ইদি সাহেব by হাসান নিয়াজি
আব্দুল সাত্তার ইদি |
জীবনের
বেশির ভাগ সময় আব্দুল সাত্তার ইদিকে পাকিস্তানী উদ্দীপনার অপরিমেয় উদাহরণ
হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। একজন একাকি দরবেশ যিনি পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে
আশার বীজ বপন করেছেন, যারা সাধারণত স্বার্থপর নেতাদের দেখে অভ্যস্ত।
প্রতিটি ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে উৎরানোর জন্য তার নাম ব্যবহার করা হয়েছে।
তিনি ছিলেন নিঃস্বার্থ মানুষের জ্বলন্ত উদাহরণ এবং আমরা মাঝে মাঝেই ভান
করেছি যে ইদির মতো মানুষরাই আমাদের সমাজে বেশি।
কিন্তু ইদি ছিলেন প্রায় সব বিবেচনাতেই ব্যতিক্রম। বিশ্ব এ যাবতকালে যত মানবিক চরিত্র দেখেছে, তাদের মধ্যে অন্যতম। তিন বছর আগে তিনি যখন মারা যান, তখন পাকিস্তান সত্যিকারের অর্থে গরিব হয়ে যায়।
ইদির নিঃস্বার্থ কর্মকাণ্ডের গল্প শোনাটা সহজ, কিন্তু বাস্তব বলে বিশ্বাস করাটা কঠিন। তার গল্পগুলোকে বিশ্বাস করার জন্য দ্বিতীয়বার পড়তে হবে আপনাকে। হ্যাঁ, এ রকম মানুষ সত্যিকার অর্থেই ছিলেন একজন।
১৯৯২ সালে তার নাতি তার একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দুঃখজনকভাবে মারা যায়। এ রকম চরম ব্যক্তিগত শোকের সময়ে ইদি সাহেব যদি অন্যদের কথা অন্তত একবারের জন্য ভুলে যেতেন, তাহলে সেটাই হতো স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা হতে পারে বলে যদি ভেবে থাকেন আপনি, তাহলে ইদি সাহেবের মানসিকতাকে এখনও বুঝতে পারেননি। বরং নাতির দাফনের দিন, ঘোটকিতে ছিলেন ইদি। সেখানে ট্রেন দুর্ঘটনায় শতাধিক মানুষ মারা যাওয়ার পর বেঁচে যাওয়া মানুষদের জন্য ত্রাণের কাজ করছিলেন তিনি। তার জামা কাপড় তখন ছিল রক্তে লাল। দেশের আত্মার জন্য যখন কাজ করছেন আপনি, তখন কোন ছুটি নেয়ার সুযোগ নেই তার।
এটা বাস্তব, কোন গল্পকাহিনী নয়।
ইদির দাতব্য প্রতিষ্ঠানের বাইরে খালি দোলনা দেখা যাবে। এক হিসেবে এই সব দোলনাতে এ পর্যন্ত ২৫,০০০ পরিত্যক্ত শিশুর যত্ন নেয়া হয়েছে এবং তাদেরকে ঘর খুঁজে দিয়েছেন ইদি সাহেব।
বাস্তবতা, কল্পকাহিনী নয়।
তার সততার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে বহু মিলিয়ন ডলারের সহায়তা পেয়েছেন তিনি। এরপরও যারা তাকে জানেন, তারা দেখেছেন মাত্র দুই জোড়া কাপড় ছিল তার, করাচির একটা অংশে ৮ ফুট বাই ৮ ফুট আকারের একটা ছোট ঘরে থাকতেন তিনি। করাচির ওই এলাকাটা পাকিস্তানীরা পারতপক্ষে এড়িয়ে চলতো সব সময়।
সত্যি, কল্পনা নয়।
ইদির দুনিয়া, ইদির হৃদয় যেই পাকিস্তানের স্বপ্ন দেখেছে, সেটা বাস্তব হতে পারতো যদি দেশের নেতারা ইদির পথে চলতেন। কিন্তু তার বদলে পাকিস্তান বহু বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে মৌলিক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে, মানবিক কল্যাণের পরিবর্তে পুলিশি রাষ্ট্র হয়ে ওঠার চেষ্টা করেছে।
