিয়ের ফাঁদে ফেলে আরও ১৭ জন নারীকে হত্যা করেন।
পুলিশ সুপার এ সুব্রহ্মনেশ্বর বলেছেন, মোহন যে ১৮ জনকে হত্যা করেছেন, তাঁদের মধ্যে ১৩ জন নারীই দক্ষিণ কন্নড় জেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। বাকিরা কাঁসারগড় এলাকার। ওই নারীদের বিয়ের প্রলোভন দিয়ে মোহন ফাঁদে ফেলতেন। এরপর ঠান্ডা মাথায় বিষ প্রয়োগে তাঁদের হত্যা করতেন। সাবেক শরীরবিদ্যার শিক্ষক মোহনের বয়স এখন ৪৬। তিনি ২৩ বছর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করেছেন।
নয় বছর ধরে মোহন কুমার দুষ্কর্ম করে গেলেও পুলিশ তাঁকে ধরতে পারেনি। গত জুন মাসে অনিতা নামের এক তরুণীর অপহরণ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে তাঁর কেলেঙ্কারির কথা। গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। বর্তমানে মোহনের দুই স্ত্রী ও চার সন্তান রয়েছে।
কর্ণাটকের পশ্চিমাঞ্চল পুলিশের আইজি গোপাল হোসুর বলেন, মোহন কুমার সাধারণত গরিব ঘরের মেয়েদের বিয়ের ফাঁদে ফেলতেন। প্রথমে তিনি তাঁদের নিয়ে তুলতেন কোনো হোটেল, বোর্ডিং কিংবা লজে। এরপর তাঁদের বিয়ের কথা বলে নিয়ে যেতেন কোনো মন্দিরে। তাঁদের সব অলংকার কৌশলে হাতিয়ে নিতেন মোহন। একপর্যায়ে সুযোগ বুঝে জন্মনিরোধক ট্যাবলেট খাওয়ানোর কথা বলে তাঁদের খাইয়ে দিতেন বিষের বড়ি। এরপর তিনি হোটেলের শৌচাগারে ঢুকিয়ে তালা দিয়ে পালিয়ে যেতেন।
জিজ্ঞাসাবাদে মোহন বলেছেন, ২০০০ সালে তিনি প্রথমে রত্না নামের এক তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে তিনি রত্নাকে নেত্রবতী নদীতে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যা করেন। এরপর তিনি একেক করে বিয়ের ফাঁদে ফেলে আরও ১৭ জন নারীকে হত্যা করেন।
No comments