বৃটেনে ক্রমবর্ধমান চাপে হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ

বাংলাদেশের পতিত সরকারের ঘনিষ্ঠজনদের থেকে ফ্ল্যাট উপহার পাওয়ার খবর প্রকাশের পর ক্রমবর্ধমান তদন্তের চাপে পড়েছেন বৃটেনের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক। কোনো রকম অর্থ খরচ করা ছাড়াই ওই ফ্ল্যাটের মালিক হয়েছেন টিউলিপ। এ তথ্য সামনে আসার পর তার ওপর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসে প্রকাশিত এক রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে এ রিপোর্ট করেছে অনলাইন ব্লুমবার্গ। খবরে বলা হয়েছে, বৃটেনে আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের কাছ থেকে সম্পত্তি উপহার নেয়ার বিষয়টি সামনে আসায় টিউলিপ বেশ বেকায়দায় পড়তে পারেন। ব্লুমবার্গ লিখেছে, শুক্রবার ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে- টিউলিপ ২০০৪ সালে কোনোরকম অর্থ প্রদান ছাড়াই দুই শয়নকক্ষবিশিষ্ট একটি অ্যাপার্টমেন্ট পেয়েছিলেন। এর অবস্থান বৃটেনের কিংস ক্রসের কাছে। বৃটেনের ভূমি নিবন্ধন সংক্রান্ত নথিপত্রের বরাতে ওই তথ্য প্রকাশ করা হয়। তথ্যানুযায়ী অ্যাপার্টমেন্টটি টিউলিপকে উপহার দিয়েছিলেন আব্দুল মোতালিফ নামের এক ব্যক্তি। তিনি টিউলিপের খালা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত একজন ডেভেলপার। গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছেড়ে দেশ ত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিতর্কিত এসব সম্পত্তির কথা সামনে এসেছে। এসব তথ্য প্রকাশ্যে আসায় টিউলিপের ওপর তদন্তের চাপ বাড়ছে। এ ছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে অর্থ আত্মসাতের দায়েও টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্রমাগতভাবে বৃটেনের একজন এমপি’র বিরুদ্ধে এমন বিতর্কিত সম্পদের তথ্য সামনে আসাটা বৃটিশ সরকারের জন্যও বেশ বিব্রতকর। কেননা, সিটি মিনিস্টার হিসেবে টিউলিপ সিদ্দিকের ভূমিকা দেশটিতে আর্থিক দুর্নীতি মোকাবিলা করা। কিন্তু তার বিরুদ্ধেই এসব দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসায় তার দায়িত্ব নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। ব্লুমবার্গ বলছে, এই অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেন নি টিউলিপ। তবে তার একজন মুখপাত্র ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের কাছে দাবি করেছেন, টিউলিপ সিদ্দিকের এই সম্পত্তি বা অন্য যেকোনো সম্পত্তির মালিকানার সঙ্গে আওয়ামী লীগকে সমর্থনের ধারণাটি স্পষ্টতই ভুল হবে।
mzamin

No comments

Powered by Blogger.