এই পথে গিয়ে ইদির উদাহরণকে অবজ্ঞা করেছে এই জাতি। এমনকি ইদির জীবনে এই শিক্ষাও রয়েছে যে, পাকিস্তানের নেতাদের প্রতিটি দিন থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত। উদাহরনস্বরূপ, সকল জীবন যে সমানভাবে মূল্যবান, এ ব্যাপারে তিনি ছিলেন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যে জাতি তাদের মুসলিম পরিচয় নিয়ে পড়ে আছে, সেখানে ইদি সাহেব কখনও দেখেননি যে আপনার ধর্ম কোনটি। তার অ্যাম্বুলেন্স, তার দাতব্য কাজগুলো কোন ধর্মীয় কাজ ছিল না, বরং মানুষের যন্ত্রণা দেখে কাতর একজন মানুষের হৃদয়ের কাজ ছিল সেগুলো। মুর্খরা যখন তাকে জিজ্ঞাসা করতো তার অ্যাম্বুলেন্সে কেন হিন্দু ও খ্রিস্টানের লাশ বহন করা হচ্ছে, তখন তিনি যে জবাব দিতেন, সেগুলো স্কুলের শিক্ষার্থীদের পড়ানো উচিত: “কারণ আমার অ্যাম্বুলেন্স আপনার চেয়েও বেশি মুসলিম”। পশ্চিমারা তাকে পাকিস্তানের মাদার তেরেসা আখ্যা দিয়েছিলেন, কিন্তু তেরেসার কীর্তি যেখানে তার মৃত্যুর পর বিতর্কিত হয়ে পড়ে, সেখানে ইদির কীর্তি অমর হিসেবেই রয়ে গেছে, এবং এমনকি আরও প্রাণবন্তু হয়ে উঠেছে। কারণ ইদির প্রতি কোন ধর্মীয় গোষ্টীর সমর্থন ছিল না। ইদির শুধু তিনি নিজেই ছিলেন। আমাদের সৌভাগ্য যে, সেটাই ছিল যথেষ্ট।
ধর্মীয় অধিকারের সামান্য চাপে যেখানে আমাদের নেতারা কাবু হয়ে গেছেন, সেখানে এ ধরনের চাপকে সারা জীবন দূরে ঠেলে এসেছেন ইদি।
ইদির যে দিকটি ছিল সবচেয়ে অসাধারণ, সেটা হলো সৃষ্টিকর্তার সমস্ত সৃষ্টির জন্য তার ভালবাসা ছিল। সমাজের দুর্দশাগ্রস্তদের জন্যই শুধু আশ্রয় গড়েননি ইদি, বরং পশুদের জন্যও করেছেন। করাচিতে পশুদের জন্য যে ইদি হোম রয়েছে, সেটা দেখলে বোঝা যায় ইদির সমবেদনা মানুষকে ছাড়িয়ে গেছে। জীবনের মূল্যকে অনুধাবনের ক্ষেত্রে দেশ হিসেবে এই মানুষটির কাছাকাছিও কি আমরা যেতে পেরেছি?
পাকিস্তানের জন্য ইদি যা কিছু করেছেন, তাতে পাকিস্তানের উচিত ছিল তার কাজকে সহজ করার চেষ্টা করা। কিন্তু সেটা করা হয়নি। ২০১৪ সালের ১৯ অক্টোবর, দশজন মানুষ ইদি সাহেবের অফিসে ঢুকে, তাকে জিম্মি করে ও সেখানে লুটপাট করে। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে বোঝা যায় পাকিস্তানে কেউ যদি ভালো কিছু করতে চায়, তাহলে তাকে কত ধরনের বাধা পেরুতে হয়। এই সব বিষয়ে রাষ্ট্র উদাসীন। তারা বুঝতে পারছে না যে, এ ধরনের ঘটনায় রাষ্ট্রের অবহেলার কারণে এমন সব বাধা তৈরি হচ্ছে, যেখানে ইদির মতো মানুষ আর তৈরি হবে না।
ইদি সাহেবের বিকল্প হওয়াটা কারো পক্ষে আর সম্ভব নয়, কিন্তু তার মিশনের অনুকরণ করাটা সম্ভব। আমাদের দেশকে এটা নিশ্চিত করতে হবে যাতে আগামীকালের শিশুরা জাতির মহান নায়কদের একজন হিসেবে ইদি সাহেবকে জানতে ও শিখতে পারে। পিতামাতারা দেশের ভবিষ্যতের গতিপথ বদলে দিতে পারেন, যেমনটা ইদির মা দিয়েছিলেন। ইদির মা ইদিকে প্রতিদিন দুটো পয়সা দিতেন। একটা তার নিজের জন্য আর আরেকটা অভাবী কারো জন্য। এই সামান্য কাজের মাধ্যমে, এই মহান নারী পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ মানবতাবাদীকে গড়ে তুলেছিলেন। এমন কোন কারণ নেই যে পাকিস্তান তার মতো আরও মানুষ তৈরি করতে পারবে না। ইদির সৌন্দর্য ছিল এটাই যে ইদি সাধারণ মানুষ হয়েও অসাধারণ কাজ করেছেন। একটা মানুষের হৃদয় সঠিক জায়গায় থাকলে, তিনি কত মিলিয়ন মানুষের জীবন বদলে দিতে পারেন, তার একটা উদাহরণ হলেন ইদি সাহেব।
