ভেজালের ভিড়ে নির্ভেজাল উধাও! by কাজী আবু মোহাম্মদ খালেদ নিজাম
সর্বত্র
ভেজাল আর ভেজাল। খাদ্য থেকে শুরু করে পরনের কাপড় কোথায় নেই ভেজাল?
মানসম্মত,স্বাস্থ্যসম্মত কোন কিছু বেছে নেওয়াই কঠিন। মোড়কের আড়ালে লুকিয়ে
থাকে ভেজালের সমারোহ! অথচ মোড়ক দেখলে মনে হবে একেবারে খাঁটি, তরতাজা।
কিন্তু খেতে যান, ব্যবহার করেন দেখবেন দু’ নম্বরী। নেই স্বাদ, নেই পিওরটি।
ভেজালের ভিড়ে যেন নির্ভেজাল উধাও! বিক্রেতার ব্যবহার আর দোকানের আহামরি
ডিজাইন দেখে একটি পণ্য কিনলেন, মনে হবে খাঁটি জিনিসই হবে; কিন্তু বাড়িতে
এনে ব্যবহার করার সময় দেখলেন পঁচা আর ব্যবহার অনুপযোগী। এভাবে প্রতিটি
পণ্যের পরতে পরতে ভেজালে সয়লাব।
‘ভেজাল’ বিষয়টি প্রধানতম খাবারের সাথে সম্পৃক্ত হলেও এখন সবখানে এটি বিস্তার ঘটিয়েছে। মাঝে মাঝে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ভেজাল পরীক্ষা করা হয়। খাবার বা পণ্যের মান সঠিক আছে কিনা যাচাই করা হয়। করা হয় জেল, জরিমানা; কিন্তু ক’দিন পরেই এই তৎপরতা শিথিল হয়ে আসে। আবার আগের পরিস্থিতিতে ফিরে আসে।
খাবার দোকান আর পণ্যের যা অবস্থা মাঝে মাঝে খবরের শিরোনাম হয়। মনে হয় ওরা মানুষ মারার ফাঁদ পেতেছে। নয়তো খাবার আর পণ্যে ভেজাল মেশাবে কেন? বহু নামিদামী কোম্পানিকেও মোটা অংকের জরিমানা করতে দেখা গেছে। এরপরও শোধরানোর কোন চেষ্টা করেনা ওরা। অন্য কোন উপায় না থাকায় সাধারণ মানুষকে তা গ্রহণ করতে হচ্ছে। দূর-দূরান্তের মানুষ যারা নানা কাজে বের হন তাদের কোন উপায়ই থাকে না, বাধ্য হয়েই ভেজালের সাথে যুক্ত হতে হচ্ছে।
আইন করে করে আর কতটুকুই বা সম্ভব প্রতিরোধ করা যদি না মানুষের মাঝে বিবেকের তাড়নার অভাব থাকে? সততা আর বিবেকবোধের বড় আকাল পড়েছে। প্রতিনিয়ত মানুষ নানাভাবে ঠকছে। ভেজালের সাথে যুক্ত হতে হচ্ছে। এজন্য আইনের সংস্কার ও শাস্তির পরিমাণ বৃদ্ধির পাশাপাশি মানুষের মাঝে বিবেকবোধ আর সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করতে হবে।
মানসম্মত কোন কিছু পেতে হলে আমাকে, আপনাকে গলদঘর্ম হতে হবে। যাচাই করা না হলে নিজেই ঠকবো। এজন্য খাঁটি জিনিসটা পাওয়ার জন্য অভিজ্ঞতা ও সতর্ক-সচেতন থাকতে হবে বৈকি!
