যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে ইলন মাস্কের হস্তক্ষেপের নিন্দা করেছেন বৃটিশ মন্ত্রী
বৃটিশ সরকারের একজন সিনিয়র মন্ত্রী দেশের রাজনীতিতে ইলন মাস্কের হস্তক্ষেপকে "ভুল " বলে সমালোচনা করেছেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর ‘পছন্দের প্রার্থী’ ডনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর থেকেই আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে আচমকা সক্রিয় হয়ে উঠেছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। প্রথমে জার্মানি এবং তার পরে বৃটেনের রাজনীতিতে তিনি অতি-দক্ষিণপন্থী অংশকে মদত দিয়ে ওই দুই দেশে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি বৃটেনের অতি-দক্ষিণপন্থীদের হয়ে গলা ফাটিয়ে মাস্ক তোপ দাগছেন বর্তমান সরকারকে। মাস্কের বক্তব্য, বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়র স্টার্মার ফৌজদারি বিচার সংক্রান্ত দফতরের ডিরেক্টর থাকাকালীন ধর্ষকদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। ওল্ডহ্যামে শিশুদের যৌন নিপীড়নের তদন্ত ধামাচাপা দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী জেস ফিলিপসের জেলে থাকা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। যার উত্তরে বৃটিশ সরকার জানিয়ে দিলো না জেনে না বুঝে মন্তব্য করা উচিত নয়। বৃটেনের স্বাস্থ্য সচিব ওয়েস স্ট্রিটিং আইটিভি নিউজ টেলিভিশনকে বলেছেন - 'ইলন মাস্কের কিছু সমালোচনা, আমি মনে করি ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে তিনি করেছেন। তিনি ভুল তথ্য দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও আমরা ইলন মাস্কের সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক। আমার মনে হয় আমাদের এবং অন্যদের সাহায্য করার জন্য তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে । আমরা আমাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার মোকাবেলা নিজেরাই করতে পারবো। সুতরাং তিনি যদি আমাদের সাথে কাজ করতে চান এবং নিজের হাতা গুটিয়ে রাখতে চান তবে আমরা স্বাগত জানাব। 'এক দশকেরও বেশি আগে আবির্ভূত রচডেল, রদারহ্যাম এবং ওল্ডহ্যাম সহ বেশ কয়েকটি শহরে মেয়েদের উপর ব্যাপক নির্যাতন বিতর্কের সূত্রপাত করে। একের পর এক আদালত মামলার ফলে কয়েক ডজন পুরুষকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়, যাদের বেশিরভাগই দক্ষিণ এশীয় মুসলিম বংশোদ্ভূত। নির্যাতনের শিকার ছিল দুর্বল, শ্বেতাঙ্গ মেয়েরা। পুলিশ এবং সমাজকর্মীরা কীভাবে অপব্যবহার বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে সে সম্পর্কে একাধিক অফিসিয়াল অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে কিছু ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা বর্ণবাদের বশবর্তী হয়ে কোনো পদক্ষেপ করেননি। যৌন নিপীড়নের তদন্ত ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ তুলে বৃটিশ সরকারের বিরাগভাজন হলেন মাস্ক।
সূত্র : এনডিটিভি
No comments