কিন্তু ইদি ছিলেন প্রায় সব বিবেচনাতেই ব্যতিক্রম। বিশ্ব এ যাবতকালে যত মানবিক চরিত্র দেখেছে, তাদের মধ্যে অন্যতম। তিন বছর আগে তিনি যখন মারা যান, তখন পাকিস্তান সত্যিকারের অর্থে গরিব হয়ে যায়।
ইদির নিঃস্বার্থ কর্মকাণ্ডের গল্প শোনাটা সহজ, কিন্তু বাস্তব বলে বিশ্বাস করাটা কঠিন। তার গল্পগুলোকে বিশ্বাস করার জন্য দ্বিতীয়বার পড়তে হবে আপনাকে। হ্যাঁ, এ রকম মানুষ সত্যিকার অর্থেই ছিলেন একজন।
১৯৯২ সালে তার নাতি তার একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দুঃখজনকভাবে মারা যায়। এ রকম চরম ব্যক্তিগত শোকের সময়ে ইদি সাহেব যদি অন্যদের কথা অন্তত একবারের জন্য ভুলে যেতেন, তাহলে সেটাই হতো স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা হতে পারে বলে যদি ভেবে থাকেন আপনি, তাহলে ইদি সাহেবের মানসিকতাকে এখনও বুঝতে পারেননি। বরং নাতির দাফনের দিন, ঘোটকিতে ছিলেন ইদি। সেখানে ট্রেন দুর্ঘটনায় শতাধিক মানুষ মারা যাওয়ার পর বেঁচে যাওয়া মানুষদের জন্য ত্রাণের কাজ করছিলেন তিনি। তার জামা কাপড় তখন ছিল রক্তে লাল। দেশের আত্মার জন্য যখন কাজ করছেন আপনি, তখন কোন ছুটি নেয়ার সুযোগ নেই তার।
এটা বাস্তব, কোন গল্পকাহিনী নয়।
ইদির দাতব্য প্রতিষ্ঠানের বাইরে খালি দোলনা দেখা যাবে। এক হিসেবে এই সব দোলনাতে এ পর্যন্ত ২৫,০০০ পরিত্যক্ত শিশুর যত্ন নেয়া হয়েছে এবং তাদেরকে ঘর খুঁজে দিয়েছেন ইদি সাহেব।
বাস্তবতা, কল্পকাহিনী নয়।
তার সততার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে বহু মিলিয়ন ডলারের সহায়তা পেয়েছেন তিনি। এরপরও যারা তাকে জানেন, তারা দেখেছেন মাত্র দুই জোড়া কাপড় ছিল তার, করাচির একটা অংশে ৮ ফুট বাই ৮ ফুট আকারের একটা ছোট ঘরে থাকতেন তিনি। করাচির ওই এলাকাটা পাকিস্তানীরা পারতপক্ষে এড়িয়ে চলতো সব সময়।
সত্যি, কল্পনা নয়।
ইদির দুনিয়া, ইদির হৃদয় যেই পাকিস্তানের স্বপ্ন দেখেছে, সেটা বাস্তব হতে পারতো যদি দেশের নেতারা ইদির পথে চলতেন। কিন্তু তার বদলে পাকিস্তান বহু বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে মৌলিক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে, মানবিক কল্যাণের পরিবর্তে পুলিশি রাষ্ট্র হয়ে ওঠার চেষ্টা করেছে।