ভেজাল এখন কেবল খাবার আর পণ্যে নয়, ভেজাল জীবন রক্ষাকারী ওষুধেও। মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা অনেক সময় এ সম্পর্কে জানতে পারি। মানসম্মত ও নির্ভেজাল উপাদান না থাকায় বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধ নিষিদ্ধ করা হয় সময়ে সময়ে। অথচ ওষুধ তৈরি হয় মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য।
ভেজালমুক্ত খাদ্য, পণ্য সরবরাহ করে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করা একজন বিক্রেতা ও উৎপাদনকারীর উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। আমাদেরকে সব ধরণের ভেজালের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ব্যবসায়ী ও উৎপাদনকারীর মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে।
অবশ্য অনেক সৎ ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা মানুষের আস্থা অর্জন করে চলেছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোই আমাদের আশার আলো। সরকারের কঠোর নজরদারির পাশাপাশি মানুষ যদি সৎ ও বিবেকসম্পন্ন হয় তাহলে ভেজাল থেকে মুক্ত হওয়া অসম্ভব কিছু নয়।
>>>লেখক : শিক্ষক ও প্রাবন্ধিক
‘ভেজাল’ বিষয়টি প্রধানতম খাবারের সাথে সম্পৃক্ত হলেও এখন সবখানে এটি বিস্তার ঘটিয়েছে। মাঝে মাঝে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ভেজাল পরীক্ষা করা হয়। খাবার বা পণ্যের মান সঠিক আছে কিনা যাচাই করা হয়। করা হয় জেল, জরিমানা; কিন্তু ক’দিন পরেই এই তৎপরতা শিথিল হয়ে আসে। আবার আগের পরিস্থিতিতে ফিরে আসে।
খাবার দোকান আর পণ্যের যা অবস্থা মাঝে মাঝে খবরের শিরোনাম হয়। মনে হয় ওরা মানুষ মারার ফাঁদ পেতেছে। নয়তো খাবার আর পণ্যে ভেজাল মেশাবে কেন? বহু নামিদামী কোম্পানিকেও মোটা অংকের জরিমানা করতে দেখা গেছে। এরপরও শোধরানোর কোন চেষ্টা করেনা ওরা। অন্য কোন উপায় না থাকায় সাধারণ মানুষকে তা গ্রহণ করতে হচ্ছে। দূর-দূরান্তের মানুষ যারা নানা কাজে বের হন তাদের কোন উপায়ই থাকে না, বাধ্য হয়েই ভেজালের সাথে যুক্ত হতে হচ্ছে।
আইন করে করে আর কতটুকুই বা সম্ভব প্রতিরোধ করা যদি না মানুষের মাঝে বিবেকের তাড়নার অভাব থাকে? সততা আর বিবেকবোধের বড় আকাল পড়েছে। প্রতিনিয়ত মানুষ নানাভাবে ঠকছে। ভেজালের সাথে যুক্ত হতে হচ্ছে। এজন্য আইনের সংস্কার ও শাস্তির পরিমাণ বৃদ্ধির পাশাপাশি মানুষের মাঝে বিবেকবোধ আর সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করতে হবে।
মানসম্মত কোন কিছু পেতে হলে আমাকে, আপনাকে গলদঘর্ম হতে হবে। যাচাই করা না হলে নিজেই ঠকবো। এজন্য খাঁটি জিনিসটা পাওয়ার জন্য অভিজ্ঞতা ও সতর্ক-সচেতন থাকতে হবে বৈকি!
ভেজাল এখন কেবল খাবার আর পণ্যে নয়, ভেজাল জীবন রক্ষাকারী ওষুধেও। মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা অনেক সময় এ সম্পর্কে জানতে পারি। মানসম্মত ও নির্ভেজাল উপাদান না থাকায় বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধ নিষিদ্ধ করা হয় সময়ে সময়ে। অথচ ওষুধ তৈরি হয় মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য।
ভেজালমুক্ত খাদ্য, পণ্য সরবরাহ করে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করা একজন বিক্রেতা ও উৎপাদনকারীর উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। আমাদেরকে সব ধরণের ভেজালের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ব্যবসায়ী ও উৎপাদনকারীর মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে।
অবশ্য অনেক সৎ ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা মানুষের আস্থা অর্জন করে চলেছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোই আমাদের আশার আলো। সরকারের কঠোর নজরদারির পাশাপাশি মানুষ যদি সৎ ও বিবেকসম্পন্ন হয় তাহলে ভেজাল থেকে মুক্ত হওয়া অসম্ভব কিছু নয়।
>>>লেখক : শিক্ষক ও প্রাবন্ধিক
No comments