এই পথে গিয়ে ইদির উদাহরণকে অবজ্ঞা করেছে এই জাতি। এমনকি ইদির জীবনে এই শিক্ষাও রয়েছে যে, পাকিস্তানের নেতাদের প্রতিটি দিন থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত। উদাহরনস্বরূপ, সকল জীবন যে সমানভাবে মূল্যবান, এ ব্যাপারে তিনি ছিলেন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যে জাতি তাদের মুসলিম পরিচয় নিয়ে পড়ে আছে, সেখানে ইদি সাহেব কখনও দেখেননি যে আপনার ধর্ম কোনটি। তার অ্যাম্বুলেন্স, তার দাতব্য কাজগুলো কোন ধর্মীয় কাজ ছিল না, বরং মানুষের যন্ত্রণা দেখে কাতর একজন মানুষের হৃদয়ের কাজ ছিল সেগুলো। মুর্খরা যখন তাকে জিজ্ঞাসা করতো তার অ্যাম্বুলেন্সে কেন হিন্দু ও খ্রিস্টানের লাশ বহন করা হচ্ছে, তখন তিনি যে জবাব দিতেন, সেগুলো স্কুলের শিক্ষার্থীদের পড়ানো উচিত: “কারণ আমার অ্যাম্বুলেন্স আপনার চেয়েও বেশি মুসলিম”। পশ্চিমারা তাকে পাকিস্তানের মাদার তেরেসা আখ্যা দিয়েছিলেন, কিন্তু তেরেসার কীর্তি যেখানে তার মৃত্যুর পর বিতর্কিত হয়ে পড়ে, সেখানে ইদির কীর্তি অমর হিসেবেই রয়ে গেছে, এবং এমনকি আরও প্রাণবন্তু হয়ে উঠেছে। কারণ ইদির প্রতি কোন ধর্মীয় গোষ্টীর সমর্থন ছিল না। ইদির শুধু তিনি নিজেই ছিলেন। আমাদের সৌভাগ্য যে, সেটাই ছিল যথেষ্ট।
ধর্মীয় অধিকারের সামান্য চাপে যেখানে আমাদের নেতারা কাবু হয়ে গেছেন, সেখানে এ ধরনের চাপকে সারা জীবন দূরে ঠেলে এসেছেন ইদি।
ইদির যে দিকটি ছিল সবচেয়ে অসাধারণ, সেটা হলো সৃষ্টিকর্তার সমস্ত সৃষ্টির জন্য তার ভালবাসা ছিল। সমাজের দুর্দশাগ্রস্তদের জন্যই শুধু আশ্রয় গড়েননি ইদি, বরং পশুদের জন্যও করেছেন। করাচিতে পশুদের জন্য যে ইদি হোম রয়েছে, সেটা দেখলে বোঝা যায় ইদির সমবেদনা মানুষকে ছাড়িয়ে গেছে। জীবনের মূল্যকে অনুধাবনের ক্ষেত্রে দেশ হিসেবে এই মানুষটির কাছাকাছিও কি আমরা যেতে পেরেছি?
পাকিস্তানের জন্য ইদি যা কিছু করেছেন, তাতে পাকিস্তানের উচিত ছিল তার কাজকে সহজ করার চেষ্টা করা। কিন্তু সেটা করা হয়নি। ২০১৪ সালের ১৯ অক্টোবর, দশজন মানুষ ইদি সাহেবের অফিসে ঢুকে, তাকে জিম্মি করে ও সেখানে লুটপাট করে। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে বোঝা যায় পাকিস্তানে কেউ যদি ভালো কিছু করতে চায়, তাহলে তাকে কত ধরনের বাধা পেরুতে হয়। এই সব বিষয়ে রাষ্ট্র উদাসীন। তারা বুঝতে পারছে না যে, এ ধরনের ঘটনায় রাষ্ট্রের অবহেলার কারণে এমন সব বাধা তৈরি হচ্ছে, যেখানে ইদির মতো মানুষ আর তৈরি হবে না।
ইদি সাহেবের বিকল্প হওয়াটা কারো পক্ষে আর সম্ভব নয়, কিন্তু তার মিশনের অনুকরণ করাটা সম্ভব। আমাদের দেশকে এটা নিশ্চিত করতে হবে যাতে আগামীকালের শিশুরা জাতির মহান নায়কদের একজন হিসেবে ইদি সাহেবকে জানতে ও শিখতে পারে। পিতামাতারা দেশের ভবিষ্যতের গতিপথ বদলে দিতে পারেন, যেমনটা ইদির মা দিয়েছিলেন। ইদির মা ইদিকে প্রতিদিন দুটো পয়সা দিতেন। একটা তার নিজের জন্য আর আরেকটা অভাবী কারো জন্য। এই সামান্য কাজের মাধ্যমে, এই মহান নারী পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ মানবতাবাদীকে গড়ে তুলেছিলেন। এমন কোন কারণ নেই যে পাকিস্তান তার মতো আরও মানুষ তৈরি করতে পারবে না। ইদির সৌন্দর্য ছিল এটাই যে ইদি সাধারণ মানুষ হয়েও অসাধারণ কাজ করেছেন। একটা মানুষের হৃদয় সঠিক জায়গায় থাকলে, তিনি কত মিলিয়ন মানুষের জীবন বদলে দিতে পারেন, তার একটা উদাহরণ হলেন ইদি সাহেব।
No comments